বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
২০০৯ থেকে ২০১৮, এই সময়কালে ইউরোপের বিভিন্ন লিগকে পিছনে ফেলেছিল লা লিগা। তার প্রধান কারণ অবশ্যই মেসি ও রোনাল্ডোর উজ্জ্বল উপস্থিতি। আর্জেন্তাইন মহাতারকাটি বরাবরই শ্রদ্ধা করেন সিআরসেভেনকে। কিন্তু রোনাল্ডোর মধ্যে এই অনুভূতি সেরকমভাবে নেই। তিনি সবসময় নিজেকে এক এবং অদ্বিতীয় বলেই মনে করেন। সপ্তাহখানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডোর মন্তব্য ছিল, ‘ব্যালন ডি’ওর পাওয়ার নিরিখে মেসি এই মুহূর্তে আমায় পিছনে ফেলেছে। কিন্তু এখনই ফুটবল ছাড়ছি না। যথেষ্ট সময় পড়ে রয়েছে। মেসি অবশ্যই ফুটবলের ইতিহাসে ঠাঁই পাবে। কিন্তু ছয়, সাত কিংবা আটবার ব্যালন ডি’ওর জেতাই আমার লক্ষ্য। কোনও সন্দেহ নেই, আমিই সর্বোত্তম। যেভাবে খেলে এসেছি এবং খেলে চলেছি তাতে নিজের থেকে বিশ্বের অন্য কাউকে এগিয়ে রাখতে পারছি না। কেউ আমায় দ্বিতীয় স্থানে রাখতেই পারেন। তাতে আমার মত বদলাবে না।’ তবে মেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলে পর্তুগিজ মহাতারকাটি বলেন, ‘মেসির সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাই আমাকে নিখুঁত করে তুলেছে। ওর সঙ্গে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা আমি উপভোগ করি। বার্সেলোনার হয়ে ও যেভাবে বছরের পর বছর সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরছে তা এক কথায় অতুলনীয়। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আমি জুভেন্তাসে যোগ দেওয়ার সময় মেসি দুঃখপ্রকাশ করেছিল। জানি, আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও পছন্দ করে। শুধু ফুটবল নয়, অনেক খেলাতেই এরকম সুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে। বাস্কেটবলে মাইকেল জর্ডনের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে, ফরমুলা ওয়ানে আয়ার্টন সেনা ও অ্যালান প্রস্টের মধ্যে সুস্থ লড়াইয়ের কথা অনেকেরই জানা। ঠিক সেরকমই আমার সঙ্গে মেসির সম্পর্ক। ওকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য আমি নিজেকে উদ্বুদ্ধ করি। মনে হয়, মেসির ক্ষেত্রেও ব্যাপারটি এক। আমি ট্রফি জিতলে তা নাড়া দেয় ওর মনকেও। আমাদের মধ্যে পেশাদার সম্পর্ক অবশ্যই রয়েছে। বছরের পর বছর আমরা একই মঞ্চে পারফর্ম করছি। হয়তো এখনও পর্যন্ত আমরা দু’জনে একসঙ্গে নৈশভোজ সারিনি। তবে ভবিষ্যতে এই দৃশ্য দেখা যেতেই পারে। ওর সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নিতে আমার কোনও সমস্যা নেই।’