Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশকে চমকে দিয়ে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেন। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত অর্থনীতির দগদগে ক্ষত শুকোয়নি। উল্টে সঙ্কট আরও তীব্র হয়েছে তড়িঘড়ি জিএসটি চালু করায়। দুয়ের অভিঘাতে অর্থনীতি সেই যে মুখ থুবড়ে পড়েছে তারপর বাজারে আর নগদ অর্থের জোগান বাড়তে দেখা যায়নি। জিনিসপত্রের বিক্রি যেমন কমেছে, তেমনি নিত্যপণ্যের দামও ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে জিনিসের চাহিদা কমলে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বেচাকেনা লাটে উঠলে মন্দার বাজারে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও কমে আসে। এই মুহূর্তে দেশীয় অর্থনীতি সেই সঙ্কটেই জর্জরিত। কী নির্মাণ শিল্প, কী উৎপাদন শিল্প সর্বত্রই সেই সঙ্কটের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
নোটবন্দি করতে গিয়ে তিনবছর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি দাবি করেছিলেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তিনি কালো টাকার অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করবেন। বিদেশ থেকেও ধনকুবেরদের গচ্ছিত কালো টাকা ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার ছিল তাঁর ভাষণে। গোটা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নগদ টাকার ভূমিকা কমিয়ে ডিজিটাল লেনদেনের উপর নির্ভরতা বাড়ানোই ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য। প্রথমটায় সাধারণ মানুষ অপরিসীম কষ্টের মধ্যে পড়লেও কালোটাকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের সাধু প্রয়াস বলে পুরো বিষয়টিকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, কালোবাজারিদের শায়েস্তা করার বদলে নোটবাতিল জব্দ করেছে সাধারণ খেটে খাওয়া গরিব মানুষকেই। কেউ চাকরি হারিয়েছে, কেউ ব্যবসা হারিয়ে সর্বস্বান্ত। লাভের লাভ হয়নি কিছুই।
নোটবাতিলের কয়েক মাস পর থেকেই বলা হচ্ছে, বাজারে ছাড়া ৯৯ শতাংশ নোটই নাকি ঘরে ফিরেছে। তাজ্জব কী বাত! তাহলে সবই যখন একই রইল, কারও ঘরে কি তাহলে কোনও কালো টাকা ছিলই না। নাকি এই সুযোগে কতিপয় বড় শিল্পপতির কালো টাকা সুকৌশলে সাদা করে দেওয়াই ছিল নেপথ্যের আসল খেলা। কে জানে! তাহলে নোটবন্দিতে আসলে বন্দি হল কে? কালো টাকার মালিক না সাধারণ গরিব দেশবাসী?
১৯৭৫-এ ইন্দিরা গান্ধীর আমলে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। আর একনায়ক মোদির হাত ধরে ২০১৬ তে স্বাধীন ভারতে প্রথমবার অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। সেই সব বিভীষিকাময় দিনগুলি সহজে ভোলার নয়। লাইনে দাঁড়িয়ে শতাধিক প্রবীণ নাগরিকের মৃত্যু, কাজহারা শ্রমিকের যন্ত্রণা কিম্বা ছোট মাঝারি ব্যবসা লাটে ওঠার হতাশা দেশবাসীকে খাদের কিনারায় এনে ফেলেছিল। আর আজ তিনবছর পর দেখা যাচ্ছে গোটা প্রক্রিয়াটাই ধাপ্পা। এত কিছু করে হাজার হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপিয়েও কালো টাকার কোনও অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া গেল না। সব টাকাই নাকি ফেরত চলে এসেছে। তাহলে কালো টাকা কোথায় গেল? কালো টাকা ধরার আড়ালে তাহলে কি কালো টাকা সাদা করে দেওয়ার খেলা চলল। এমনও বলা হয়েছিল, কালো টাকার বিরুদ্ধে এর আগে আর কখনও এমন ভয়ঙ্কর যুদ্ধ ঘোষণা করতে দেখা যায়নি দেশের শাসককে। কিন্তু আজ তিন বছর পেরনোর পর দেখা যাচ্ছে, মোদি সরকারের নোটবন্দির কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি। শুধু দুর্ভোগই পোয়াতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
তিনবছর পর কেন্দ্রীয় রিপোর্টই বলছে, জাল টাকা আগের মতোই এখনও ভারতীয় অর্থনীতির গলার কাঁটা। ৫০০ ও ১০০০ টাকা তুলে নিয়ে মোদি সরকার তার পরিবর্তে বাজারে ছেড়েছিলেন ২০০০ টাকার নোট। বলা হয়েছিল, এই ‘অবতার’কে নকল করা নাকি দুঃসাধ্য! কোনওভাবেই নকল করা সম্ভব নয় এমন কিছু রক্ষাকবচ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারি রিপোর্টই বলছে, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে এই ২০০০ টাকার নোটই জাল হয়েছে সর্বাধিক। ধরাপড়া জাল নোটের ৫৬ শতাংশই ২০০০-এর নোট! আর এক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছে মোদি-অমিত শাহদের গুজরাত। দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। ভয়ঙ্কর তথ্য, সন্দেহ নেই। যে-উদ্দেশ্যে ২০০০ টাকার নোটের প্রবর্তন তা যে শুধুমাত্র ফাঁকা আওয়াজ ছিল, জাল নোট যে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় এখনও এক বিরাট বিপদ তা পরিষ্কার। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে মোদি সরকার এত বড় ঝুঁকি নিয়েছিল কেন? ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাজার থেকে সরিয়ে নিয়ে নতুন ২০০০ টাকার নোট ছাড়তে সরকারি কোষাগারের খরচ হয়েছিল কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেই অপচয়ের কী জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর অর্থমন্ত্রকের বিশেষজ্ঞরা? এমনও শোনা গিয়েছিল, হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া নোটবন্দির ব্যাপারে আর কেউই আগাম কিছু আঁচ করতে পারেননি। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও পুরো পরিকল্পনার কথা জানতেন কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এমনকী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উর্জিত প্যাটেলও শেষ মুহূর্তে ভাসা ভাসা কিছু শুনেছিলেন। পুরোটা জানতেন না বলেই খবর। এত বজ্র আঁটুনি সত্ত্বেও দেশের লাভটা কী হল? শুধু মোদিজির শখ মেটানোর জন্যে এত বড় ঝুঁকি দেশবাসীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হল কেন?
কালো টাকা বা সমান্তরাল অর্থনীতি আজও যেমন চলার তেমনিই চলছে। নগদ টাকার লেনদেনের গুরুত্ব আজও এতটুকুও কমেনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, তাঁর সিদ্ধান্তের ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলির আর্থিক মেরুদণ্ডই নাকি ভেঙে যাবে! কারণ, সীমান্তপারের শত্রুরা জাল নোটের মাধ্যমেই তাদের কাজকর্ম চালায়। কিন্তু জঙ্গিদের মেরুদণ্ড ভাঙা দূরের কথা, তাদের অনেকের কাছ থেকেই দেদার জাল ২০০০-এর নোট মিলছে। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে পর পর দু’বছর প্রায় ৪৬-৪৭ কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে, যার সিংহভাগই ২০০০ টাকার। এসবই প্রমাণ করে, নোটবন্দির কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি। শুধুমাত্র দেশের মানুষের দুর্ভোগই বেড়েছে। আর রাজকোষ থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে নতুন নোট ছাপাতে। অন্য দেশ হলে এর দায়ভার নিশ্চয় সরকারের ঘাড়ে বর্তাতো। এবং, গোটা দণ্ডমুণ্ডের কর্তাকে কৈফিয়তও দিতে হতো। কিন্তু ভারত অতিরিক্ত উদার দেশ। তাই এখানে সরকারের সর্বোচ্চ পদে আসীন কোনও ব্যক্তির ভুলের শাস্তি হয় না। দুর্নীতিরও শাস্তি হয় না। ধামাচাপা দিতে নাম কা ওয়াস্তে একটা তদন্ত হয়, কিন্তু তার রিপোর্ট আর বেরোয় না। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হলেও কাউকে কৈফিয়ত দিতে হয় না। তাই এখানে রাজনীতির রাঘব বোয়ালরা বেশ সুখ-শান্তিতেই রাজ্যপাট সামলান। নোটবন্দির পিঠোপিঠি মোদি সরকার দ্রুত ‌঩জিএসটি কার্যকর করে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করেছে। সেই ক্ষত আজও পূরণ হয়নি। একদিকে নোটবন্দি, অন্যদিকে জিএসটি। এই জোড়াফলায় আজ ভারতীয় অর্থনীতি কার্যত ফুটিফাটা!
এই পটভূমিতে দাঁড়িয়েই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অত্যন্ত কঠিন কাজ। একদিকে, মধ্যবিত্তের হাতে পয়সার জোগান বাড়িয়ে সাধারণ জিনিসের চাহিদা বৃদ্ধির ব্যবস্থা তাঁকে করতে হবে। অন্যদিকে, থমকে যাওয়া ছোট ও মাঝারি শিল্পে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় নতুন ছোটখাটো কাজের সুযোগ বাড়বে না। তা নাহলে অর্থনীতি চিরঘুমে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। কারণ, ৩৭০ ধারা বাতিল, তিন তালাক নিষিদ্ধকরণ কিংবা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন দিয়ে দেশবাসীর পেট ভরবে না। দেশের মানুষের চাই দু’মুঠো খাবার আর মাথাগোঁজার আশ্রয়। সেই ব্যবস্থা না করে শুধু মানুষে মানুষে বিভেদ আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারে না। এই সার কথাটি মোদি-অমিত শাহদের বুঝতে হবে। নাহলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না। 
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর গ্রামে বিয়ের আট মাসের মাথায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, পেশায় দিনমজুর মৃত যুবকের নাম রাজীব মণ্ডল(২৫)। মাস আটেক আগে মুর্শিদাবাদের প্রথমকান্দি গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়।  ...

অরূপ বিশ্বাস: আমার বাবা বরিশালের মানুষ। মামার বাড়িও বরিশালে। তাই শরীরে খাঁটি বাঙালের রক্তই বইছে। কিন্তু আমি মোহন বাগানের সমর্থক। শুনে চমকে ওঠার কিছু নেই। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সিনেমা তৈরি করতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর। এবার বিনামূল্যে ফিল্মমেকিং শেখাবে রামোজি ফাউন্ডেশন। হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটিতে এই কোর্সের সুযোগ দিচ্ছে সংস্থার রামোজি অ্যাকাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন। ৩ মাসের এই ফ্রি কোর্সে মূলত চারটি বিষয় শেখানো হবে।  ...

ইসলামাবাদ, ১৮ জানুয়ারি (পিটিআই): মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান পারভেজ মোশারফের আবেদন ফিরিয়ে দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, আগে মোশারফকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, তারপর আদালত তাঁর কোনও আবেদন শুনবে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু
১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম
১৯৯৬: রাজনীতিক ও অভিনেতা এন টি রামারাওয়ের মৃত্যু
২০০৩: কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের মৃত্যু
২০১৮ – বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট চন্ডী লাহিড়ীর মৃত্যু

18th  January, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৭ টাকা ৭১.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৯১.২২ টাকা ৯৪.৫১ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৫৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দশমী ৫১/১১ রাত্রি ২/৫২। বিশাখা ৪৩/১৫ রাত্রি ১১/৪১। সূ উ ৬/২৩/১, অ ৫/১১/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩৬ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
৪ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, নবমী ১/২৯/১৮ প্রাতঃ ৭/১/৩৬ পরে দশমী ৫৭/৪/৫ শেষরাত্রি ৫/১৫/৩১। বিশাখা ৪৯/৫১/৯ রাত্রি ২/২২/২১। সূ উ ৬/২৫/৫৩, অ ৫/১০/৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ গতে ১০/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৮/৪৮ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৭/৫৮ গতে ১/৮/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৭/২৭ গতে ৩/৬/৫৫ মধ্যে। 
মোসলেম: ২৩ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: আয় বাড়বে। বৃষ: কর্মরতদের জন্য সুখবর। মিথুন: শেয়ার বা ফাটকায় বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭৩৬: স্টিম ইঞ্জিনের জনক জেমস ওয়াটের জন্ম১৮৮৩: প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি ...বিশদ

07:03:20 PM

ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতল

09:12:25 PM

ভারত ২৩৫/২ (৪২ ওভার) , টার্গেট ২৮৭ 

08:40:48 PM

ভারত ১৩৮/১ (২৭ ওভার) , টার্গেট ২৮৭ 

07:39:39 PM

কলকাতা ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারাল মোহন বাগান 

07:36:41 PM