আত্মবিশ্বাস এত বৃদ্ধি পাবে যে, কোনও কাজই কঠিন মনে হবে না। সঞ্চয় বেশ ভালো হবে। ... বিশদ
১৯৩৪ সালে কাশীপুর রোডের উপরে তৈরি হওয়া চিৎপুর ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে ‘লাসা’ নামে দিল্লির একটি সমীক্ষক সংস্থা। সেই সংস্থার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে চিৎপুর ব্রিজের অবস্থা ভালো নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ৮৫ বছরের পুরনো ওই ব্রিজে কাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে। অবিলম্বে মেরামতি করা দরকার। এ মাসেই টালা ব্রিজ ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দপ্তর। তখন দীর্ঘদিনের পুরনো এই ব্রিজের উপর মারাত্মক চাপ পড়বে। সে কথা মাথায় রেখেই টেন্ডার না ডেকে তড়িঘড়ি কাজ শুরু করতে চাইছে কেএমডিএ। সাধারণ মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই শক্তপোক্ত করা হবে এটি।
কেএমডিএ’র এক কর্তা জানিয়েছেন, মেরামতির কাজে টেন্ডার ডাকার জন্য ২১ দিন সময় দিতে হয়। এত সময় দিলে সমস্যা দেখা দেবে। যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তাই ঝুঁকি নেওয়া উচিত হবে না। সে কারণেই এদিন রিভিউ কমিটি টেন্ডার না করে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতির কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তা নগরোন্নয়ন দপ্তর এবং অর্থ দপ্তরকে জানানো হয়েছে। আশা করা যায়, আগামী সোম-মঙ্গলবার থেকে তড়িঘড়ি এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
চিৎপুর ব্রিজের মতো আর জি কর ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে কেএমডিএ। তবে সেটির অবস্থা চিৎপুর ব্রিজের মতো নয়। সেটির ক্ষেত্রে যে ধরনের মেরামতি দরকার, তা কিছুদিন পরে করলেও হবে। টালা ব্রিজ ভাঙার পরে সেই ব্রিজে কতটা চাপ পড়ছে, তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর কোনও ব্রিজ বা উড়ালপুল নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। প্রতিটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাচ্ছে কেএমডিএ, এইচআরবিসি এবং পূর্ত দপ্তর। নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ার বা বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ চলছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর ব্যবস্থা নিতে নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।