Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

যেখানে ‘ডবল ইঞ্জিন’
সেখানেই হেরেছে বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির নেতাদের মুখে ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর প্রশংসার ফুলঝুরি ফুটছে। তাঁরা বোঝাতে চাইছেন, কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই দলের সরকার থাকলে প্রচুর উন্নতি হবে। কলকারখানা হবে। চাকরি হবে। মাস্টারমশাই, সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে। ডবল ইঞ্জিনের যদি এতই মহিমা, তাহলে মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাজস্থানের, ছত্তিশগড়ের, ঝাড়খণ্ডের, মধ্যপ্রদেশের মানুষ বিজেপিকে ঘাড়ধাক্কা দিল কেন? ওই সব রাজ্যে তো বিজেপির সরকার ছিল। ‘ডবল ইঞ্জিনে’ রাজ্য ভালো চললে বিজেপির তো আরও শক্তিশালী হয়ে ক্ষমতায় ফেরার কথা। কিন্তু ঘটেছে ঠিক তার উল্টোটা। বিজেপি হারল। কেন? আসলে ‘ডবল ইঞ্জিন’ বিজেপির ‘ফাঁদ’। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার মতোই এটাও ভাঁওতা। এই টোপ ত্রিপুরা গিলেছে বলে বাংলা তা খাবে, ভাবাটা ভুল। বিজেপির দিল্লির নেতারা বোধহয় বাংলার প্রবাদটা জানেন না, নেড়া বেলতলায় একবারই যায়। বিজেপি নেতারা ডবল ইঞ্জিনকে ‘রোল মডেল’ করতে চাইছেন। সেই কারণে নরেন্দ্র মোদিই তাঁদের মুখ। অর্থাৎ বঙ্গে বিজেপি এলে রিমোটটা দিল্লির হাতে। কিন্তু সত্যিই কি ‘ডবল ইঞ্জিনে’র সরকার মানুষের পছন্দ, নাকি তা থেকে মুক্তি চায়?
এবার দেখা যাক, যে ডবল ইঞ্জিনের স্বপ্ন বাংলার মানুষকে বিজেপি দেখাচ্ছে, তার পরিণতিটা কী? মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি দীর্ঘদিন সরকার চালিয়েছে। দিল্লিতে যখন কংগ্রেস তখন থেকেই ওই সমস্ত রাজ্যে বিজেপির সরকার। একবার নয়, দু’বার নয়, কোনও কোনও রাজ্যে বিজেপি তিনবার সরকার গড়েছে।
২০১৪ সালে মোদিজি প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় বিজেপি শাসিত রাজ্যের মানুষ অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই দলের সরকার হওয়ায় উন্নয়নের জোয়ার বইবে। কারণ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁদের ব্যর্থতা ঢাকতে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের বঞ্চনাকে ‘ঢাল’ করতেন। কেন্দ্রে বিজেপি বসায় সেই বৈষম্য ঘুচবে। কেন্দ্র ঢালাও অর্থ দেবে। কিন্তু, ঘটল ঠিক তার উল্টো। কেন্দ্রীয় সরকারের তালে তাল ঠুকতে গিয়ে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা রাজ্যের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিলেন। বেশি টাকা আদায় তো দূরের কথা, কেন্দ্রের যাবতীয় জনবিরোধী নীতির দায় তাঁদের ঘাড়ে গিয়ে পড়ল। প্রতিবাদ করতেও পারলেন না। কারণ টুঁ শব্দ করলেই গর্দান(মুখ্যমন্ত্রিত্ব) যাওয়ার ভয়। তাই তাঁরা চুপচাপ কেন্দ্রের সমস্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিলেন। মুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়ানোর ভয়ে নেতারা চুপ থাকতে পারেন, কিন্তু রাজ্যের মানুষ সহ্য করবেন কেন? তাঁরা প্রতিবাদ জানালেন। কিন্তু, দিল্লি বহু দূর। নাগালের মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকার। সেটাকেই উল্টে দিলেন।
তার ফলে ছত্তিশগড়ের তিনবারের বিজেপি সরকারের পতন হল। শুধু পতন হল না, মুখ থুবড়ে পড়ল। ৯০টি আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র ১৫টি, আর কংগ্রেস দখল করল ৬৮টি আসন। বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’-র সরকার লাইনচ্যুত হল।
মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহানেরও একই হাল। কেন্দ্রে যখন কংগ্রেস সরকার ছিল তখন বিজেপি একের পর এক নির্বাচন জিতে রাজ্যে সরকার গড়েছে। কিন্তু, রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের ইঞ্জিন জুড়তেই ‘শিবাজি এক্সপ্রেস’ উল্টে গেল। তারপর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ভাঙিয়ে কোনওরকমে গদি বাঁচালেন।
ঝাড়খণ্ডেও বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিনে’র সরকারও হল কুপোকাৎ। তাও আবার রাজনীতিতে নবাগত হেমন্ত সোরেনের কাছে। হরিয়ানাতেও একই অবস্থা। সেখানেও বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল না। শেষপর্যন্ত ‘বিজেপির চাণক্যে’র হস্তক্ষেপে তৈরি হল বিজেপির মিলিজুলি সরকার।
এবার রাজস্থান। ২০১৩ সালে রাজস্থানের ক্ষমতা দখল করেছিলেন বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বসলেন মোদিজি। চলতে লাগল ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকার। তাতে রাজ্যবাসী খুশি হওয়ার বদলে খেপে গেল। ২০১৮ সালে উল্টে গেল বিজেপির ‘রাজমাতা এক্সপ্রেস’! সরকার গড়ল কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেসকে ভাঙার জন্য বিজেপি লড়ে যাচ্ছে। কারণ নীতি নয়, ক্ষমতাই বিজেপির লক্ষ্য।
এই হল বিজেপির ডবল ইঞ্জিনের ‘সাফল্যে’র ইতিহাস। একের পর এক রাজ্যে ‘ডবল ইঞ্জিন’ গোঁত্তা খাওয়া সত্ত্বেও বিজেপির নেতারা সেটাই মোক্ষলাভের রাস্তা বলে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কারণ ‘স্বপ্ন’ ছাড়া ভাঁড়ারে কিছু নেই। এখন বঙ্গের মানুষ সেই ‘স্বপ্নের ফানুসে’ চড়বেন কি না, একুশের নির্বাচন তারই পরীক্ষা।
এবার দেখা যাক, সিঙ্গল ইঞ্জিনের সরকার কাজ করতে পারে কি না? ১৯৭৭ সালে এরাজ্যে বামফ্রন্ট যখন ক্ষমতায় এল তখন দিল্লিতে কংগ্রেস সরকার। উভয়ের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক। যে কোনও মুহূর্তে সরকার ভেঙে দেওয়ার আশঙ্কা বুকে নিয়ে বামফ্রন্টের পথ চলা শুরু। বামফ্রন্ট নেতৃত্ব বুঝেছিল, সরকার টিকিয়ে রাখতে গেলে কাজ করতে হবে। তাই তারা প্রথম থেকেই ‘জনগণের সরকার’ হওয়ার চেষ্টা করেছিল। সেই লক্ষ্যেই ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ। পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করিয়েছিল। হয়েছিল ভূমি সংস্কার। জোতদারের জমি কেড়ে দিয়েছিল গরিবকে। এসবই ছিল ‘সিঙ্গল ইঞ্জিন’ সরকারের সাফল্য।
প্রতিযোগিতায় দক্ষতা বাড়ে। গণতন্ত্রের প্রতিযোগিতায় উন্মুক্ত হয় জনহিতকর প্রকল্পের দরজা। সরকারে টিকে থাকার জন্য জারি থাকে মানুষকে পাশে পাওয়ার প্রয়াস। সেটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবজুসাথী, বিনা পয়সায় রেশন, বিনা পয়সায় হাসপাতালে চিকিৎসা, মা, সমব্যথী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্প চালু করে প্রমাণ করেছেন, ইঞ্জিনের শক্তি নয়, অভিমুখটাই আসল। মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছাটাই বড়। ইচ্ছা থাকলে উপায় বের হয়। বিজেপি নেতারা কথায় কথায় গুজরাতের উন্নয়নের উদাহরণ দেন। ধরেই নিলাম, মোদিজির নেতৃত্বে গুজরাতে উন্নয়ন হয়েছে। তাহলে সেটাও হয়েছিল ‘সিঙ্গল ইঞ্জিনে’র সরকারের আমলেই। কারণ তিনি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, তখন কেন্দ্রে ছিল কংগ্রেস সরকার। বরং গুজরাতে ‘গোধরা কাণ্ড’ ঘটেছিল ‘ডবল ইঞ্জিনে’র আমলেই। অটলবিহারী বাজপেয়ি তখন প্রধানমন্ত্রী, আর মুখ্যমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। লর্ড অক্টন বলেছিলেন,‘অ্যাবসল্যুট পাওয়ার কোরাপ্টস অ্যাবসল্যুটলি’। ‘ডবল ইঞ্জিনের’ কথা যাঁরা বলছেন, লর্ড অক্টনের সেই কথাটা তাঁদের আরও একবার স্মরণ করানো দরকার।
ইঞ্জিনটা ডবল নাকি সিঙ্গল, সেটা বড় নয়। আসল কথা হল, ইঞ্জিনের অভিমুখ কোন দিকে। উন্নয়নে নাকি বেসরকারিকরণে? কেন্দ্রীয় সরকারের কাজ বলে দিচ্ছে, বিলগ্নিকরণের পক্ষে বিজেপি। তাই রেল থেকে বিমান, সর্বত্র ঢালাও বেসরকারিকরণ শুরু করে দিয়েছে। বছরে ২কোটি বেকারের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসে রেলে, ব্যাঙ্কে, ডাক বিভাগে ও টেলিকমে লক্ষ লক্ষ পদ পূরণ করছে না। চক্রান্ত অনেক গভীরে। কর্মী কমলে ব্যাহত হবে পরিষেবা। মানুষজন বিরক্ত হয়ে ঝুঁকবে অন্যদিকে। তখন সরকারি সংস্থাকে রুগ্ণ দেখিয়ে ‘বেওসায়ি’দের বেচে দেবে। আর কেনার লোক তো হাতে গোনা।
মজার কথা হল, বিজেপির ওই সব নেতাই বঙ্গের বেকার সমস্যার সমাধানের কথা বলছেন। যাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের অসীম ক্ষমতা সত্ত্বেও চাকরি দিতে পারছেন না, তাঁরা রাজ্যের বেকারদের চাকরি দেবেন কী করে? জাদু নাকি? বলি, সব কিছুর যদি সীমা থাকে, ধাপ্পাবাজির থাকবে না কেন! দেশে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন। এই অবস্থাতেও কেন্দ্রের সরকার পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে। আর গ্যাসের অবস্থা আরও খারাপ। রাতে শুতে যাওয়া আর ঘুম ভাঙার ম঩ধ্যেই সিলিন্ডারের দাম বেড়ে যাচ্ছে ২৫ থেকে ৫০টাকা। আচমকা বাড়িয়ে দিল লোকাল ট্রেনের ভাড়াও। তিন মাস চাষিরা রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। কিন্তু সরকার তোয়াক্কা করছে না। সবেতেই যেন ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব।
ডবল ইঞ্জিনের ‘রোল মডেল’ নাকি উত্তরপ্রদেশ! সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মালদহে নির্বাচনী প্রচারে এসে বলেছেন, বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ বানাবেন। ‘সুশাসন’ প্রতিষ্ঠা করবেন। যখন তিনি একথা বলছেন, ঠিক তার ২৪ ঘণ্টা আগে তাঁরই রাজ্যের হাতরাসে ঘটে গিয়েছে এক ভয়াবহ কাণ্ড। শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত গুলি করে মেরেছে নির্যাতিতার বাবাকে। এটা ‘সুশাসন’? দোহাই যোগীজি, দয়া করে বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ বানাবেন না। ফ্যাসিস্ট শক্তির কাছে ‘প্রতিবাদ’ বরাবরই অসহ্য। আর ‘প্রতিবাদ’ মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেসরকারিকরণের প্রতিবাদ, কৃষি আইনের প্রতিবাদ, পেট্রল-ডিজেল-গ্যাসের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদ, এনআরসির প্রতিবাদ। তাই উপড়ে ফেলতে হবে ‘প্রতিবাদের কাঁটা’। বিজেপির নজর এখন সেদিকেই।
বঙ্গে নির্বাচন। তাই ঝাঁকে ঝাঁকে আসছেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। এমনকী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠেছে ‘জলভাত’। লক্ষ্য একটাই, বঙ্গজয়। কারণ তাঁরা খুব ভালো করেই জানেন, লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বাংলা থেকেই হবে বিজেপির শেষের শুরু। তাই বঙ্গের নির্বাচন বিজেপির কাছে হয়ে উঠেছে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ। 
06th  March, 2021
অর্থনীতির পাশাপাশি স্বাধীনতাও বিপন্ন
পি চিদম্বরম 

ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কি না তা একটা বিতর্কের বিষয়। চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধির যে এস্টিমেট ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস (এনএসও) দিয়েছে, সরকার সেটাকে ‘সেলিব্রেট করছে’। 
বিশদ

বাইশে উত্তরপ্রদেশে কুড়ি
দফায় ভোট হবে তো!
হিমাংশু সিংহ 

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে শুরু করেছে। খেলেঙ্গে, লড়েঙ্গে, জিতেঙ্গে আবেগে ভাসছে নন্দীগ্রাম। সব পক্ষই বলছে, খেলা হবে। বাংলা ও বাঙালির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়ঙ্কর নির্ণায়ক খেলা। বহিরাগত শক্তি বনাম হাসিমুখে ঘরের মেয়ের লড়াই। তবে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়েই খেলতে হবে। তাকে আক্রান্ত করে, জখম করে নয়। 
বিশদ

07th  March, 2021
বিদায় শ্রেণিসংগ্রাম, স্বাগত টুম্পা
সমৃদ্ধ দত্ত

আত্মীয় অথবা পরিবারের মধ্যে কিছু কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে দেখা যায়, যাঁরা কোনও একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর সেটি যে শ্রেষ্ঠ, সেকথা উচ্চৈঃস্বরে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। অন্যদের মতামত অথবা মৃদু বিরোধিতাকে পাত্তা দেন না তাঁরা। কিন্তু পরে যখন প্রমাণ হয় যে, ওই সিদ্ধান্ত শুধু যে ভুল ছিল তা‌ই নয়, গোটা পরিবারের পক্ষেও ক্ষতিকর হয়ে গিয়েছে, তখনই বিড়ম্বনার সৃষ্টি। 
বিশদ

05th  March, 2021
নদীবাঁধ রক্ষাই সুন্দরবনের অস্তিত্বের প্রধান শর্ত
কান্তি গাঙ্গুলী

প্রাচীন ইতিহাসে টলেমি ও মেগাস্থিনিসের বিবরণে গঙ্গারিডি বলে যে ভূখণ্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়, আজকের সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন নিম্নগাঙ্গেয় উপত্যকা সম্ভবত সেই ভূখণ্ডই। কলকাতার এন্টালি অঞ্চলটির নামকরণের পিছনে হেঁতাল গাছের প্রভূত উপস্থিতির কারণও হয়তো বিদ্যমান।  
বিশদ

04th  March, 2021
গোল্লায় যাবে শিল্প-সংস্কৃতি
ব্রাত্য বসু 

বাংলা ও তার সংস্কৃতি বাঁচাতে গেলে বহিরাগত এই বিজেপি রাজনীতিকে ঠেকাতেই হবে। বিজেপি কখনও বাংলায় এসে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বদলে দিচ্ছে, কখনও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে তছনছ করছে, কখনও চৈতন্যদেবের মৃত্যুর অন্তত দুশো বছর পরে তাঁকে কাটোয়ায় জীবিত করে তুলছে, কখনও আবার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষণে ঔপন্যাসিক না লিখে বলছে ‘উপনিবেশিক’। 
বিশদ

04th  March, 2021
মোদির সব প্রতিশ্রুতি যেন গল্পদাদুর আসর
সন্দীপন বিশ্বাস 

হঠাৎই জহর রায়ের একটি কৌতুক নকশা মনে পড়ল। এক ভদ্রলোক একটি ঘর ভাড়া নিতে গিয়েছেন। ঘর দেখে পছন্দও হয়েছে। দু’টি ঘর, রান্নাঘর, সঙ্গে আলাদা বাথরুম। কিন্তু ভাড়া শুনে ভদ্রলোকের মাথার চুল খাড়া হয়ে গেল। ভাড়া ৫০০ টাকা।  
বিশদ

03rd  March, 2021
৮ দফার পর নিশ্চয়ই রিগিংয়ের
অভিযোগ উঠবে না!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সেশন সাহেব, বড্ড মিস করছি আপনাকে। আপনি বলতেন, ‘গণতন্ত্র হল এমন একটা ব্যবস্থা, যেখানে আইনের শাসন সবার জন্য সমানভাবে বলবৎ থাকবে।’ সব মানুষের জন্য। সব রাজনৈতিক দলের জন্য। আপনি প্রমাণ করেছেন, এটা ছেলে ভুলানো গল্প নয়।  
বিশদ

02nd  March, 2021
আদালতগুলি স্বাধীনতার ঘণ্টাধ্বনি দিচ্ছে
পি চিদম্বরম

ঠিক যখন আমরা আশা ছেড়ে দিচ্ছি, তখনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ব্যক্তি স্বাধীনতার বর্মটা হারিয়ে যায়নি। আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কিত স্বাক্ষর হয়েছিল ১৭৭৬-এর ৪ জুলাই। 
বিশদ

01st  March, 2021
কে প্রধান শত্রু, আজ ব্রিগেডে
পরিষ্কার করুক সিপিএম 
হিমাংশু সিংহ

প্রয়াত সলিল চৌধুরী আজ বেঁচে থাকলে ‘টুম্পা সোনা’ শুনে কী বলতেন জানি না। তবে তাঁর ‘ও আলোর পথযাত্রী’ কিংবা ‘ঢেউ উঠছে কারা টুটছে’ যে এত তাড়াতাড়ি ব্রাত্য হয়ে যাবে কে ভেবেছিল! অভাবে স্বভাব নষ্ট আর দুর্দিনে চরিত্র। তাই আর ঘোমটার তলায় খ্যামটা নাচ নয়। 
বিশদ

28th  February, 2021
মমতাকে ঠেকাতে শেষে ‘রামধনু’ জোট
তন্ময় মল্লিক

‘এই বাংলা যতটা আব্বাস সিদ্দিকির ততটাই দিলীপ ঘোষের। দক্ষিণ ভারত থেকে এসেছেন ওয়াইসি, তাঁরও ততটাই অধিকার।’এখানে শেষ হলে মনে হতো, এটি কোনও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের বক্তব্য। উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে এর পরের কথায়, ‘ওয়াইসি এসে এখানে মিম তৈরি করলে দিদিমণির টেনশন হচ্ছে কেন? 
বিশদ

27th  February, 2021
বাংলা নয়, আগে যোগী-রাজ্য নিয়ে কথা বলুন
মৃণালকান্তি দাস

‘ঠোক দিয়ে যায়েঙ্গে’! এটাই নাকি উত্তরপ্রদেশ থুড়ি উত্তমপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্র। যোগী নিজের রাজ্যকে ‘উত্তমপ্রদেশ’ বলতেই ভালোবাসেন। তিনি স্বপ্ন ফেরি করেন, এই রাজ্য নাকি সবেতেই ‘উত্তম’। কেমন সেই রাজ্য? 
বিশদ

26th  February, 2021
কর্পোরেট তোষণের ফলেই তেল অগ্নিমূল্য
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় 

সরকার যদি নিজেই দাম বাড়ায়, তাহলে পেট্রল ডিজেলের দাম কমবে কী করে? জ্বালানির দাম নিত্য বাড়ছে। স্বাধীন ভারতে এটা রেকর্ড যে পরপর নয়দিন দাম বাড়ল। গত দেড় মাসে ২১ বার দাম বাড়ল পেট্রল ও ডিজেলের, এবং একমাসের মধ্যে দু’বার গ্যাসের 
বিশদ

25th  February, 2021
একনজরে
ভিবজিওর-এর কলকাতায় থাকা সম্পত্তির নিলাম হতে চলেছে। এজন্য ওই চিটফান্ড সংস্থার তালাবন্ধ থাকা সম্পত্তিগুলি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বিচারপতি এস পি তালুকদার কমিটি। ...

কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার সমস্ত বুথকেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করার সুপারিশ করছে মালদহ জেলা পুলিস। ...

গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মুম্বই সিটি এফসি। এবার তাদের লক্ষ্য, সোমবার দ্বিতীয় পর্বের সেমি-ফাইনালে এফসি গোয়াকে হারিয়ে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করা। ...

করোনাকালে জীবন বাজি রেখে দেশের মানুষকে বাঁচিয়েছেন। তার প্রতিদানে বেতন বাড়ছে মাত্র এক শতাংশ। এই ইঙ্গিত পেয়ে ব্রিটেনের বরিস জনসন সরকারের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ ন্যাশনাল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নারীদিবস
১৮৩৬- কলকাতায় পাবলিক লাইব্রেরির উদ্বোধন হয়
১৯০৮- চট্টগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম সেনানী লোকনাথ বলের জন্ম
১৯৩০- মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়
১৯৭৪- অভিনেতা ফারদিন খানের জন্ম  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.২৯ টাকা ৭৪.০০ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৫১ টাকা ১০৩.০১ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
07th  March, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫, ৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩, ১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৩, ৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৬, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৬, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
07th  March, 2021

দিন পঞ্জিকা

২৪ ফাল্গুন, ১৪২৭, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১। দশমী ২৪/৩৩ দিবা ৩/৪৫। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র ৩৬/৫১ রাত্রি ৮/৪০। সূর্যোদয় ৫/৫৫/৫৩, সূর্যাস্ত ৫/৩৯/১৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩১ পুনঃ ১০/৩১ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২২ গতে ২/৩৯ মধ্যে মাহেন্দ্রযোগ দিবাধ ৩/১৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে। বারবেলা ৭/২৩ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ২/৪৩ গতে ৪/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে।  
২৩ ফাল্গুন ১৪২৭, সোমবার, ৮ মার্চ ২০২১। দশমী সন্ধ্যা ৫/৩৮। পূর্বাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১০/৩২। সূর্যোদয় ৫/৫৮, সূর্যাস্ত ৫/৩৯। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে ও ১০/৩০ গতে ১২/৫৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৩৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ১১/১৯ গতে ২/২৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২০ গতে ৪/৫৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/২৬ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ২/৪৪ গতে ৪/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে।  
২৩ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল : টাইব্রেকারে ম্যাচ জিতে ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি
 

10:36:07 PM

আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনাল গড়াল অতিরিক্ত সময়ে
 

09:38:35 PM

ফের কলকাতা মেট্রোতে চালু হচ্ছে টোকেন ব্যবস্থা
ফের আগামী ১৫ মার্চ থেকে কলকাতা মেট্রোতে চালু হচ্ছে টোকেন ...বিশদ

09:05:49 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ০ – গোয়া ০ (হাফটাইম) 

08:26:33 PM

কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কমলাকান্ত হাঁসদা  

07:57:48 PM

স্ট্যান্ড রোড সংলগ্ন বহুতলে আগুন
স্ট্যান্ড রোডে রেলের একটি ভবনে আগুন। জানা গিয়েছে, ওই বহুতলটির ...বিশদ

06:58:00 PM