অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
জলঙ্গির চরকাটমারির পঞ্চায়েত সদস্য মাইনুল হক বলেন, কিছু কিছু মৎস্যজীবী সারাবছর নদীতে মাছ ধরেন। সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা তাদের ভালোভাবেই চেনে। তাদের নদীতে নামতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু কিছু মৎস্যজীবী নির্দিষ্ট সময়ে নদীতে মাছ ধরেন। তাঁদের ক্ষেত্রে আমাদের সার্টিফিকেট লাগছে। ‘এই ব্যক্তি বাইরের রাজ্যে কাজ করতে যাননি’ এই মর্মে সার্টিফিকেট দিতে হচ্ছে। যাঁরা বাইরের রাজ্য থেকে ফিরেছেন তাঁদের আমরাও সার্টিফিকেট দিচ্ছি না। তবে আমাদের সার্টিফিকেট দেখার পরও বিএসএফ একপ্রস্থ জেরা করছে। মৎস্যজীবী হারণ শেখ বলেন, এই সময়ে নদীতে পিওলি, চিংড়ি, বেলে মাছ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাজারেই তা বিক্রি হয়ে যায়। করোনার দাপট শুরু হওয়ার পর নদীতে কড়াকড়ি হয়েছে। পরিচয়পত্র না দেখিয়ে কেউই নদীতে নামার অনুমতি পাচ্ছে না। আরেক মৎস্যজীবী মোজাম্মেল শেখ বলেন, পদ্মায় সারাবছরই মাছ পাওয়া যায়। বর্ষার সময় ইলিশ বেশি পাওয়া যায়। এই নদীর উপর জেলার কয়েক হাজার মৎস্যজীবী নির্ভর করে থাকেন। আমরা কোনওদিনই বাইরে কাজ করতে যাই না। পদ্মাই আমাদের অন্ন জোগায়। তাই আমরা চাইব এই সময়ে পদ্মা সুস্থ থাক। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে করোনার দাপট বাড়তেই সীমান্তে নিরপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। পদ্মার উপরও নজরদারি বেড়েছে। বাংলাদেশ থেকে কেউ যাতে মাছ ধরার সময় এদেশের সীমান্তে ঢুকতে না পারে তা দেখার জন্য নদীতে টহলদারি চলছে। এক আধিকারিক বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকার বহু যুবক মুম্বই, চেন্নাই, গুজরাত সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরেছেন। তাই এইসময় পদ্মায় নামার ক্ষেত্রে একটু কড়াকড়ি না করা গেলে সমস্যা হতে পারে। তবে যারা প্রকৃতই মৎস্যজীবী তাঁদের আটকানো হচ্ছে না।