ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ। সিপিএমের জল্লাদ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছিল সাঁইবাড়িতে। সাঁই পরিবারের দুই ভাই প্রণব সাঁই ও মলয় সাঁই এবং তাঁদের গৃহশিক্ষক জিতেন রায়কে সেদিন একসঙ্গে হত্যা করা হয়েছিল। ওই হত্যাকাণ্ডে গোটা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এই হত্যাকাণ্ডে সিপিএমের দুই তাবড় নেতার নাম জড়িয়েছিল। বর্তমানে ওই দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও বর্ধমানে এসেছিলেন। এক বছরের মধ্যেই সাঁইবাড়ির বড় ভাই নবকুমার সাঁইকেও সিপিএম খুন করেছিল। সাঁইবাড়িতে শহিদ বেদি তৈরি হয়েছে। ফি বছর শহিদ বেদিতে মাল্যদান করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর কংগ্রেসের সঙ্গে তারাও স্মরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সাঁইবাড়ির অনেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা সক্রিয়ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর দলে রয়েছেন। তাই ৫০ বছর পূর্তিতে তাঁরা এবার মুখ্যমন্ত্রীকে চাইছেন।
শহিদ গৃহশিক্ষক জিতেন রায়ের ভাইপো চিরকুমার রায় বলেন, সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের পর বর্ধমানে এসেছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কারণ, শহিদরা কংগ্রেস করতেন। ইন্দরা গান্ধী সেদিন বর্ধমান শহরের ঘোড়দৌড়চটিতে সাঁই পরিবার এবং আমাদের পরিবারকে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। ৫০ বছরে কংগ্রেসের কাছ থেকে এটুকুই পেয়েছি। অথচ, যাঁরা কংগ্রেস করার জন্য প্রাণ দিলেন, তাঁদের পরিবারের জন্য কংগ্রেস নেতৃত্ব কিছুই করল না। এবার সাঁইবাড়ির ৫০ বছর পূর্তি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা আমন্ত্রণ করেছি। আমি নিজে চিঠি দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আবেদনে সাড়া দিলে আমরা তাঁর প্রতি সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
অন্যদিকে, সাঁইবাড়ির সদস্য তথা শহিদ প্রণব সাঁইয়ের ভাই উদয় সাঁই বলেন, সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওইদিন চাইছি। দিদির বাড়িতে গিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসব। উদয় সাঁইয়ের স্ত্রী উমা সাঁই বলেন, সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কমিশন গঠন করেছেন। তিনি অনেকদিন ধরেই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই এই হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর উপলক্ষে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে চাইছি। ৫০ বছর পূর্তির বিষয়টি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে জানানো হয়েছে। আমরা এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আমন্ত্রণ করার জন্য তাঁর বাড়িতে যাব। দিদি, ওইদিন বর্ধমানে এলে আমরা সবাই কতৃজ্ঞ থাকব।