উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
পুজোর উদ্যোক্তারা বলেন, করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এতে দর্শনার্থীরা সাড়া দেওয়ায় ভালো লাগছে। তাই অতীতের মতো এবার পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নামেনি। গুটিকয়েক দর্শনার্থী মণ্ডপে আসেন। পুজোর বাকি দিনগুলিও এভাবে কাটবে বলেই আশা করছি। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে প্রশাসনকে।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও পঞ্চামীর রাতেই শিলিগুড়ির কুমোরটুলি থেকে অধিকাংশ মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমা। এদিন সকালে ঢাকের বোলে উৎসবের জৌলুস ছড়িয়ে পড়ে অধিকাংশ মণ্ডপ। কোথাও কোথাও মাইকে গানও বাজে। তখন মণ্ডপে মণ্ডপে ষষ্ঠী পুজোয় অংশ নেন এলাকার মহিলারা। দুপুর থেকে মণ্ডপ ফাঁকা। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই হিলকার্ট রোড সহ বিভিন্ন রাস্তা ও পুজো মণ্ডপ চত্বর আলোয় ঝলমলিয়ে ওঠে। কিন্তু রাস্তায় দর্শনার্থীদের উল্লেখযোগ্য ভিড় নজরে পড়েনি। এনজেপি, দেশবন্ধুপাড়া, কলেজপাড়া, মহাকালপল্লি, হাকিমপাড়া, আশ্রমপাড়া, হায়দরপাড়া, প্রধাননগর, চম্পাসারি সর্বত্রই পুজো মণ্ডপ ছিল ফাঁকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বিগত বছরগুলিতে ষষ্ঠীর সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে থাকে কচিকাঁচাদের কোলাহল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই গলির রাস্তা থেকে শুরু করে হিলকার্ট রোড, বিধান রোড, এসএফ রোড, এনজেপি মেইন রোড, বর্ধমান রোড সহ প্রায় সমস্ত রাস্তাই দর্শনার্থীদের দেখা মেলে। এবার কিন্তু সেই দৃশ্য নেই। করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে অধিকাংই বাড়িতে বসেই পুজোর আনন্দ নিচ্ছেন। যাঁরা রাস্তায় বেরিয়েছেন, তাঁদের মুখেও রয়েছে মাস্ক। সঙ্গে স্যানিটাইজার। অনেকে দূর থেকেই মণ্ডপের ছবি তুলেছেন। করোনা আবহে ষষ্ঠীতে কার্যত ফাঁকা জলপাইগুড়ি শহরের অধিকাংশ পুজো মণ্ডপ। শহরের দিশারী ক্লাব, কদমতলা সর্বজনীন, পাতকাটা অগ্রণী সঙ্ঘ ও পাঠাগার, রায়কতপাড়া সর্বজনীন, তরুণ দল সহ বিভিন্ন বারোয়ারি পুজো কমিটির মণ্ডপ সন্ধ্যাতেও কার্যত ছিল ফাঁকা। সরকারি নির্দেশিকা মেনে মণ্ডপ স্যানিটাইজ করা হয়। সন্ধ্যায় পুজোর বাজার সেরে অনেকেই উঁকি মারেন মণ্ডপে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় ভিড় ছিল অনেকটাই হাল্কা। বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির পুজো মণ্ডপ ছিল ফাঁকা। আলিপুরদুয়ার জেলা থেকেও ষষ্ঠীর চেনা ছবি উধাও। এদিন সকালে পুজো মণ্ডপ চত্বরে কচিকাঁচা ও তরুণ তরুণীরা ভিড় করে। তবে আদালতের নির্দেশে মণ্ডপে ঢোকার কোনও উপায় ছিল না। দূর থেকেই প্রতিমা দেখার স্বাদ মেটাতে হয়েছে সবাইকে। সন্ধ্যার পরে শহরের বক্সা ফিডার রোডের দু’পাশে উপলমুখর ক্লাব, মিলন সঙ্ঘ, সুতলিপট্টি সর্বজনীন ও নিউ আলিপুরদুয়ারের রাস্তায় লোহারপুল ইউনিটের মণ্ডপের সামনে কিছুটা ভিড় হয়।
কোচবিহার জেলার ছবিটাও ছিল একইরকম। এদিন কোথাও বাজছে আশির দশকের বাংলা সিনেমার হিট গান। কোনও মণ্ডপে বাজছে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠের মহালয়া। করোনা আবহে এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমনই দৃশ্য ধরা পড়েছে পুজো মণ্ডপগুলিতে। সন্ধ্যা নামতেই শহরের মণ্ডপে ও আশাপাশের এলাকায় আলো জ্বলে উঠতেই পরিবেশ বেশ কিছুটা বদলে যায়। বড়দেবীর মন্দিরেও ভিড় করেন কিছু দর্শনার্থী। বেশকিছু মণ্ডপের সামনে দর্শনার্থীরা ভিড় করলেও তা গত বছরের তুলনায় অনেক কম।