প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
নবগ্রাম কৃষিপ্রধান এলাকা। ধান, তিলের পাশাপাশি সারাবছর সব্জি চাষ হয়। ব্লক কৃষিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৬হাজার হেক্টর জমিতে ধান, ৯৫০হেক্টর জমিতে তিল এবং ৪০০হেক্টর জমিতে সব্জি চাষ হয়েছে। ঝড়ের আগে ৭০-৮০ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছিল। তবে কাটা ধানের মাত্র ৪০-৪৫ভাগ ঘরে তুলতে পেরেছিলেন চাষিরা। ফলে ঝড়ের প্রভাবে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ঝড়ে ৪০০হেক্টর জমির তিল সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকার ফলে ফুলকপি, পটল, ঝিঙে প্রভৃতি পচতে শুরু করেছে। শিবপুরের সব্জি চাষি রতন মণ্ডল দু’বিঘা জমিতে পটল, উচ্ছে, ঝিঙে, শসা চাষ করেছিলেন। ঝড়ের দাপটে মাচা ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। জমিতে এক ফুট জল জমে রয়েছে। সব্জি পচতে শুরু করেছে। রতনবাবু বলেন, দু’বিঘা জমির সমস্ত সব্জি নষ্ট হতে শুরু করেছে। বড় ক্ষতির মুখে পড়ে গেলাম। সিঙ্গার গ্রামের জগাই রায় ছ’বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলেন। তিনি বলেন, চার বিঘার ধান কাটা হলেও শ্রমিক না মেলায় ঘরে তুলতে পারিনি। উম-পুনের জেরে বৃষ্টিতে জমিতে এক হাঁটু জল জমে গিয়েছে। চার বিঘা জমির ধান জলের নীচে ডুবে রয়েছে। বাকি দু’বিঘা জমির ধান হাওয়ায় দাপটে ঝরে গিয়েছে। এক বিঘার ধান ঘরে উঠবে না বলেই মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে, লালবাগ মহকুমায় গাঁদাফুল চাষেও ক্ষতি হয়েছে। জমিতে জল জমে থাকায় গাছের গোড়া পচতে শুরু করেছে। মহকুমার নসিপুর, রণসাগর, পণ্ডিতবাগ, কমলবাগ, সন্ন্যাসীতলা, বেলিয়াপুকুর প্রভৃতি এলাকায় সারাবছর গাঁদা চাষ হয়। ফুল চাষে ভালো লাভ হওয়ায় মুর্শিদাবাদ ও জিয়াগঞ্জ থানার অনেক চাষি ধান ও সব্জি চাষের পরিবর্তে জমিতে গত কয়েক বছর ধরে গাঁদা চাষ করছেন। কমলবাগের মুর্শিদ শেখ দেড় বিঘা জমিতে গাঁদা চাষ করেছিলেন। তিনি বলেন, জমির প্রায় ৮০ভাগ ফুলগাছ শুয়ে পড়েছে। ফুলে কালো দাগ পড়েছে। পাঁচ টাকা কেজিতেও ফুল বিক্রি হবে না। বেলিয়াপুকুরের সুশান্ত মণ্ডল বলেন, এক বিঘা জমিতে গাঁদা ফুল চাষ করেছিলাম। ফুল ফুটতে শুরু করতেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পাঁচ-দশ টাকা কেজি দরে ফুল বিক্রি করতে হচ্ছিল। লকডাউন উঠলে সুদিন ফেরার আশা করছিলাম। কিন্তু উম-পুন সব শেষ করে দিল।