প্রণয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে। কারও কথায় মর্মাহত হতে হবে। ব্যবসায় শুরু করা যেতে পারে। কর্মে সুনাম ... বিশদ
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরই জেলার অধিকাংশ ব্লকে সড়ক যোজনার ফেজ-২এর আওতায় একটি করে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই খাতে ১২৬ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়। মূলত এই প্রকল্পে রাস্তা সংস্কার এবং সম্প্রসারণ করার কথা ছিল। সেই মতো জেলায় ১৯টি রাস্তাকে চিহ্নিত করা হয়। গত বছরের শেষের দিকে রাস্তা তৈরির টেন্ডার ডেকে ওয়ার্ক অর্ডারও দেওয়া হয়। নভেম্বর, ডিসেম্বর মাস নাগাদ বিভিন্ন ব্লকে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। অধিকাংশ জায়গায় মূলত রাস্তার দু’দিক চওড়া করার জন্য মাটি ফেলার কাজ চলছিল। কিন্তু, ২২ মার্চ লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে ১০০ দিনের প্রকল্প সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিষয় নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা মন্ত্রীর কাছে এই সসম্যার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।
এপ্রসঙ্গে সভাধিপতি বলেন, লকডাউনে নির্মাণসামগ্রীর জোগান না থাকার কারণে সড়ক যোজনার কাজ থমকে রয়েছে। এই সমস্যার বিষয়টি পঞ্চায়েতমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সভাধিপতি বলেন, এই জেলায় আগে কাজের অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না। এখন আমাদের জেলায় এই কাজ করার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি, সামনের সপ্তাহের মধ্যে আমরা ওই প্রকল্পে রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করতে পারব।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শালবনী ব্লকের চকতারিণী থেকে ছোট সিজুয়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়ক যোজনার রাস্তা চওড়া ও সংস্কার হওয়ার কথা ছিল। শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিং বলেন, এই রাস্তার জন্য ১৬ কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। গত ডিসেম্বর মাসে রাস্তা তৈরির কাজও শুরু হয়েছিল। রাস্তার দু’দিকে মোট দু’মিটার চওড়া হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো দু’পাশে মাটির কাজও সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৩ কোটি টাকার কাজও হয়ে গিয়েছিল। তারপর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বর্ষার আগে কাজ শুরু করা না গেলে যেটুকু কাজ এপর্যন্ত হয়েছে, সেই টাকা জলে চলে যাবে। তাই অবিলম্বে এই রাস্তার কাজ শুরু করার প্রয়োজন।