প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এছাড়াও ওই একই বাসে চেপে হাওড়া, কলকাতার পাশাপাশি হুগলির দাদপুর, জাঙ্গিপাড়া, চণ্ডীতলা এলাকার বেশ কয়েকজন শ্রমিক ফিরেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিন রিপোর্ট আসার পরই আক্রান্তদের শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এনিয়ে প্রশাসনিক কর্তারা কোনও বক্তব্য দিতে চাননি। যদিও তাঁরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। এমনকী, আধিকারিকদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে এখন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আক্রান্তদের কোনও উপসর্গ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সর্দি-কাশি না থাকার কারণে তাঁদের থেকে অন্যের সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা খুবই কম। নিজেদের সচেতন থেকে এই ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। বার বার করে হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। চোখ, মুখ, নাককে নিরাপদে রাখা গেলে কোনওভাবেই করোনা ভাইরাস সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না।
আরামাবগের এসডিপিও নির্মলকুমার দাস বলেন, শুক্রবারই আরামবাগ মহকুমার তিনটি থানা এলাকায় মোট আটটি কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়েছিল। এদিন নতুন করে সেই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই জোনগুলিতে আগামী দিনে করোনা সচেতনতা নিয়ে লাগাতার মাইকিং করা হবে। এদিন নতুন করে আক্রান্তদের জেলার করোনা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া আক্রান্তদের পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আরামবাগ মহকুমায় ১৩জন পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই শুক্রবার আটটি এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে খানাকুলের কিশোরপুরের বন্দিপুর মসজিদতলা, ঘোষপুরের শেখপাড়া ও গণশা, পোল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়া, খানাকুল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরপাড়া, রাজহাটি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সেনহাট পশ্চিমপাড়াকে আগেই কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়।
প্রাশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন খানাকুলের আক্রান্ত ১০ শ্রমিকের বাড়ি নন্দনপুর, নতিবপুর, জগৎপুর, মধ্যপাড়া ও সেনহাট এলাকায়। পাশাপাশি আরামবাগের তিরোলের ডোঙাবাতান এলাকায় এক শ্রমিক আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিন আরাণ্ডি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলপুরে মহারাষ্ট্র ফেরত এক শ্রমিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরার আগে পর্যন্ত হুগলিতে করোনা সংক্রমণের হদিশ মেলার কারণে আগেই এই জেলাকে অরেঞ্জ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময় আরামবাগ মহকুমা ছিল জেলার একমাত্র করোনা ভাইরাসমুক্ত মহকুমা। কিন্তু, বিগত তিনদিনে যেভাবে এক ধাক্কায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হয়ে গিয়েছে। তাতে চরম উদ্বেগে রয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেরই ধারণা, পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা রিপোর্ট পর্যায়ক্রমে হাতে এলে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়বে।