বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বুধবার বিকেলে তিনি শিলিগুড়ি থেকে কলকাতায় এসেছেন বাবার সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলেও রয়েছেন রিচা। কিন্তু পাসপোর্ট পেতে সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। সেই সমস্যা মিটেছে। বুধবারই পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়ে। সব কিছু ঠিক থাকলে ২৩ জানুয়ারি হরমনপ্রীত কাউরদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবেন তিনি।
টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর বদলে গিয়েছে রিচার ক্রিকেট জীবন। ঘন ঘন শুভেচ্ছা বার্তা ভেসে উঠছে তাঁর মোবাইলে। তবে প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকতে চান। বি সি রায় ক্লাব হাউসে দাঁড়িয়ে রিচা বললেন, ‘দেশের হয়ে এখনও একটা ম্যাচ খেলিনি। তাই টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে একটু অবাকই হয়েছিলাম। বিশ্বকাপে মাঠে নামার সুযোগ পেলে সেরাটা মেলে ধরার চেষ্টা করব। মূলত ব্যাটসম্যান হিসেবেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ডাক পেয়েছি। চার নম্বরে ব্যাট করি। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে কত নম্বরে খেলাবে জানি না। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ফিনিশারের ভূমিকা পালন করতে চাই। বোলারের মাথার উপর দিয়ে শট খেলতে ভালো লাগে। তাতে ঝুঁকি অনেক কম।’
উইকেটকিপিংয়ের পাশাপাশি রিচা মিডিয়াম পেসও করেন বাংলার হয়ে। সেই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘এটা আমার প্রথম বিদেশ সফরও। তার জন্য অবশ্য বাড়তি কোনও চাপ নেই। বরং উপভোগ করছি। শুনেছি, অস্ট্রেলিয়ার পিচে বাউন্স বেশি থাকে। জোরে বোলাররা সুবিধা পায়। বল করার সুযোগ আদৌও আসবে কিনা জানি না। তবে দু’দিকেই স্যুইং করাতে পারি। আমাকে বল করালে সেই অস্ত্র প্রয়োগ করব।’
উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন রিচা। তবে মহিলাদের বিশ্বকাপে ভারতের জার্সি গায়ে উইকেটের পিছনে দাঁড়াবেন তানিয়া ভাটিয়া। কারণ, তিনিই প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে স্কোয়াডে আছেন। তবে প্রয়োজনে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন বলে জানিয়েছেন রিচা।