শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছি না। দু’টি থানার সমস্ত বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে। স্পর্শকাতর সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন) বৈভব চৌধুরী বলেন, নির্বাচন পরিস্থিতিতে কমিশনের কাছে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট পাঠাতে হয়। ওই রিপোর্ট পুলিসের তরফ থেকে তৈরি করা হয়। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কোনও বুথকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়। বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারব। প্রশাসন তথা জেলা নির্বাচন দপ্তর জানিয়েছে, ওই দুই থানার সিংহভাগ এলাকা নিয়ে বৈষ্ণবনগর ও সুজাপুর বিধানসভা গঠিত হয়েছে। বর্তমানে বৈষ্ণবনগর বিধানসভায় ৩৪৭টি এবং সুজাপুর বিধানসভায় ৩৫৬টি বুথ রয়েছে। ফলে ৭০৩টি বুথকেই এবার স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হতে পারে। মালদহের অন্যান্য বিধানসভাতেও স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে জেলায় মোট স্পর্শকাতর বুথ অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বেশি হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর মালদহ জেলা প্রশাসনের তরফে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে স্পর্শকাতর বুথ সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়। ভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই জেলায় মোট ৯৬৪টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে প্রশাসন চিহ্নিত করেছিল। রাজনৈতিক দল ও সমাজের বিভিন্ন অংশের অভিযোগ বা মতামতের উপর ভিত্তি করে এ ধরনের বুথের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র আভাস দিয়েছিলেন।
জেলাশাসক জানান, কোনও এলাকায় ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন করছে এমন লোকজন থাকলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত করা হয়। ভীতি প্রদর্শনকারীর বিরুদ্ধে পুলিস আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। পাশাপাশি ভীত সন্ত্রস্ত ভোটারদের মনে সাহস জোগাতে প্রশাসনের তরফে আস্থা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ সেই পদক্ষেপের অন্যতম অঙ্গ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে এবার জেলাশাসক এবং পুলিস সুপার প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় টহল দেবেন। জেলা পুলিস এবং প্রশাসনের শীর্ষ দুই কর্তা প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। ইতিমধ্যে তাঁরা ইংলিশবাজার শহরে রুটমার্চে অংশ নিয়েছেন।
জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, বৈষ্ণবনগর ও কালিয়াচক থানা এলাকার মাঝেমধ্যেই আমাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ওই দুই থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অত্যন্ত স্পর্শকাতর। গোরু, জালনোট, মাদক, অস্ত্র সহ অন্যান্য বেআইনি সামগ্রী ওই এলাকার সীমান্ত দিয়ে বেশি পাচার হয় বলে অভিযোগ। ফলে ওই দুই থানা এলাকা সারা বছরই দেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরে থাকে। নির্বাচনের সময় আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছি না। সেই কারণে সমস্ত বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করেই ভোটের নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিতে চাইছি। আমাদের রিপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। তা নির্বাচন কমিশনের কাছে দ্রুত পাঠানো হবে। কমিশন সবুজ সঙ্কেত দিলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।