প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
তমলুক মহকুমার এক পুলিস অফিসার বলেন, ৩৪লক্ষ টাকা চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা আটক করা হয়নি। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনও ব্যাঙ্ক কর্মী এর সঙ্গে যুক্ত আছেন কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের সামনের অংশে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। ব্যাঙ্কে কোনও নৈশপ্রহরী থাকে না। দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কের পিছনের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছে। সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, ব্যাঙ্কের ভিতরেই ছিল ভল্টের চাবি। সেই চাবির গোছা নিয়ে ভল্ট খুলে সমস্ত টাকা ও চাবির গোছা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ভল্টের চাবি ব্যাঙ্কে থাকার কথা নয়। সাধারণত ভল্টের দু’টি চাবি থাকে। ওই সিরিজের চাবি নিয়ে কারও পক্ষে লকার খোলা সম্ভব নয়। কিন্তু, এই ব্যাঙ্কে সেটাই ঘটেছে।
এদিন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এনিয়ে বেশকিছু প্রশ্ন করেছেন পুলিস অফিসাররা। কিন্তু, তাঁরা সেই সব প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারেননি। কেন ভল্টের চাবি ব্যাঙ্কের ভিতর ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তরও মিলছে না। তাই এই ঘটনায় ব্যাঙ্কের কারও হাত থাকতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিস। যাবতীয় সম্ভাবনাকে সামনে রেখে তদন্তে নেমেছে চণ্ডীপুর থানার পুলিস।
সম্প্রতি মঙ্গলামাড়োয় পেট্রলপাম্পে গুলি করে টাকা লুট এবং একজন খুন হওয়ার ঘটনা ঘটে। তারপর ব্যাঙ্ক, এটিএম এবং সোনার দোকানে উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখার জন্য বিভিন্ন থানায় মিটিং হয়েছে। তারমধ্যেই শুক্রবার রাতে হাঁসচড়ায় একটি ব্যাঙ্কে ৩৪লক্ষ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে গেল।
ওই ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর জোনাল অফিসের আধিকারিক বিশ্বনাথ দাস বলেন, হাঁসচড়ায় আমাদের ব্যাঙ্কের শাখায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। সিকিউরিটি অফিসার গিয়েছেন। তিনি রিপোর্ট দেওয়ার পর বিভাগীয় তদন্ত হবে।