Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ: পুতুলনাচের ইতিকথা
জিষ্ণু বসু

নাচায় পুতুল যথা দক্ষ বাজিকরে/ নাচাও তেমনি তুমি অর্বাচীন নরে। —কবি নবীনচন্দ্র সেনের এই বিখ্যাত পঙ্‌ক্তি আজ ভীষণ প্রাসঙ্গিক মনে হয়। গত মাসাধিক কাল সামান্য কিছু অতি বুদ্ধিমান আমাদের মতো অর্বাচীনদের পুতুলের মতো নাচাচ্ছেন। জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রচার মাধ্যমও অতি যত্নসহকারে তা পরিবেশন করছে।
রাষ্ট্রসংঘ ভারতকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সাত দশকে ভারতের সাধারণ মানুষ এই শিরোপা অর্জন করেছেন। এক রাজনৈতিক শক্তি থেকে অন্য রাজনৈতিক শক্তিতে ক্ষমতা বদল হয়েছে। কিন্তু দেশ নিজের গতিতেই চলেছে। গত মাত্র দু’বছরে আধ ডজনেরও বেশি রাজ্যে রাজনৈতিক দল বদলে গেল। বহু দশকের রাজনৈতিক জোট পাল্টে গেল, রাজনৈতিক সমীকরণ উল্টে গেল, জাতীয় দল ও আঞ্চলিক দলের উত্থান-পুনরুত্থান হল। কিন্তু গণতন্ত্রই জিতে গিয়েছে। জরুরি অবস্থার সামান্য কিছু সময়ের দুঃস্বপ্নের দিনগুলি বাদ দিলে গণতন্ত্রের পতাকা কখনও ভূলুণ্ঠিত হয়নি।
এর সবটুকু কৃতিত্ব ভারতের সাধারণ মানুষের। বুকের পাঁজর যেমন ছোট্ট হৃদপিণ্ডকে ঘিরে রাখে তেমন আপাতদৃষ্টিতে সরল, দেহাতি, বোকাসোকা মানুষেরা গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এই সংখ্যাটাই বেশি। এটিই গণতান্ত্রিক ভারত। যাঁরা ভোট দেন, বন্দুকের নলকে ক্ষমতার উৎস মনে করেন না। রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের একাংশের এত প্রতারণার পরেও গণতন্ত্রের উপরেই ভরসা রাখেন। এই ভারতের চেহারায় জৌলুস নেই, বিলিতি উচ্চারণে অনর্গল ইংরেজি বলতে পারে না, তবে বংশপরম্পরায় দেশটাকে ভালোবাসে।
খুব সামান্য সংখ্যক মানুষ এই গণতান্ত্রিক ভারতের বিপক্ষে। কারণ, তাঁরা যে মতাদর্শে বিশ্বাস করেন তাতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্থান নেই। এই মুষ্টিমেয় মানুষের একমাত্র উদ্দেশ্য ভারতকে ‘টুকরো টুকরো’ করা। একটু লক্ষ করলেই বোঝা যায় যে অসহিষ্ণুতার নামে বিশ্ববাসীর কাছে গণতান্ত্রিক ভারতকে ছোট করাই হোক, কাশ্মীরের ভয়ানক নরসংহারকারীর জন্য মধ্য রাত্রে সুপ্রিম কোর্ট খোলার ব্যবস্থাই হোক কিংবা আজ শত শত ছাত্রের ভবিষ্যৎ বাজি রেখে নিজেদের অগণতান্ত্রিক বক্তব্য চাপানোর নিষ্ঠুর প্রয়াস, সবকিছুর পিছনে সেই হাতেগোনা কয়েকজন বাজিকর।
মজার ব্যাপার হল, আমাদের দেশের প্রচারমাধ্যমের একটা বড় অংশ এঁদের ফেলো ট্রাভেলার। কারণটা আদর্শগত নস্ট্যালজিয়া না পেশাগত ঋণশোধ, না কি নিছকই সস্তায় ‘নু্ইসেন্স ভ্যালু’ কাজে লাগানো? এই নিয়ে বৃহত্তর বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু বাস্তব হল—কলকাতার রাস্তায় গণতন্ত্রপ্রেমী হাজার হাজার মানুষের কণ্ঠস্বর চেপে দেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র ছয়-সাতজনের গণতন্ত্র-বিরোধীর বেয়াদপি প্রবল গুরুত্ব দিয়ে প্রথম পাতায় ছবিসহ দেখানো হয়।
বৈদ্যুতিন মাধ্যমে ওই হাতেগোনা মানুষের মুখই উঠে আসে। কোন অজ্ঞাত কারণে কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাহুল পণ্ডিতিয়া বা অনুপম খেরের মতো ভুক্তভোগী লেখক বা অভিনেতার বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ পায় না জানি না। কিন্তু, লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের কথা অমৃত সমান! এই বাজিকরদের কথায় মনে হয় যে—দেশের সব দুঃখের কারণ হল ভারতীয় গণতন্ত্র! দেশটা আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রসাতলে যাবে! তাই ছাত্রদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টুকু ব্যয় করে, শিল্পী সাহিত্যিকদের সব পুরস্কার ফেরত দিয়ে, কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বর্বরোচিত ভাবে হেনস্তা করে এর প্রতিবাদ করা উচিত! আজও ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাজি রাখছেন ওই ‘পরিণত বুদ্ধি’র কয়েকজন। জেএনইউ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে ওই গরিব ছাত্রদের কথাও তো প্রচারে আসা উচিত, যাঁরা পরিবারের সবটুকু সামর্থ্য দিয়ে দিল্লিতে কেবল লেখাপড়া শিখতে এসেছিলেন। তাঁরা নতুন বছরে অনলাইন ফর্ম ভরেছিলেন। রুষ্ট জেএনইউএসইউ প্রতিবাদীদের দাপটে সার্ভার রুম ভেঙে চুরমার হয়ে গেল, বহু টাকার অপটিকাল কেবল কেটে টুকরো টুকরো হল, সেইসঙ্গে এঁদের ভবিষ্যৎটাও। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ এমনই একটা বিষয় ছিল। ভারতের মুসলমান সম্প্রদায়ের এতে ক্ষতির কোনও সম্ভাবনা নেই। এই আইন একটি সার্বভৌম দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রচিত হয়েছে। এতে কোনও মানুষের নাগরিকত্ব বা কোনও অধিকার কেড়ে নেওয়ার কথা বলা নেই। বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে যাঁরা ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে দেশভাগের পর থেকেই অত্যাচার সহ্য করেছেন, বর্তমান সরকার তাঁদের নাগরিকত্ব দিতে চান। এই তিনটি দেশেই ইসলাম ‘রাষ্ট্রধর্ম’। তাই সেখান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে কোনও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতে আসেননি। তাই অত্যন্ত স্বাভাবিক কারণে সিএএ-তে মুসলমান সম্প্রদায়ের নাম নেই।
ওই অত্যাচারিত মানুষগুলির অবস্থা তথাকথিত মহাপণ্ডিতরা জানেন না? সারা পৃথিবীর মানবাধিকারের জন্য যাঁদের ঘুম হয় না, তাঁরা পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের উপর পাশবিক অত্যাচারের কথা শোনেননি! কিন্তু ওই মহামানবেরা ওই মানবিক কাজে কেবল বাধাই দিলেন না, অনেক মাথা খাটিয়ে গভীর সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দিলেন। যখন স্টেশনের পর স্টেশন জ্বলছে, কাতারে কাতারে বাস পোড়ানো হচ্ছে, গ্রামের পর গ্রাম থেকে হিন্দুদের বিতাড়ন করা চলছে, তখন অনেক সাংবাদিক বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন করেছেন, এসব করছেন কেন? প্রায় কেউই বিক্ষোভের কারণটা বলতে পারেননি।
ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, কেউ অত্যন্ত যত্ন করে সাম্প্রদায়িকতার বীজ স্থানে স্থানে বপন করেছে। যে স্লোগানটি এই ক’দিন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে তা কোনও মাদ্রাসায় তৈরি হয়নি—‘সে ইট অন দ্য ব্যারিকেড লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌’। শেষ অংশটি কোনও মাদ্রাসা বা জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে যোগ করা হতে পারে। একদম সোজা অর্থ—লা (নেই) ইলাহা (ঈশ্বর) ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া)—‘আল্লাহ ছাড়া অন্যকোনও ঈশ্বর নেই।’ কিন্তু ‘সে ইট অন দ্য ব্যারিকেড’ এই অংশটি এল কোথা থেকে?
এই প্রসঙ্গে মনে পড়ছে ফার্দিনান্দ ডে লা ক্রোয়ার আঁকা ফরাসি বিপ্লবের বিখ্যাত প্রতীকী ছবিটির কথা—‘লিবার্টি অন দ্য ব্যারিকেডস’—যেখানে রাইফেল হাতের সেই মহিলা, যাঁর ঊর্ধ্বাঙ্গে কোনও বস্ত্র নেই। এই ছবির সঙ্গে মাদ্রাসার কোনও দূরগামী যোগও নেই। এই উদ্ভাবন ওই কতিপয় বাজিকরের ঊর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত। কিন্তু, যে-পথে জেহাদি উগ্রপন্থার কোনও নির্দেশ ভারতের প্রতি প্রান্তে পৌঁছে যায়, এক্ষেত্রেও সেই একই পথ ব্যবহৃত হয়েছে।
কিন্তু দেশের মধ্যে এই বিশৃঙ্খলা তৈরি করে গরিব দেশটার কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি পরিকল্পনামাফিক নষ্ট করে এঁদের কী লাভ? সঠিক উত্তর একটাই—‘ভারত তেরে টুকড়ে হোঙ্গে’। কিন্তু সুবিধাটা হল, এই পণ্ডিতদের কেউ প্রশ্ন করেন না, তাঁরাই কেবল গণতন্ত্রকে প্রশ্ন করেন। ভারত অসহিষ্ণু, কাশ্মীরে মানবাধিকার নেই, তিন তালাকের বিলোপে সংখ্যালঘুদের প্রাণান্তকর অবস্থা! আচ্ছা, সোভিয়েত রাশিয়ার অসহিষ্ণুতা তো আজ শিশুপাঠ্য কাহিনীতেও এসে গেছে। কবি ভারভারা রাও তো কয়েকটা কবিতা লিখতে পারেন তার উপরে। চীনে উইঘুর গোষ্ঠীর মুসলমান সম্প্রদায়ের মানবাধিকারের একটা সাম্প্রতিক ইতিহাসের প্রবন্ধ তো লিখতেই পারেন রামচন্দ্র গুহ। প্রগতিবাদী ঔপন্যাসিক জানেন, বাংলাদেশের গণধর্ষিতা কোনও নমঃশূদ্র মেয়ের হৃদবিদারক কাহিনী তাঁকে লিখতে হবে না।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির অধিকর্তা সি এন ভট্টাচার্য এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। মাওবাদীরা কীভাবে কাশ্মীরের মুজাহিদিনদের মাধ্যমে আফগানিস্তানের তালিবানদের কাছ থেকে ‘রেডিও কন্ট্রোল্ড এক্সপ্লোসিভ’ এবং ‘আল্ট্রা হাই ফ্রিকোয়েন্সি’ রিমোট কন্ট্রোল প্রযুক্তি এদেশে প্রথম এনেছিল। এরাজ্যে এত শিক্ষিত চকচকে ব্যক্তিত্ব মাওবাদীদের সমর্থনে টিভিতে আসেন, কাগজের সম্পাদনা করেন, উত্তর সম্পাদকীয় লেখেন কিন্তু ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পরে কেউ তাঁদের প্রশ্ন করেনি, যে এত ভয়ানক প্রযুক্তি ভারতে আনা হল কেন? ভারতের কোন গরিব মানুষটি এতে উপকৃত হয়েছেন?
২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় আবার সেই দুই ভীষণ ভারত-বিরোধী শক্তি এক হয়েছে। কিন্তু ঝকঝকে চেহারার উচ্চশিক্ষিত তুখোড় ইংরেজি বলা পরিকল্পনকারীরা জানেন যে, ‘সে ইট অন দ্য ব্যারিকেড লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌’ ঩তৈরি করে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ানোর পরেও কেউ তাঁদের প্রশ্ন করবে না। সংসদীয় গণতন্ত্রে যাঁদের বিশ্বাস, তাঁরাও নাচলেন সুতোর টানে। পূর্ববঙ্গ থেকে আসা সব হারানো অত্যাচারিত হিন্দু উদ্বাস্তুরা সিপিএম তথা বামফ্রন্টকে দু’হাত ভরে দিয়েছেন। নিজে উদ্বাস্তু কলোনিতে বড় হওয়ার সুবাদে আমাদের পরিবারগুলির উপর পার্টির প্রভাব খুব কাছ থেকে দেখেছি। ব্রিগেডে বা কোনও বড় মিটিং হলে বাড়িতে বাড়িতে কমরেডরা বলে যেতেন, ‘‘মাসিমা, চাইরখান কইর‌্যা রুটি।’’ মা, জেঠিমারা ওই দারিদ্র্যের মধ্যেও অতি যত্নে নিজেদের হাতেগড়া কাগজের ঠোঙায় চারটি রুটি, একটু তরকারি আর এক টুকরো ভেলি গুড় দিয়ে পাঠাতেন অচেনা কোনও কমরেডের জন্য। সম্ভবত, সেই কৃতজ্ঞতাবোধ থেকেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত ২০১২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি লিখে বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসা উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। এই অত্যাচারিতদের সাধারণভাবে অর্থনৈতিক কারণে এদেশে আসা মানুষদের থেকে আলাদা করে বিবেচনার কথাও তিনি তাঁর চিঠিতে স্পষ্ট করে লিখেছিলেন। কিন্তু আজ পার্টি তাদের পুরনো অবস্থান থেকে সরে এসেছে। তাদের আন্দোলন, ভারত বন্‌ধ এইসবকিছুতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পূর্ববঙ্গের হিন্দু উদ্বাস্তুরা। উদ্বাস্তুদের নির্বোধ মনে করে থাকলে তাঁরা খুব ভুল করেছেন। চিরদিনের মতো ছিন্ন হয়ে গেল—‘‘মাসিমা, চাইরখান রুটির সম্পর্ক।’’
এই ব্যাপারে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ধরনের রাজনীতি করছেন সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করতে পারছি না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে উঠে আসা তাঁর মতো অত্যন্ত সফল একজন জননেত্রীর পক্ষে এটা বেমানান। আর ইতিহাস এসব মনে রেখে দেয়। আন্দোলনের নামে গত একমাসে রাজ্যে যে বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি ধংস করা হয়েছে, সে ব্যাপারেও সরকারের ভূমিকায় নিরপেক্ষতার অভাব স্পষ্ট। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা দেবী নিশ্চয় এটা চাননি, তবু ঘটে গিয়েছে। পুতুলনাচের বাজিকরদের সাফল্য এখানেই।
 লেখক কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত। মতামত ব্যক্তিগত  
18th  January, 2020
মানুষকে সঙ্কটে ফেলা ছাড়া নোটবাতিলের
আর কোনও উদ্দেশ্যই সফল হয়নি 
হিমাংশু সিংহ

আর-একটা সাধারণ বাজেট পেশ হতে চলেছে দু’সপ্তাহের মধ্যে। নিঃসন্দেহে এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য, বেনজির আর্থিক মন্দার মোকাবিলা করা, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং একইসঙ্গে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে চাঙ্গা করা। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির নরেন্দ্র মোদি যতই নিজের ঢাক পেটান না কেন, দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে জর্জরিত। 
বিশদ

প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে। 
বিশদ

18th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে 
হারাধন চৌধুরী

বাঙালি বেড়াতে ভালোবাসে। বেড়ানোর সুযোগটা পাশপোর্ট ভিসা নিয়ে বিদেশে হলে তো কথাই নেই। কিন্তু গন্তব্য যদি বাংলাদেশ, আর দাবি করা হয় বিদেশ-ভ্রমণের, তবে অনেকেই মুখ টিপে হাসবেন। কারণ, বাংলাদেশকে ‘বিদেশ’ ভাবার মানসিকতা আমাদের গড়ে ওঠেনি। 
বিশদ

17th  January, 2020
হৃদয়জুড়ে মানবসেবা
মৃণালকান্তি দাস

সমকাল তাঁকে যথেষ্ট লজ্জা দিয়েছিল! নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে কপর্দকহীন এক সন্ন্যাসীকে নিগৃহীত করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিনিধি প্রতাপচন্দ্র মজুমদার।  স্বামীজির বিজয়কীর্তিকে ধূলিসাৎ করতে নিজের ‘ইউনিটি অ্যান্ড দি মিনিস্টার’ পত্রিকায় স্বামীজিকে ‘নবহিন্দু বাবু নরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সম্বোধন করে বলা হয় যে, তিনি নাকি যুবাবয়সে ব্রাহ্মসমাজে আসেন  শুধুমাত্র  ‘নববৃন্দাবন’ থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য।  
বিশদ

17th  January, 2020
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি
শুভময় মৈত্র

সম্প্রতি (১১-১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কলকাতা ভ্রমণকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে উঠেছিল। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংক্রান্ত বিতর্কে হইচই চলছে সারা দেশে। কলকাতার এক বড় অংশের বামমনা বুদ্ধিজীবী মানুষ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন। প্রথম থেকেই তৃণমূল সিএএ বিরোধী আন্দোলন করছে।  
বিশদ

16th  January, 2020
উপমহাদেশে সহিষ্ণুতার আন্দোলনের ক্ষতি হচ্ছে
হারাধন চৌধুরী

সিএএ, এনআরসি প্রভৃতি ভারতের মানুষ গ্রহণ করবেন কি করবেন না, তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও হয়নি। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে—এই ইস্যুতে ব্যাহত হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা দ্রুত পিছিয়ে পড়ছি। পাশাপাশি এই অধ্যায় বহির্ভারতে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আমাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না যার দ্বারা অন্তত বাংলাদেশে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইটা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উদ্বাহু নৃত্য করে পাকিস্তানের মৌলবাদী শক্তি। 
বিশদ

16th  January, 2020
রাজনীতির রঙের বাইরে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

যে পড়ুয়ারা আজ পথে নেমেছে, তারা তো শিক্ষিত! এঁটেল মাটির তালের মতো। যুক্তি দিয়ে বোঝালে তারা অবাধ্য হয় না। তা না করে নয়াদিল্লি বা উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে পাল্টা ধোলাই দেওয়ার রাস্তা নিয়েছিল পুলিস। আর বলা হয়েছে, মানতে না পারলে পাকিস্তানে চলে যাও। এটাই কি ভারতের মতো গণতন্ত্রের থেকে পাওনা? যুব সমাজ কিন্তু মানছে না। মানবেও না। দিন নেই, রাত নেই তারা কখনও ক্যাম্পাসে ধর্নায় বসছে, কখনও রাজপথে। তাদের লড়াই আজ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন আগ্রাসী কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে।
বিশদ

14th  January, 2020
হবু-গবুর রাজ্যে তৈরি হচ্ছে ভক্ততন্ত্র তালিকা
সন্দীপন বিশ্বাস

সকালবেলা মন্ত্রী গবু হন্তদন্ত হয়ে হবুরাজার ঘরে ঢুকে গিয়ে দেখেন রাজামশাই কম্পিউটারের সামনে বসে ‘কমান্ডো এনকাউন্টার শ্যুটিং গেম’ খেলছেন। মহারাজা পুরোপুরি বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত হয়ে কম্পিউটারের ভিতর যেন ঢুকে পড়েছেন। গেমটা খুব মজার এবং কঠিন। বন্দুক নিয়ে একজন কমান্ডার ঢুকে পড়েছে শত্রুদের ঘাঁটিতে। 
বিশদ

13th  January, 2020
নয়া স্থিতাবস্থা যুবসমাজকে রুষ্ট করছে
পি চিদম্বরম

এই ২০২০ সালের ভারতকে ১৯৬৮ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেখাচ্ছে। ১৯৬৮-তে ফ্রান্সের পরিস্থিতিও অনুরূপ ছিল। আমার মনে আছে ১৯৬৮-তে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাজকর্ম ভেঙে পড়েছিল। আর এই বিপর্যয় থেকে দেশকে উদ্ধারের দায়িত্ব বর্তেছিল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর। ১৯৬৮-র এই যে বিরাট সঙ্কট তার মূল কারণ ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ।  
বিশদ

13th  January, 2020
স্বামী বিবেকানন্দের দৃষ্টিতে মানুষের কথা বলাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম
হিমাংশু সিংহ

আজ ১২ জানুয়ারি। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তারকাখচিত বাঙালি জাতির ইতিহাসে মহামানবের জন্মদিনের তালিকা কম দীর্ঘ নয়। তার মধ্যেও তিন শ্রেষ্ঠ ভারতসন্তানের জন্মদিনের মাহাত্ম্য শতবর্ষ পরেও প্রতিবছরই গোটা জাতিকে আবেগে শ্রদ্ধায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।  
বিশদ

12th  January, 2020
সরকারি প্রকল্প বনাম ভোট মেরুকরণ
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির ভোট মেরুকরণের রাজনীতি মোকাবিলার একমাত্র হাতিয়ার সামাজিক প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা বাড়ানো। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে বেনিফিসিয়ারির সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফিডব্যাক বলছে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং বাংলা আবাস যোজনায় ঘরের চাহিদা প্রচুর।
বিশদ

11th  January, 2020
নতুন ভারত
সমৃদ্ধ দত্ত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনধিকারীদের প্রবেশে কেউ আপত্তি করলে, বিরুদ্ধমতাবলম্বীদের বাছাই করে করে মারতে হবে। এবং মাথায় মারাই নিয়ম এক্ষেত্রে। কারণ দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাশক্তি এবং ভাবনায় ফারাক করে দেয় একটাই জিনিস, মাথা অর্থাৎ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কেই থাকে মেধা। সুতরাং মাথাকে সবরকম ভাবে টার্গেট করাই যুক্তিযুক্ত ভাবা হচ্ছে। এভাবে একটি প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, হয় মগজ ধোলাইয়ের কোর্স চালু হোক অথবা মাথা ফাটানোর পারমিশন দেওয়া হোক। একান্তই যদি এগুলো সম্ভব না হয়, তা হলে যে সব মনীষী আধুনিক উন্নত চিন্তাশক্তির জনক, তাঁদের মূর্তি ভাঙতে হবে। যেমন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে হয়েছে। ভাঙতে হলে বাঙালি মনীষীর মূর্তিই হয় টার্গেট। মাথায় মারতে হলেও বাঙালি ছাত্রী ও অধ্যাপিকাই টার্গেট হয়। বিশদ

10th  January, 2020
একনজরে
অরূপ বিশ্বাস: আমার বাবা বরিশালের মানুষ। মামার বাড়িও বরিশালে। তাই শরীরে খাঁটি বাঙালের রক্তই বইছে। কিন্তু আমি মোহন বাগানের সমর্থক। শুনে চমকে ওঠার কিছু নেই। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সরকারের কাছ থেকে ধান নিয়ে ভানিয়ে চাল না দেওয়ায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি রাইস মিলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে। কয়েকজন রাইস মিল মালিক এই অভিযোগে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। অভিযুক্ত রাইস মিলগুলিকে ফৌজদারি মামলা থেকে বেরিয়ে আসার শেষ সুযোগ দিচ্ছে ...

ইসলামাবাদ, ১৮ জানুয়ারি (পিটিআই): মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধান পারভেজ মোশারফের আবেদন ফিরিয়ে দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, আগে মোশারফকে আত্মসমর্পণ করতে হবে, তারপর আদালত তাঁর কোনও আবেদন শুনবে। ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: কমল গুহর ৯২ তম জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার থেকে দিনহাটায় দু’দিনব্যাপী স্বাস্থ্যমেলা শুরু হল। দিনহাটা সংহতি ময়দানে দুঃস্থ মহিলা ও শিশুকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যমেলা শেষ হবে আজ, রবিবার।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৪৭: সঙ্গীতশিল্পী কে এল সায়গলের মৃত্যু
১৯৭২: ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলির জন্ম
১৯৯৬: রাজনীতিক ও অভিনেতা এন টি রামারাওয়ের মৃত্যু
২০০৩: কবি হরিবংশ রাই বচ্চনের মৃত্যু
২০১৮ – বিশিষ্ট বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট চন্ডী লাহিড়ীর মৃত্যু

18th  January, 2020


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৭ টাকা ৭১.৮৭ টাকা
পাউন্ড ৯১.২২ টাকা ৯৪.৫১ টাকা
ইউরো ৭৭.৬১ টাকা ৮০.৫৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
18th  January, 2020
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪০,৫৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৮,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৯,০৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৬,৮০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৬,৯০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৪ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, দশমী ৫১/১১ রাত্রি ২/৫২। বিশাখা ৪৩/১৫ রাত্রি ১১/৪১। সূ উ ৬/২৩/১, অ ৫/১১/১৭, অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ গতে ৯/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫৫ গতে ৮/৪১ মধ্যে। বারবেলা ১০/৩৬ গতে ১/৮ মধ্যে। কালরাত্রি ১/২৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। 
৪ মাঘ ১৪২৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২০, রবিবার, নবমী ১/২৯/১৮ প্রাতঃ ৭/১/৩৬ পরে দশমী ৫৭/৪/৫ শেষরাত্রি ৫/১৫/৩১। বিশাখা ৪৯/৫১/৯ রাত্রি ২/২২/২১। সূ উ ৬/২৫/৫৩, অ ৫/১০/৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ গতে ১০/০ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৮/৪৮ মধ্যে। কালবেলা ১১/৪৭/৫৮ গতে ১/৮/৩০ মধ্যে, কালরাত্রি ১/২৭/২৭ গতে ৩/৬/৫৫ মধ্যে। 
মোসলেম: ২৩ জমাদিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: আয় বাড়বে। বৃষ: কর্মরতদের জন্য সুখবর। মিথুন: শেয়ার বা ফাটকায় বিনিয়োগ ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৭৩৬: স্টিম ইঞ্জিনের জনক জেমস ওয়াটের জন্ম১৮৮৩: প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি ...বিশদ

07:03:20 PM

ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জিতল

09:12:25 PM

ভারত ২৩৫/২ (৪২ ওভার) , টার্গেট ২৮৭ 

08:40:48 PM

ভারত ১৩৮/১ (২৭ ওভার) , টার্গেট ২৮৭ 

07:39:39 PM

কলকাতা ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে ২-১ গোলে হারাল মোহন বাগান 

07:36:41 PM