শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
ঘাটাল মহকুমায় কোনও রেল যোগাযোগ নেই। তাই সারা মহকুমা বাসিন্দাদেরই পাঁশকুড়া-চন্দ্রকোণা রাস্তার উপর চলাচলকারী রুটের বাসের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। এমনিতে এদিন সকাল থেকেই রুটে বাস ছিল না বললেই চলে। ওই রাস্তার উপর দিয়ে সকালের দিকে দু’ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি বাস চলেছিল। তারপর বেলা ৮টা নাগাদ হলদিয়ামুখী গড়বেতা-হলদিয়া বাসটি ক্ষীরপাই শহরে পৌঁছতেই বিজেপির কর্মীরা বাসটিকে ঘিরে ধরেন। প্রথমে বাসের চালক ও বাসকর্মীদের বাস থেকে নেমে আসতে বলেন। তারপর বাসের যাত্রীদের জানান, এই বাস আর গন্তব্যস্থলে যাবে না। ব্রিগেড নিয়ে যাওয়া হবে। তাই যাত্রীদের নেমে যেতে হবে। ওই বাসেই ছিলেন চন্দ্রকোণা শহরের বাসিন্দা বাপন দাস। তিনি বলেন, আমার বাবা ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁকে কিছু পোশাক ও টাকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়েছিলাম। সকালের দিকে বাস দু’টিতে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। তাই বাচ্চা নিয়ে উঠতে পারিনি। এই বাসটিতে উঠতে পারলেও আমাদের মাঝ পথে নামিয়ে দেওয়া হল। চন্দ্রকোণা থানার ঝাঁকরা থেকে মালতী মণ্ডলকে তাঁর দাদা সাইকেলে করে চন্দ্রকোণা-পাঁশকুড়া রাস্তার কালিকাপুরে ওই বাসে তুলে দিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। সঙ্গে তিন বছরের কন্যাকে নিয়ে মালতীদেবীর পূর্ব মেদিনীপুরের কেশাপাটে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। তাঁকে ওই বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর তিনি তো দিশাহারা হয়ে পড়েন। মালতীদেবী বলেন, পরের বাসে উঠলেও যদি মাঝরাস্তায় আবার সমস্যা হয়, তাই আর ঝুঁকি নিলাম না। আমি দাদাকে ফোন করি। সে আবার ১২ কিলোমিটার সাইকেলে করে এসে আমাকে নিয়ে যাবে বলেছে। এইভাবে এদিন বহু মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়। ফলে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ বিজেপির উপর। তৃণমূলের চন্দ্রকোণা-১ ব্লক সভাপতি সুজয় পাত্র বলেন, আসলে বিজেপি সব ক্ষেত্রেই দাদাগিরি করে। মানুষের সুবিধে-অসুবিধের কথা উপলব্ধি করে না। ওদের হাতে ক্ষমতা গেলে কী হতে পারে, তা আম-জনতা বুঝতে পারছেন।