অত্যাধিক পরিশ্রমে শারীরিক দুর্বলতা। বাহন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রগতি বিষয়ে সংশয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
ওয়েস্ট বেঙ্গল বেভারেজ কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর উমাশঙ্কর এস বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মদের দোকানে ভিড় এড়ানোর জন্য ই-রিটেলের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিনেই এর চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। দোকানের কর্মচারীরা সবসময় পরিষেবা দিয়ে উঠতে পারছেন না। তাই এই পরিষেবা আরও উন্নত করতে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মদের হোম ডেলিভারি পরিষেবা আরও উন্নত করতে এবার পেশাদার ডেলিভারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে ওড়িশা সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি রাজ্যের মতো কিছুদিনের মধ্যেই বেসরকারি সংস্থার ডেলিভারি বয়রা বাড়িতে গিয়ে মদ পৌঁছে দেবেন সুরাপ্রেমীদের।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল মদের দোকান। ফলে মদ্যপানে আসক্তদের হাঁসফাঁস অবস্থা হয়। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে যায় মদের কালোবাজারি। অন্যদিকে, মদের দোকান বন্ধ থাকায় সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতিও হয়। তাই অবশেষে মদের দোকান শর্ত সাপেক্ষে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। সামাজিক দূরত্ব মেনে একজন দুটি বোতলের বেশি মদ পাবে না বলে নির্দেশিকা ছিল। কিন্তু দোকান খুলতেই কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি আসানসোল, দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় লম্বা লাইন চোখে পড়ে। কেউ কেউ তো আবার নিয়মের বেড়াজালে যাতে মদ কেনা আটকে না যায় তার জন্য আধার, ভোটার কার্ড সঙ্গে নিয়েও লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। মদের এই বিপুল চাহিদার ফায়দা নিতে সাইবার প্রতাকররা সোশ্যাল সাইটে মদের হোম ডেলিভারি করার পোস্ট করে প্রতারণাও শুরু করে। এইসব থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে মানুষ নেশার ঝোঁকে বাইরে বেরিয়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি না ভাঙেন সেজন্য মদের হোম ডেলিভারি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশনের উদ্যোগে ই-রিটেল পোর্টাল খোলা হয়। যাঁরা এই হোম ডেলিভারি নিতে চান, তাঁদের পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার কোনও দোকান ই-রিটেলের অন্তর্ভূক্ত কি না জানতে পারবেন। কোনও দোকান থাকলে সেখানে তিনি অর্ডার করতে পারবেন। রাজ্যের বিভিন্ন বড় শহরের প্রায় ১৫০০ মদের দোকান এই পোর্টালে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এই পোর্টাল কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বলে সংস্থার দাবি। বেশ কিছু বড় শহরেও চাহিদা যথেষ্ট বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই দোকানের কর্মীসঙ্কটের জন্য ডেলিভারি দিতে সময় লাগছে। তাই এবার পরিষেবা আরও উন্নত করতে বেসরকারি ডেলিভারি সংস্থাগুলির শরণাপন্ন হতে চলেছে সরকার।