পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
গত ২৫ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার পর রাজ্যের প্রায় ৪০টি হলে ওই ছবি দেখানো শুরু হয়। বেশকিছু হলে টানা পাঁচ সপ্তাহ এই ছবি চলেছিল। আটপৌরে শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চটি পরা এক প্রতিবাদী ছাত্রী থেকে লড়াকু নেত্রী হওয়ার কাহিনী সুন্দরভাবে ফুটিয়ে রাতারাতি সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন রুমাদেবী। মহামারী পরিস্থিতির মধ্যেও ‘বাঘিনী’ নিয়ে সিনেমাপ্রেমী মানুষজনের উৎসাহ ছিল। গত ২মে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যাশিতভাবেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা। টিভির পর্দায় বাংলার বাঘিনীকে তৃতীয়বার শপথ নিতে দেখে আবেগ ও উত্তেজনায় ভাসছিলেন পর্দার বাঘিনী। তাঁর কথায়, এবার তৃণমূল নেত্রীর লড়াই অনেক কঠিন ছিল। দীর্ঘদিন দলে থাকার পরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, বিধায়ক নেতা দল ছেড়ে বিপক্ষ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের মুখে একাধিক কেন্দ্রীয় এজেন্সি অধিক মাত্রায় সক্রিয় ছিল। তারপরও মুখ্যমন্ত্রীকে টলানো যায়নি।
বাংলার মানুষের সমর্থন এতটুকুও ক্ষয় হয়নি। রাজ্যবাসী উপুড়হস্তে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। গত দশ বছরের মতো আগামী পাঁচ বছরও রাজ্যের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। কন্যাশ্রীর স্রষ্টার হাত ধরে বাংলায় মেয়েরা আগামী দিনে আরও এগবে।
রুমাদেবী বলেন, আমার আশা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে বাংলার মা, বোনেরা ভালো থাকবেন। তিনি তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় আমি ভীষণ আনন্দিত। দীর্ঘদিন ধরে লড়াই, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দিদির সাফল্যের ধারা অব্যাহত। সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তিনি উঠে এসেছেন। কেউ তাঁকে এই জায়গাটি ছেড়ে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সবরকম যোগ্যতা তাঁর আছে। বাংলা থেকে যেভাবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন আগামীদিন দেশবাসী চাইলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমরা সেই আশায় থাকলাম। বাঙালি একজন প্রধানমন্ত্রী হলে খুব আনন্দ পাব। তারচেয়ে আনন্দের কিছু হয় না। নিজস্ব চিত্র