প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজাকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ওই হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে, যতদূর জানি, পরিষেবা একেবারে বন্ধ নেই। কারণ, করোনা সন্দেহে অনেককে ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সংস্থার মাধ্যমে এই হাসপাতালে এখন ১০টি অ্যাম্বুলেন্স চালু রয়েছে। গর্ভবতী মহিলা ও প্রসূতিদের বাড়ি থেকে বিনা ভাড়ায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া বা হাসপাতাল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পরিষেবা দেওয়া হয়। প্রসূতিদের পরিবারের লোকজন ১০২ নম্বরে ডায়াল করলেই এই পরিষেবা পেয়ে থাকেন। কিন্তু, গত দু’দিন ধরে এই পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এতদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে রোগীদের রাখা হতো। দু’দিন আগে মেদিনীপুর শহর লাগোয়া আবাস এলাকায় আয়ুশ হাসপাতালটিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়। ঠিক হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে রাখা রোগীদের আয়ুশ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। ওই রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে যাওয়া নিয়ে গাড়ির চালকদের একাংশ আপত্তি জানান। চালকদের বক্তব্য, তাঁদের উপযুক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা না করায় ওই অ্যাম্বুলেন্সে তাঁরা করোনা রোগীদের নিয়ে যেতে রাজি হননি। এরপরই তাঁদের ৩৫ জনকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ির চাবিও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। সেগুলি এখন হাসপাতালেই রয়েছে। কোনও পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না।
কেশপুরের এক বাসিন্দা বলেন, হাসাপাতাল থেকে বাড়ি যাব বলে ১০২ ডায়াল করলাম। কিন্তু, গাড়ি যাবে না বলে জানাচ্ছে। ১০২ ডায়াল করলেই গর্ভবতী মহিলাদের বিনা পয়সায় পরিষেবা পাওয়া যায়। লকডাউনে এখন কী করে বাড়ি ফিরব বুঝতে পারছি না।