উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
দুর্গাপুজো উপলক্ষে জেলা সদরের বাজারগুলিতে ভিড় বাড়তে শুরু করার পর থেকেই করোনা নিয়ে প্রমাদ গুনছে মালদহ জেলা প্রশাসন। করোনা নিয়ে উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায়ও সম্প্রতি জেলায় এসে এব্যাপারে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরকে আলাদাভাবে সতর্ক করে গিয়েছে। পুজোর বাজারের ভিড়ে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত এরকম কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। তবে শুরু হয়েছে পুর বাজারগুলি স্যানিটাইজ করার কাজ। ষষ্ঠী থেকে শহরের মণ্ডপগুলিও স্যানিটাইজ করা শুরু হয়েছে। গত দু’দিনে শহরের চারটি পুর বাজার দমকল কর্মীরা স্যানিটাইজ করেছেন। দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যত বেশি সম্ভব মণ্ডপ ও ক্লাব চত্বর স্যানিটাইজ করা হবে।
দমকল বিভাগের এক আধিকারিক বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, একদম প্রথমে ঝলঝলিয়া এলাকার কাজি আজহারউদ্দিন পুরবাজার ও নেতাজি সুভাষ পুরবাজার স্যানিটাইজ করেছেন দমকল কর্মীরা। পরে মকদুমপুর পুরবাজার ও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন পুর বাজারও স্যানিটাইজ করা হয়েছে। পাশাপাশি মকদুমপুর এলাকার মূল রাস্তা বরাবর বেশ খানিকটা অংশও স্যানিটাইজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, এছাড়া আমরা শহরের মণ্ডপগুলি স্যানিটাইজ করার কাজে হাত দিয়েছি। যত বেশি সংখ্যক মণ্ডপ ও ক্লাবগুলিকে আমরা স্যানিটাইজ করব।
একইসঙ্গে পুরসভার পক্ষ থেকেও স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জরুরি পরিষেবা হিসেবে দুর্গাপুজোর মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় এই স্যানিটাইজেশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, পুরসভার যে বাজারগুলি রয়েছে, তাতে পুজোর আগে অনেকেই কেনাকাটা করতে এসেছেন। বেশিরভাগ মানুষজনই মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করলেও কারও কারও মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা দিয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের তরফেও পুরবাজারগুলিকে স্যানিটাইজ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন নীহার ঘোষ বলেন, করোনা আক্রান্তদের অনেকেরই বাসস্থান তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে স্যানিটাইজ করা হয়েছে। পুরসভার স্যানিটাইজেশন সংক্রান্ত নিজস্ব বিভাগ ও কর্মীরা রয়েছেন। তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব নিয়মিত পালন করছেন।
দমকল বিভাগ ও পুরসভার এই উদ্যোগে খুশি নাগরিকরাও। অনেকেই বলছেন, এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। উল্লেখ্য, মালদহে করোনা পরিস্থিতির শুরুর দিক থেকেই বিভিন্ন এলাকা স্যানিটাইজ করার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছিল দমকল বাহিনী। বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবনের পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় দফায় দফায় এই স্যানিটাইজেশন অভিযান চালানো হয়।
শুধু তাই নয়, লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের বিষণ্ণতা কাটাতে এবং তাঁদের করোনা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করে নিজেরাই গান বেঁধে ও সুর দিয়ে ইংলিশবাজারের বিভিন্ন জায়গায় গেয়েছিলেন এই জরুরি দপ্তরের কর্মীরা। সম্প্রতি মালদহে করোনা পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগজনক হয়ে ওঠায় এই ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে জেলায় করোনা সংক্রমণে কিছুটা লাগাম টানা গিয়েছিল। কিন্তু অক্টোবর মাসের শুরু থেকে মালদহ জেলা সদরের বাজারে যত ভিড় বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে করোনাও। এমাসে একাধিক দিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে একশোর গণ্ডি। এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। নিজস্ব চিত্র