বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
গত বছর ব্যাট হাতে স্বপ্নের ফর্ম দেখিয়েছেন রোহিত শর্মা। টেস্ট এবং ওয়ান ডে মিলিয়ে ২০১৯ সালে ১০টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ‘হিটম্যান’। যার মধ্যে সাতটিই এসেছে একদিনের ক্রিকেটে। তাও আবার শুধুমাত্র বিশ্বকাপেই করেছিলেন পাঁচটি সেঞ্চুরি। শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার ৪টি সেঞ্চুরির নজির ছাপিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন রোহিত। একই সঙ্গে শচীন তেন্ডুলকরের পর দ্বিতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একটি বিশ্বকাপে ৬০০ বা তার বেশি রানের নজিরও স্থাপন করেন মুম্বইকর। বছরটা খারাপ কাটেনি বিরাট কোহলিরও। ব্যাট হাতে তিন ধরনের ফরম্যাটেই আলো ছড়িয়েছেন ভারত অধিনায়ক। টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-২০ মিলিয়ে গত সবথেকে বেশি রান (২ হাজার ৪৫৫) করেছেন তিনিই। তবে শুধুমাত্র একদিনের ক্রিকেটের বিচারে কোহলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তাঁর ডেপুটি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ২৮টি ম্যাচ খেলে মোট ১ হাজার ৪০৯ রান করেন রোহিত। তারই স্বীকৃতি স্বরূপ প্রথমবার আইসিসি’র বর্ষসেরা ওয়ান ডে ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘হিটম্যান’।
তবে আইসিসি’র বার্ষিক পুরস্কারের তালিকায় একেবারে খালি হাতে থাকতে হয়নি কোহলিকে। তাঁরে দেওয়া হয়েছে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার। বল বিকৃতি কাণ্ডের জেরে নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার পর অস্ট্রেলিয়ান তারকা স্টিভ স্মিথের পাশে দাঁড়িয়ে যে মহানুভবতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন, এটি মূলত তারই পুরস্কার। বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ চলাকালীন স্মিথকে উদ্দেশ্য করে গ্যালারি থেকে ভেসে আসছিল বিদ্রুপাত্মক সব মন্তব্য। দর্শকদের এমন আচরণ দেখে স্থির থাকতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। বাউন্ডারি লাইনের পাশে গিয়ে ইশারায় দর্শকদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। খেলার মাঠে কোহলির এই উদারতাকেই সম্মান জানিয়ে তাঁকে দেওয়া হয়েছে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার। সম্মান পেয়ে হতবাক বিরাট বললেন, ‘অনেক বছর ধরে নেতিবাচক কারণে আলোচনায় থাকার পর এমন পুরস্কার পেয়ে আমি সত্যিই বিস্মিত।’ পাশাপাশি আইসিসি’র টেস্ট এবং ওয়ান ডে দলের ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করা হয়েছে কোহলিকে। ২০১৯ সালের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ওয়ান ডে একাদশে বিরাটের পাশাপাশি জায়গা পেয়েছেন রোহিত শর্মা, মহম্মদ সামি ও কুলদীপ যাদব। তবে বর্ষসেরা টেস্ট একাদশে জায়গা হয়েছে কেবলমাত্র দু’জন ভারতীয় ক্রিকেটারের। এঁরা হলেন যথাক্রমে অধিনায়ক কোহলি এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল।
রোহিত-কোহলির পাশাপাশি আর এক ভারতীয় ক্রিকেটারের নজরকাড়া পারফরম্যান্সকে স্বীকৃতি দিয়েছে আইসিসি। তিনি হলেন দীপক চাহার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সেই আগুনে বোলিংকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বছরের সেরা পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুসানেকে বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নিয়েছে আইসিসি।
আইসিসি’র বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের নির্বাচনও যথোপযুক্ত। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে তাঁর মহাকাব্যিক ইনিংসে ভর করেই প্রথমবার বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ পরবর্তী অ্যাসেজ সিরিজেও দুরন্ত দাপট দেখান তিনি। সবমিলিয়ে ২০১৯ সালে ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছেন স্টোকস।