সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
দার্জিলিং আসনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ শিলিগুড়ি মহকুমা। এখানে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র। শিলিগুড়ি, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া। একুশের ভোটে হাওয়ায় সংশ্লিষ্ট তিনটি কেন্দ্র দখল করলেও সেগুলিতে দলীয় ভিত চাঙ্গা করতে পারেনি পদ্ম শিবির। পুর ও পঞ্চায়েত ভোটে তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে আসে। এমন প্রেক্ষাপটে বিধায়ক ও দলীয় নেতাদের একাংশের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে বলে অভিযোগ। লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ার পরও তিন বিধায়ককে দলীয় কর্মসূচিতে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছিল না। দলের একাংশ প্রাক্তন এক আমলার হয়ে ময়দানে নামেন। তাঁদের কেউ কেউ এখনও নিষ্ক্রিয়।
এমন প্রেক্ষাপটে এদিন মাটিগাড়ার একটি হোটেলে ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। সভায় দলীয় প্রার্থী বিস্তা সহ তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন ও দুর্গা মুর্মু এবং দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি অরুণ মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। সভায় মন্ত্রী বলেন, মোদি সরকার আবার আসবেই। রাজু বিস্তার হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। তাই শঙ্কর, দুর্গা, আনন্দ ও অরুণ সবাইকে একজোট হয়ে রেকর্ড ভোটে বিস্তাকে জেতান।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন বক্তব্য থেকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, দার্জিলিং কেন্দ্রের একাংশ পাহাড়। সেখানে পদ্মের কোন্দল নতুন নয়। ইতিমধ্যে বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়ক ভোটে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর প্রতীক ‘সেফ্টিপিন’-এর খোঁচায় পদ্ম শিবির কার্যত ‘ঘায়েল’। চেষ্টা করেও সেই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ব্যর্থ পদ্ম শিবির। তাই সমতলের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতে গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে ভোট বাড়ানো পদ্মের টার্গেট। মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট।
মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন অবশ্য বলেন, দলে কারও সঙ্গে কারও বিবাদ নেই। এটা বানানো গল্প। দলের জেলা কমিটির নির্দেশ মতো সকলেই ময়দানে মাটি কামড়ে রয়েছেন। তিনি সভায় বলেন, গতবার উত্তরবঙ্গ থেকে দু’জন এমপিকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গের প্রতি সকলেরই ভালোবাসা রয়েছে। বিস্তাও প্রধানমন্ত্রীর হৃদয়ের কাছে রয়েছেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও কাছের বিস্তা। এটা আমাদের কাছে বড় শক্তি। তাই তাঁকে রেকর্ড ভোটে জেতান। যত বেশি ভোটে ওঁকে জেতাবেন, ততই ওঁর গুরুত্ব বাড়বে। মোদি সরকার কোনও এলাকা ছেড়ে দেয় না। প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁর টার্গেট। এমন বক্তব্য ঘিরে স্থানীয়দের জল্পনা, এবার ভোটে জিতলে বিস্তা মন্ত্রী হতে পারেন। এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোরুবাথান ও শিলিগুড়ি শহরের মিলন মোড়ে সভা করেন। গোরুবাথানের জনসভায় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং।