সংবাদদাতা, রানাঘাট: মঙ্গলবার বিকেলে শান্তিপুরের ডাকঘর মোড়ের কাছে বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর বাড়ির রাস উৎসবের সূচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যপাল এদিন ঢাক বাজান। রাস উৎসবে যোগ দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, এই রাজ্যে রাস এত বিখ্যাত সেটা শান্তিপুরে না এলে জানতে পারতাম না। এই উৎসব বাংলার সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের আর একটি রূপ। এখানকার উৎসবটি ৫০০ বছরের পুরনো। আমি এখানে এসে অত্যন্ত উৎসাহিত ও আনন্দিত। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকার, শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য প্রমুখ। এদিন সস্ত্রীক রাজ্যপাল শান্তিপুরে আসেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিঙ্গুরে যাওয়া প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনতে পাচ্ছি আমি নাকি আচমকাই চলে যাই বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু না। আমাকে লোকে আমন্ত্রণ করে তারপর আমি সেখানে যাই। রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় দু’টি বিষয় শপথ করেছিলাম। এক সংবিধান মেনে কাজ করা। অন্যটা মানুষের সেবা করা। তাই আমি মানুষের সেবা করতে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সমুদ্রের যেমন সীমারেখা আছে, সে যদি সীমারেখা পেরিয়ে যায় তাহলে জলোচ্ছ্বাস হয়। সেরকম আমার সীমারেখা আছে, আমি মনে করি আমি সীমারেখার মধ্যে থেকে কাজ করি এবং অন্যরাও তাঁরা তাঁদের সীমারেখা মধ্যে থেকে কাজ করবেন। তিনি আরও বলেন, কে কী বলল সেটা ভাবলে কাজ করা যাবে না। অন্যদিকে, তিনি বলেন, শিক্ষকদের দাবি বা পাওনা থাকে তবে তা মিটিয়ে দেওয়া উচিত। যদি আমরা তাঁদের সঠিকভাবে দাবি মেটাই, তাঁরা খুশি হবেন। তবেই আমাদের আগামী প্রজন্ম দেশকে অগ্রগতির পথে নিয়ে যাবে।