অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভিনরাজ্য থেকে যেসব শ্রমিক পুরুলিয়ায় বর্তমানে ফিরে এসেছেন, জেলাতেই তাঁদের কাজের ব্যবস্থা করার জন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি। যাঁরা কাজ চাইবেন, তাঁদের প্রত্যেককে ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হবে। শ্রমিক পরিবারগুলিকে আরও কীভাবে বেশিদিন কাজ দেওয়া সম্ভব হয়, সেবিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এবিষয়ে ‘সাপ্লিমেন্টারি অ্যাকশন প্ল্যান’ নেওয়া হবে।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় প্রায় ৩০ হাজারেও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। লকডাউনে ইতিমধ্যে অনেকেই পুরুলিয়ায় ফিরেও এসেছেন। লকডাউনের ফলে কাজ হারানো ওই শ্রমিকদের পুরুলিয়াতেই কাজ দেওয়া খুব জরুরি। জানা গিয়েছে, গত তিনবছরের মধ্যে এবারই প্রথমবার ১০০দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের গড় অতিক্রম করতে পেরেছে পুরুলিয়া জেলা। ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরের হিসেবে গত ৩১ মার্চ অবধি ১০০ দিনের প্রকল্পে রাজ্যের গড় যেখানে ৪৯.৮৮ দিন, সেখানে পুরুলিয়া জেলার গড় ৫৭.৬৮ দিন। একই সঙ্গে ওই আর্থিক বছরে পুরুলিয়া জেলায় ২ লক্ষ ৩ হাজার ৬৮৮টি শ্রমদিবস তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। যা গত দু’বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের মাধ্যমেই ছোট ছোট হাপা বা জলাশয় খনন, বৃক্ষরোপণের প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলায় আরও বেশি সংখ্যক জমিতে কীভাবে সব্জি চাষ করা যায়, সেবিষয়েও পরিকল্পনা করছে জেলা প্রশাসন। ছোট ছোট জলাশয় তৈরি সম্ভব হলে, একদিকে যেমন পুরুলিয়ায় বৃষ্টির জল ধরে রাখা সম্ভব হবে, তেমনই মাটির উপরিভাগও সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ওই কাজে জেলার শ্রমিকদেরও কাজে লাগানো সম্ভব হবে। তাতে ভিনরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতাও কমবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।