অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সচিব অনুপকুমার রায় বলেন, জেলায় বাকি থাকা প্রায় ২০হাজার শৌচালয় আগামী দু’মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলিকে নির্মাণকাজে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান রয়েছে। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে গোটা রাজ্যে প্রাথমিকভাবে ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪৪৫টি শৌচালয় তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এছাড়াও পরবর্তীকালে আরও ৪ লক্ষ ৪২ হাজার ৩১টি শৌচালয় তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়। তার মধ্যে প্রথম ধাপে ৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৪৮৮টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ১লক্ষ ২৮হাজার ৯২৮টি সম্পূর্ণ হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও বাকি রয়েছে ৫ লক্ষ ৮৪হাজার ৬০টি। মূলত ওই আর্থিক বছরের একবারে শেষ পর্যায়ে লকডাউন চলায় নির্মাণকাজ থমকে যায়। তবে বর্তমানে লকডাউন কিছুক্ষেত্রে শিথিল হতেই গোটা রাজ্যেই বাকি থাকা শৌচালয় তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে। একইভাবে বাঁকুড়াতেও বাকি থাকা প্রায় ২০ হাজার শৌচালয় তৈরির ব্যাপারেও জেলা পরিষদ থেকে ব্লকে ব্লকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’বছর আগে বাঁকুড়া জেলা নির্মল বলে ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীকালে অনেক পরিবার বিভক্ত হয়েছে। এছাড়াও কয়েক বছর আগের বেস লাইন সার্ভের তালিকা থেকে শৌচালয়হীন বহু পরিবার বাদ চলে গিয়েছিল। তাই খাতায় কলমে নির্মল ঘোষণা হলেও জেলার বহু পরিবারকে এখনও বাইরে শৌচকর্ম সারতে যেতে হচ্ছে। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনাও হয়। একই সমস্যা অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রেও দেখা যায়। সেটা উপলব্ধি করেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে শৌচাগারহীন পরিবারে শৌচালয় তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাতে গোটা রাজ্যে মোট ১২লক্ষ ৭৭হাজার ৪৭৬টি পরিবার তালিকাভুক্ত হয়। এরপর দ্রুত অর্থ মঞ্জুর করে শুরু হয় নির্মাণকাজ। ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত মোট ৬লক্ষ ৯৩হাজার ৪০০টি শৌচালয় তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়। আগামী দু’মাসের মধ্যে অসম্পূর্ণ এবং বাকি থাকা শৌচালয় সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।