আত্মবিশ্বাস এত বৃদ্ধি পাবে যে, কোনও কাজই কঠিন মনে হবে না। সঞ্চয় বেশ ভালো হবে। ... বিশদ
মঙ্গলবার কর্মরত অবস্থায় প্রধানের উপর চড়াও হন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। অভিযুক্ত সুব্রত সাহার বিরুদ্ধে নাকাশিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন পঞ্চায়েত প্রধান রবীন্দ্রনাথ সাহা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে প্রধান দাবি করেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযুক্ত বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পঞ্চায়েতের কোনও কাজে নিজেকে নিযুক্ত করব না। এমনকী, কোনওরকম শংসাপত্র ও কোনও কাগজে স্বাক্ষর করব না।
ওইদিন পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য বন্দনা সাহার স্বামী সুব্রত সাহা কয়েকজন বহিরাগতদের নিয়ে প্রধানের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁকে মারধর করা হয়। পঞ্চায়েত অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকী, পঞ্চায়েতের মহিলা সেক্রেটারিকেও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বেথুয়াডহরি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের মাটিকাটা নিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আনেন অভিযুক্ত সুব্রত সাহার স্ত্রী বন্দনা সাহা। বেশ কিছুদিন ধরেই উভয়পক্ষের মধ্যে চলছে চাপানউতোর চলছিল। এবিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান রবীন্দ্রনাথ সাহা বলে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন কাজ করা হয়েছে। বন্দনা সাহাকে প্রধান করানোর ইচ্ছা ছিল তাঁর স্বামীর। কিন্তু সেটা না পারার আক্রোশে আমার উপর এই আক্রমণ।
অভিযুক্তের স্ত্রী বিজেপি সদস্যা বন্দনা সাহা বলেন, ওঁর সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ নেই। আমরা আমাদের একটি দোকানের ট্রেড লাইসেন্সের জন্য বারবার যাওয়া সত্ত্বেও দিচ্ছিলেন না। উনি বলেন যে সুব্রত সাহার নামে কোনও কাগজে সই করবেন না। তারপর বাক্য বিনিময় হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে।
বিজেপি মণ্ডল সভাপতি তপন রায় বলেন, প্রধান নির্বাচন নিয়ে আগে একটু সমস্যা ছিল। সেটি আমরা সকলে বসে মিটিয়ে নিয়েছিলাম। তবে এদিনের ঘটনা ঠিক কী কারণে ঘটছে সেটা আমাদের জানা নেই।
বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রসঙ্গে নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল এখানে প্রকাশ্য। বেথুয়াডহরির বুকে বিজেপি দু’টি পার্টি অফিসে হয়েছে সেটা থেকেই প্রমাণ পাওয়া যায়। ওদের গোষ্ঠী কোন্দলে সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।