আত্মবিশ্বাস এত বৃদ্ধি পাবে যে, কোনও কাজই কঠিন মনে হবে না। সঞ্চয় বেশ ভালো হবে। ... বিশদ
যদিও বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন, বিধানসভা উপনির্বাচনে ফল কিছুটা খারাপ হলেও ২০২১ সালে বিজেপি উত্তর দিনাজপুরে ভালো ফল করবে। তবে জেলার তিনটি পুরসভা নির্বাচনের জন্যও আমরা লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছি।
বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে মূলত এবারে উত্তর দিনাজপুরে দু’টি রাজনৈতিক দলের লড়াই সামনে উঠে এসেছে। তৃণমূল প্রার্থী এখানে জয়ী হলেও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিজেপি প্রার্থী সামান্য ভোটে হেরে গিয়েছেন। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী উপনির্বাচনে সামান্য দাগ কাটতে পারেনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী পুরভোটে শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির মূল লড়াই হতে পারে। তবে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফল খারাপ হতেই গেরুয়া শিবিরের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। পরাজয়ের জন্য এক নেতা অন্য নেতাকে আক্রমণ করে সমালোচনায় সরব হয়েছেন। একে অপরকে দায়ী করে দোষারোপের পালা চলছে। এহেন পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
এদিকে, বিজেপি জেলার প্রত্যেকটি বুথে বুথ কমিটি এখনও গঠন করতে পারেনি। বহু বুথ এলাকায় দুর্বল সংগঠন থাকলেও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে সাধারণ ভোটাররা ঢেলে সমর্থন দিয়েছিল। ফলে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি বিজেপির দখলে আসে। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ৫৭ হাজার লিড পেয়েছিল। কিন্তু ছ’মাসের মধ্যে কালিয়াগঞ্জের সেই লিড খুইয়েছে গেরুয়া শিবির। বিধানসভা উপনির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে। হিংসাত্মক ঘটনাও ঘটেনি। বুথ জ্যাম, রিগিংয়ের অভিযোগও খুব একটা শোনা যায়নি। সাধারণ ভোটাররা স্বতঃস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করেছেন। বিজেপি থেকে মানুষ মুখ ফেরাতে শুরু করেছেন, সেটা হারে হারে টের পেয়েছে দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। দলের জেলাস্তরের নেতাদের মধ্যে বিরোধ একে অপরের সমালোচনায় সরব হওয়া গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের তিনটি পুরসভায় বিজেপি বিগত নির্বাচনগুলিতে দলের সাফল্য তেমন ছিল না। কংগ্রেসের দখলে থাকা তিনটি পুরবোর্ডের ক্ষমতা পরবর্তীতে তৃণমূলের দখলে চলে আসে। ফলে পুরসভার ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তিনটি শহরেই তৃণমূলের শক্তিশালী সংগঠনও রয়েছে। বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে মাথাচাড়া দিলেও উপনির্বাচনের বিপর্যয়ের পর তিনটি শহর এলাকার নেতারাও কিছুটা মুষড়ে পড়েছেন। ছন্নছাড়া একটা অবস্থা থেকে পুরভোটের আগে দল কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? সেই প্রশ্ন নীচুতলার বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উঠে এসেছে।