আত্মবিশ্বাস এত বৃদ্ধি পাবে যে, কোনও কাজই কঠিন মনে হবে না। সঞ্চয় বেশ ভালো হবে। ... বিশদ
নোবেল পুরস্কারপ্রাপকদের সুদীর্ঘ ইতিহাসের সাক্ষী এই সংগ্রহশালায় আছে একাধিক ছবি, বিভিন্ন উপহার এবং অসংখ্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নিদর্শন। ২০০১ সালে নোবেল পুরস্কারের শতবর্ষে তৈরি হয় সংগ্রহশালাটি। শুধু আবিষ্কর্তা বা বৈজ্ঞানিক নন, সংগ্রহশালায় অসংখ্য সাহিত্যিক, অর্থনীতিবিদের নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যাঁদের চিন্তাধারা বা গবেষণা পৃথিবীর বিভিন্ন জটিল সমস্যার সমাধান করেছে। সংগ্রহশালার ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিসপ্লে’তে আছে এশিয়ার প্রথম সাহিত্যে নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে সংগ্রহশালায় লেখা রয়েছে, ‘অত্যন্ত সংবেদনশীল, তাজা, অপূর্ব তাঁর কবিতা এবং কাব্যচিন্তা।’ আর এক বাঙালি অর্মত্য সেনের সম্পর্কেও নানা ধরনের তথ্য এখানে মিলবে। রয়েছে তাঁর দেওয়া উপহার-একটি সাইকেল। এই সাইকেলে চড়েই বীরভূমের লাল মাটির পথ ধরে গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেছিলেন তিনি। অর্মত্য সেনের পর সংগ্রহশালায় উপহার দিতে পৌঁছলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার আগে সম্পূর্ণ বাঙালি পোশাকে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল গ্রহণ সর্বত্র উচ্চপ্রশংসিত। গলাবন্ধ কালো জ্যাকেট এবং সাদা ধুতিতে তিনি স্টকহোমের কনসার্ট হলে পৌঁছান। সঙ্গে ছিলেন নীল শাড়িতে স্ত্রী এস্থার ডাফলো। র্যা ন্ডমাইজড কন্ট্রোল ট্রায়াল বা আরসিটি নিয়ে গবেষণা করছেন অভিজিৎ এবং ডাফলো। সেই গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল পুরস্কার। তাঁদের সহযোগী গবেষক মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে মিলিতভাবে নোবেল পেলেন তাঁরা। পুরস্কারের অর্থ ৯ মিলিয়ন সুইডিস ক্রোনা (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে ছ’কোটি টাকা) গবেষণার কাজে ব্যবহার করবেন ঠিক করেছেন তিন গবেষক।