Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। তার উপর ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের কারণে আন্দোলন অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই ধরনের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন চোখে পড়েছে বলে মনে হয় না। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আন্দোলনের এই উত্তাল সময়ে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে ছিল প্রচুর প্রশ্ন। সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী কোনও রাজ্যে গেলে সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানোর দায় অবশ্যই থাকে রাজ্য সরকারের। সংবিধানে তো আর প্রতিটি বাক্য লেখা থাকে না। কিন্তু রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী এলে যে বিমানবন্দরে কোনও এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে যেতে হয়, বিমানবন্দরে অনুপস্থিত থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী কিছুক্ষণের মধ্যেই দেশনেতার সঙ্গে দেখা করেন, এই ধরনের নানারকম রীতিনীতি এদেশে সাত দশকের বেশি সময় ধরে চলছে। সেই সূত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কলকাতায় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন এটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে, রাজনীতিতে বিভিন্ন দলের বিভিন্ন মতামত থাকবে, এবং থাকবে বিশেষ বিশেষ রাজনৈতিক কৌশল। এর প্রেক্ষিতে বাম-কংগ্রেস পেশ করতে চাইছে বিজেপি-তৃণমূল গোপন আঁতাঁতের তত্ত্ব। বিজেপি বলছে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বাম সবাই একদলে হয়ে বিরোধিতা করছে বিজেপির, আদতে বাংলার মানুষের জনসমর্থনের নিরিখে এগিয়ে তারাই। সৌজন্য প্রকাশ বা রাজ্যের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনার জন্যে নয়, রীতিমত চাপে পড়েই নাকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তৃণমূলের বক্তব্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে দোষের কিছু নেই। সেটাই একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঠিক প্রশাসনিক ভূমিকা। তাদের মূল বক্তব্য হল সারা দেশে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে মেনে নিতেই হবে যে নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি কোনও গোপন আলোচনা করতে হয় সেক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন প্রযুক্তির অনেক উপায় আছে। তার জন্যে নেতানেত্রীর মুখোমুখি বসে কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ এখানে বুঝতে হবে যে সহজ সরল ‘সেটিং’য়ের তত্ত্ব সত্যি হোক কি না-হোক, তা ক্যামেরার সামনে দুই নেতানেত্রীর বৈঠক কিংবা একই অনুষ্ঠান মঞ্চে পাশাপাশি বসার অনুসিদ্ধান্ত হতে পারে না। কিন্তু তাঁরা দুজন এই যে একাধিকবার দেখা করলেন, অথবা নরেন্দ্র মোদি যে বেলুড়ে রাত কাটালেন তার মধ্যে দেশের সবথেকে পরিচিত দুই নেতানেত্রীর সুগভীর রাজনৈতিক ভাবনা থাকতেই পারে। কিন্তু গোপন আঁতাঁতের কারণে তাঁদের কলকাতায় বৈঠক করতে হচ্ছে—এই যুক্তি একেবারেই অতি সরলীকরণ। যেহেতু দু’জনেই রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় দেশের মধ্যে একেবারে প্রথম সারিতে, তাই তাঁরা ঠিক কী কী ভেবে এই সমস্ত পদক্ষেপ করেছেন তা হয় নিজেরাই জানেন, অথবা জানেন তাঁদের বিশ্বস্ত রাজনৈতিক সহযোগীরা। বাকিরা শুধুমাত্র চেষ্টা করতে পারেন দূর থেকে তা অনুধাবন করতে। সেটা ঠিকও হতে পারে, আবার ভুলও। তবে রাজনীতি যেহেতু সম্ভাবনার বিজ্ঞান, তাই নেতানেত্রীর কৌশল অনুমান করতে দোষ কোথায়?
পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু ভোট এখনও বেশিরভাগটাই তৃণমূলের দিকে। সেখান থেকে বিজেপির ভোট কাটার সম্ভাবনা বেশ কম। নাগরিকত্ব নিয়ে তীব্র আন্দোলন বজায় রাখতে পারলে সেই ভোটে ভাগ বসাতে পারে বাম-কংগ্রেস জোট। একই ঘটনা ঘটবে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মহাশয়ের নেতৃত্বাধীন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) নামক দলটি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে লড়তে এলে। তারা যদি সংখ্যালঘু জনমনে প্রভাব ফেলতে পারে, তাহলে ভোট কাটবে তৃণমূলের। এতে সুবিধে বেশি বিজেপির। অন্যদিকে এই মুহূর্তে হিন্দু ভোটের একটা বড় অংশ অবশ্যই বিজেপির দিকে, আবার সেখানে তৃণমূলের প্রতিও যথেষ্ট সমর্থন আছে। সেই ভোটের ভাগাভাগিটাও নির্বাচনী ফলাফলকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রসঙ্গে হিন্দু ভোটারদের আমরা তিনভাগে ভাগ করতে চাই। প্রথম হল একেবারে দক্ষিণপন্থী এবং তীব্র জাতীয়তাবাদী। এই ভোট বিজেপি থেকে সরার সম্ভাবনা খুব কম। দ্বিতীয় ভাগ হল মধ্যপন্থী। তাঁরা এই মুহূর্তে সিএএ ভালো না খারাপ সেই নিয়ে ভাবছেন। জাতীয়তাবোধ তাঁদের যথেষ্টই আছে, পড়শি দেশকে উচিত শিক্ষা দিলে তাঁরা খুশিই হন, কিন্তু একই সঙ্গে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত কাগজপত্র জোগাড়ের হয়রানির কথা ভেবে তাঁরা কিছুটা সন্দিহান এবং বিরক্ত। এই জায়গার ভোট মূলত ভাগ হয় বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে। তৃতীয় ভাগ হল প্রগতিশীল উদারবাদী হিন্দু। কংগ্রেস বা বামফ্রন্টের টিমটিমে সমর্থককুল মূলত এই জায়গা থেকেই আসে। তৃণমূলের পক্ষেও এখানে যথেষ্ট সমর্থন আছে। বুঝতে অসুবিধে হয় না যে এই ভাগ থেকে বিজেপির পক্ষে সমর্থন পৌঁছনোর সম্ভাবনা বেশ কম।
অর্থাৎ বিজেপি আর তৃণমূল এই মুহূর্তে যে অংশের জন্যে লড়াই করবে তা হল মধ্যপন্থী হিন্দু ভোট। তাই গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে যে নরেন্দ্র মোদির দু’দিনের (ঘণ্টার হিসেবে এক দিনের মতো) কলকাতা সফর এবং বেলুড়ে রাত্রিবাস এই ধরনের ভোটারদের উপর কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে? আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সংসদীয় গণতন্ত্রের সৌজন্যের আড়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই বার্তা দিতে পারেন যে তাঁর দলের মধ্যেও কিছুটা জাতীয়তাবাদী ভাবনা বর্তমান, সেক্ষেত্রে মধ্যপন্থী হিন্দু ভোটের উপর কিছুটা দখল রাখার সুযোগ থাকবে তাঁরও। সিএএ বিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হলে এই ভোটের সামান্য কিছু অংশ হয়তো বাম-কংগ্রেসের দিকেও যেতে পারে, তবে সে আলোচনায় আমরা আপাতত আর এগচ্ছি না।
এই প্রসঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর বেলুড় মঠে রাত্রিযাপন এবং এবং ভোরবেলা ধ্যান করার বিষয়গুলি। মনে রাখতে হবে হিন্দুদের একটা বড় অংশ রামকৃষ্ণ মিশনকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় আসার আগে এটা জানা ছিল যে তিনি বেলুড় মঠে যাবেন, কিন্তু সেখানে যে রাত কাটাবেন সেকথা সম্ভবত সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানা যায়নি। সে সংবাদ প্রচারিত হয় তিনি কলকাতা সফরে আসার দিনেই। ফলে এই খবরে চমক ছিল যথেষ্ট। তার উপর বেলুড় যাত্রা সড়কপথে নয়, বরং জলপথে গঙ্গা পার হয়ে। এর মধ্যে অবশ্যই দেশজ ঐতিহ্যের একটা ছোঁয়া আছে। সব থেকে বড় কথা, রাজভবনে না-থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী যে বেলুড় মঠে রাত্রিবাস করবেন, এতে তাঁর সাদামাটা জীবনযাপনের কথা জনমানসে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে তা বলাই বাহুল্য। তৃণমূল বা বাম-কংগ্রেসের গোঁড়া সমর্থকরা একে কৌশলী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখবেন। কিন্তু মধ্যপন্থী ধর্মপ্রাণ হিন্দু সমাজের কাছে এটি সরাসরি রাজনৈতিক চাল হিসেবে গণ্য হবে না মোটেই। তার কারণ বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি মহাশয়ের সম্পর্ক যুবা বয়স থেকেই। তাই নরম হিন্দুত্বের অনুগামী বাঙালি জনমানসে এর ইতিবাচক প্রভাব কিছুটা পড়বেই। অর্থাৎ যে মধ্যপন্থী হিন্দু ভোটাররা গত লোকসভায় বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু একইসঙ্গে নাগরিকত্ব সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে, তাঁদেরকে কিছুটা কাছে টানার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সম্ভবত সফল হতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। বেলুড়ে বিবেকানন্দের জন্মদিনে যুবদিবসের ভাষণে তাই বারবার প্রধানমন্ত্রীর গলায় উঠে এসেছে রাজনীতির কথা। সিএএ যে মানুষের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, তা কেড়ে নেওয়ার নয়, সেই কথা জোর গলায় প্রচার করেছেন তিনি।
ঠিক এই জায়গাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ। বাম-কংগ্রেস নাগরিকত্ব বিরোধী আন্দোলন এবং পশ্চিমবঙ্গে এআইএমআইএম-এর মৃদু উপস্থিতি সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তার সময় আসেনি তাঁর। তাই এখনও মধ্যপন্থী হিন্দু ভোটের দিকে নজর দেওয়ার সময় এবং সুযোগ থাকবে কিছুটা। সেই জায়গায় তীব্র মোদি-বিরোধী অবস্থান নিয়ে খুব লাভ হবে না। অর্থাৎ সোজা কথায় ব্রিটিশ নির্বাচনে জেরেমি করবিন অতি বামপন্থার যে পথ নিয়ে ভুগেছেন, সেই রাস্তা সযত্নে এড়িয়ে যেতে চাইছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তুলনায় তিনি হয়তো অরবিন্দ কেজরিয়ালের পদক্ষেপগুলি বঙ্গীয়করণের চেষ্টা করবেন। লক্ষ করলে দেখবেন যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী গত প্রায় এক বছর ধরে বিজেপির জাতীয়তাবাদী ভাবনা এবং তার রূপায়ণের তীব্র বিরোধিতা করছেন না একেবারেই। দিল্লির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাগরিকত্ব বিষয়ক আন্দোলন সমর্থন এবং বিরোধিতা এই দুই দিক থেকেই খুব সন্তর্পণে দূরত্ব বজায় রাখছেন তিনি। তুলনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিজেপি-বিরোধিতা বহুগুণে তীব্র। সেখানে একটু নরম মনোভাব দেখালে মধ্যপন্থী হিন্দু ভোটাররা হয়তো কিছুটা কাছে আসতে পারে। উল্টোদিকে সেই জায়গায় বাম-কংগ্রেস আরও জোর গলায় দাদা-দিদির সেটিংয়ের অভিযোগ তুলবে। ব্যঙ্গোক্তি শোনা যাবে ‘ক্যা ক্যা ছি ছি’ আর ‘কাছাকাছি’ গোছের শব্দবন্ধে। অর্থাৎ গোটা বিষয়টির রাজনৈতিক ব্যাখ্যা বহুমাত্রিক, এবং কীসে লাভ কীসে ক্ষতি তা এই মুহূর্তে বুঝতে পারা শক্ত। তবে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিতর্ক যে সামনের বছর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে তাতে কোনও সন্দেহই নেই।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত 
18th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
একনজরে
সংবাদদাতা, দিনহাটা: কমল গুহর ৯২ তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার থেকে দিনহাটায় দু’দিনব্যাপী স্বাস্থ্যমেলা শুরু হল। দিনহাটা সংহতি ময়দানে দুঃস্থ মহিলা ও শিশুকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যমেলা শেষ হবে আজ, রবিবার।  ...

অরূপ বিশ্বাস: আমার বাবা বরিশালের মানুষ। মামার বাড়িও বরিশালে। তাই শরীরে খাঁটি বাঙালের রক্তই বইছে। কিন্তু আমি মোহন বাগানের সমর্থক। শুনে চমকে ওঠার কিছু নেই। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সরকারের কাছ থেকে ধান নিয়ে ভানিয়ে চাল না দেওয়ায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি রাইস মিলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। কয়েকজন রাইস মিল মালিক এই অভিযোগে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। অভিযুক্ত রাইস মিলগুলিকে ফৌজদারি মামলা থেকে বেরিয়ে আসার শেষ সুযোগ দিচ্ছে ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর গ্রামে বিয়ের আট মাসের মাথায় এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, পেশায় দিনমজুর মৃত যুবকের নাম রাজীব মণ্ডল(২৫)। মাস আটেক আগে মুর্শিদাবাদের প্রথমকান্দি গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু
১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম
১৯৯৬: রাজনীতিক ও অভিনেতা এন টি রামারাওয়ের মৃত্যু
২০০৩: কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের মৃত্যু
২০১৮ – বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট চন্ডী লাহিড়ীর মৃত্যু

18th  January, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৭ টাকা ৭১.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৯১.২২ টাকা ৯৪.৫১ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৫৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দশমী ৫১/১১ রাত্রি ২/৫২। বিশাখা ৪৩/১৫ রাত্রি ১১/৪১। সূ উ ৬/২৩/১, অ ৫/১১/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩৬ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
৪ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, নবমী ১/২৯/১৮ প্রাতঃ ৭/১/৩৬ পরে দশমী ৫৭/৪/৫ শেষরাত্রি ৫/১৫/৩১। বিশাখা ৪৯/৫১/৯ রাত্রি ২/২২/২১। সূ উ ৬/২৫/৫৩, অ ৫/১০/৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ গতে ১০/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৮/৪৮ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৭/৫৮ গতে ১/৮/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৭/২৭ গতে ৩/৬/৫৫ মধ্যে। 
মোসলেম: ২৩ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: আয় বাড়বে। বৃষ: কর্মরতদের জন্য সুখবর। মিথুন: শেয়ার বা ফাটকায় বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭৩৬: স্টিম ইঞ্জিনের জনক জেমস ওয়াটের জন্ম১৮৮৩: প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি ...বিশদ

07:03:20 PM

ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতল

09:12:25 PM

ভারত ২৩৫/২ (৪২ ওভার) , টার্গেট ২৮৭ 

08:40:48 PM

ভারত ১৩৮/১ (২৭ ওভার) , টার্গেট ২৮৭ 

07:39:39 PM

কলকাতা ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারাল মোহন বাগান 

07:36:41 PM