শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রের খবর, বীরভূমে প্রার্থী হতে প্রায় ২০০জনের বেশি নেতা-কর্মী আবেদন করেছেন। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাঁকে যেখানে প্রার্থী করবেন তাঁকে সেখানকার নেতা-কর্মীরা সমর্থন করবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। শুধু তাই নয়, দলের জেলা কমিটির নেতা ছাড়াও প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন বহু বিজেপি কর্মীও। এক একটি কেন্দ্রে আবেদনের তালিকায় ১৫-২০জনেরও বেশি নাম রয়েছে। এই তালিকা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকা বাছাইয়ে বেশ কয়েকটি দিক বিচার করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যা খতিয়ে দেখা হবে তার কয়েকটি হল-এলাকায় প্রার্থীর ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা, দলের সঙ্গে কতদিনের সম্পর্ক, দলকে কতটা নেতৃত্ব দেন, যেখান থেকে আবেদন করেছেন সেখানকার ভূমিপুত্র কিনা, রাজনীতি ছাড়া অন্য কোনও বিতর্কিত মামলায় অভিযুক্ত কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। বিজেপি সূত্রের খবর, জেলার কিছু কেন্দ্রে বহিরাগতরা প্রার্থী হতে পারেন। যদিও দলীয় কর্মীদের দাবি, স্থানীয় এমন কেউ যেন প্রার্থী হন, যাঁকে মানুষ সব সময় কাছে পাবেন।
বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘিরে জেলার আদি ও নব্যর ইগোর লড়াই অজানা নয়। আদি প্রার্থীরা বার বার দাবি করেছেন, তাঁরা জেলার নানা ভোটে প্রার্থী হয়ে হারলেও দলকে একটা স্থানে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। তাই দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে আদি নেতারাই প্রার্থী পদের প্রথম দাবিদার। বিজেপির নব্যদের পাল্টা দাবি, এলাকার উন্নয়নে পরবর্তী প্রজন্মকে প্রাধান্য দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
দলের আদি নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্জুন সাহা বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ে নানা বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। এবার বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রার্থী বাছাই করছেন। তবে যাঁদের ভোটে লড়ার কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে তাঁদেরকে নিশ্চয় দল কাজে লাগাবে। নতুনরা দলের সৈনিক। দল তাদের নানা কাজে ব্যবহার করবে। প্রাক্তন জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, আবেদন তো প্রচুর জমা পড়েছে বলে শুনলাম। তবে এর বাইরেও দল কাউকে প্রার্থী করতে পারে।
বিজেপি এই প্রার্থী তালিকা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিনহা বলেন, ওরা বীরভূমে প্রার্থী করতে লোক পাচ্ছে না। আমাদের দলে জেলা নেতৃত্ব কর্মীদের কাজের গুণমান দেখে সম্ভাব্য তালিকা রাজ্যকে পাঠায়। আর রাজ্য যেটা সঠিক মনে করলে তা ঘোষণা করে। তৃণমূল পার্টির প্রতিটি বিষয় নীতি মেনে চলে। যা বিজেপিতে নেই।