প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
বর্ধমান শহরের কেন্দ্রীয় ঈদ কমিটির সম্পাদক নূর আলম বলেন, বর্ধমানের টাউন হলে ঈদের জামাত নামাজ বন্ধ করা হয়েছে। পরিবর্তে সকলকে বাড়িতেই জামাতের নামাজ পড়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান শহরের বড়বাজার মসজিদ কমিটির সম্পাদক মহম্মদ ইলিয়াস বলেন, এবার বড়বাজারে জমায়েত করে ঈদের নামাজ বন্ধ করা হয়েছে। তবে মসজিদে সামাজিক দূরত্ব মেনে ইমামরা পাঁচজনকে নামাজ পড়াচ্ছেন। এদিকে ইতিমধ্যেই বর্ধমান শহরের বাজার ছেয়েছে ঈদ মুবারক লেখা মাস্ক। চতুর্থ দফার লকডাউনে কিছু দোকানের ছাড়পত্র দেওয়ায় গত ১০ দিনে কেনাকাটা ভালোই হয়েছে বর্ধমান শহরে। জানা গিয়েছে, আতর, সুরমার বিক্রি এবার বেশ ভালো। লাচ্চা, সিমাইয়ের বিক্রিও শেষ কয়েকদিনে ভালোই হয়েছে।
অপরদিকে, ৫০০ বছরের প্রাচীন কালনা মহকুমার বৃহত্তম দাঁতনকাঠিতলা মসজিদে এবার নামাজের জমায়েত বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনার জেরে সরকারি নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঞ্জুমান মসজিদ কমিটি। ইতিমধ্যে তারা পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে অলোচনা করে এই সিদ্ধান্তর কথা জানিয়ে দিয়েছে। মসজিদের বাইরে নোটিসও টাঙানো হয়েছে। আশেপাশের বিভিন্ন ছোট ছোট মসজিদে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবছর ঈদের নামাজে কালনার দাঁতনকাঠিতলা মসজিদে প্রায় তিন হাজার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে উৎসবে মেতে ওঠেন। এবার করোনার জেরে তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র কমিটির কয়েকজন ও মসজিদের মাদ্রাসার আবাসিকরাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজে অংশ নেবেন। সংখ্যাটা পঞ্চাশের বেশি হবে না বলে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি শানওয়াজউদ্দিন মণ্ডল বলেন, করোনার জেরে সরকারি নির্দেশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যই এবার মসজিদে নামাজের জমায়েত বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিস প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মাইকিং করা হয়েছে। নিয়মরক্ষার জন্য ৫০ জন নামাজে অংশগ্রহণ করবেন। দূরত্ব বজায় রেখে তা পালন করা হবে। আল্লার কাছে করোনায় বিশ্ববাসীর মুক্তিলাভে প্রার্থনা করা হবে।