প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
এবিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পূর্তদপ্তরের(সড়ক) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জীব কুমার গড়াই বলেন, লকডাউনে এসটিকেকে রোড সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ ছিল। ফের ওই রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ ঈদের পর জোরকদমে শুরু হবে। সামনেই বর্ষা আসছে। তাই দ্রুত কাজ করতে হবে। তা না হলে ফের রাস্তার ক্ষতি হবে।
লকডাউনের জেরে কাটোয়ায় এসটিকেকে রোড সম্প্রসারণ সহ একাধিক রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ ছিল। ঈদের পর কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গুপ্তিপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিমি রাস্তার ফের সম্প্রসারণের কাজ হবে। সম্প্রতি রাজ্যে সরকার কাজের অনুমতি দিয়েছে। তবে তারজন্য শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং মাস্ক পরে কাজ করতে হবে বলে স্পষ্ট বলা হয়েছে। পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রোড সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ থাকায় চারিদিকে পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এতে যাতায়াতেরও অসুবিধা হচ্ছে।
কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গুপ্তিপাড়া পর্যন্ত ৭০ কিমি এসটিকেকে রোড সংস্কার করে ‘টু-লেন পেভড সোল্ডার’ করে সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ২৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে পূর্বস্থলীর ছাতনি ২০ কিমি এবং ছাতনির মোড় থেকে গুপ্তিপাড়া পর্যন্ত আরও ৫০ কিমি রাস্তা সংস্কারের কাজ ফের শুরু হচ্ছে। এসটিকেকে রোড কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে কালনা হয়ে আদি সপ্তগ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এখন এসটিকেকে রোড ৭ মিটার চওড়া আছে। এই রাস্তার দু’পাশে দেড় মিটার করে মোট দশ মিটার চওড়া করা হচ্ছে। রাস্তা ১০ মিটার চওড়া হলে ভারী যানবাহন যাতায়াতে আরও সুবিধা হবে। রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বসানো হচ্ছে পেভড সোল্ডার। তাছাড়া কাটোয়া-কড়ুই রাজ্য সড়কে পিচ ঢালার কাজ শেষ হয়ে গেলেও দু’ধারে এখনও গার্ড রেলিংয়ের কাজ বাকি রয়েছে। এবার ওই রাস্তারও কাজ শুরু হবে।
এদিকে এসটিকেকে রোড সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ থাকায় ব্যাপক ধুলো ওড়ায় নাজেহাল হচ্ছেন বাসিন্দারা। রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে ধুলো নাক মুখে ঢুকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাটোয়া মহকুমার পূর্তদপ্তরের(সড়ক) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণকান্ত নন্দী বলেন, এসটিকেকে রোড সম্প্রসারণের কাজ যেভাবে এগচ্ছিল তাতে ৩১ মার্চের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউন শুরু হতেই কাজও বন্ধ হয়ে যায়। এখন ফের কাজের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। ঈদের পর পুরোদমে কাজ শুরু হবে। তবে রাস্তায় ধুলো যাতে না ওড়ে তার জন্য ঠিকাদার সংস্থাকে নিয়মিত জল দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে রাস্তার কাজ ফের চালু হওয়ার বিষয়ে ঠিকদারি সংস্থার এক কর্মী জানান, কাজ শুরু হলেও শ্রমিক পাওয়া নিয়ে বেশ চিন্তায় আছি আমরা। অনেকে সংক্রমণের ভয়ে কাজে আসতে চাইছেন না। তাছাড়া প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শ্রমিকদের আনলেও কাজের জায়গায় সেভাবে দোকান পাট খোলা না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এদিকে সামনেই বর্ষা আসছে। তার আগে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তারজন্য কত শ্রমিক বেশি লাগবে এখন সেই হিসেব নিকেশ করতে হচ্ছে।