পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
ফালাকাটা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, হ্যামিল্টনগঞ্জের ব্যবসায়ী শঙ্কর কর্মকার শুক্রবার রাতে ফালাকাটা থেকে তাঁর নিজের পিকআপ ভ্যানে আলু ও পেঁয়াজের বস্তা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন রাত সাড়ে ৯টার কাছাকাছি হবে। পিকআপ ভ্যানটিতে আলুর ২২টি বস্তা ও পেঁয়াজের চারটি বস্তা ছিল।
ফালাকাটা থেকে সাতমাইল এলাকায় আসার পর সেখানে একটি স্পিড ব্রেকারের সামনে গাড়ির গতি কমে গেলে শঙ্করবাবু ও তাঁর সঙ্গীরা লক্ষ্য করেন তাঁদের গাড়ির পেছনে মোটর বাইক আরোহী একযুবক ফলো করে আসছে। ওই বাইকটির হেডলাইট বন্ধ। কিন্তু তখনকার মতো বিষয়টিকে তাঁরা কেউ গুরুত্ব দেননি। এরপর আটমাইলে আরও একটি স্পিড ব্রেকারের সামনে গাড়ির গতি কমে যাওয়ার সময় শঙ্করবাবু ও তাঁর সঙ্গীরা লক্ষ্য করেন তখনও বাইকটি তাঁদের গাড়ির পিছন পিছন আসছে। কিন্তু বাইকটি পিকআপ ভ্যানকে ওভারটেক করছে না। এরপর ন’মাইল এলাকার স্পিড ব্রেকারে ফের গাড়ির গতি কমে গেলে শঙ্করবাবুরা তাঁদের গাড়ি থেকে বস্তা পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পান।
তখনই শঙ্করবাবু গাড়ি থামান। তিনি গাড়ি থেকে নামার আগেই দুই দুষ্কৃতী পিকআপ ভ্যান থেকে লাফ দিয়ে অন্ধাকারে রাস্তার পাশে থাকা জঙ্গলে পালিয়ে যায়। সেই সময় মাদারিহাটের দিক থেকে কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটি সেরে ন’মাইলে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরাই পিকআপ ভ্যানের পিছনে থাকা মোটর বাইকটিকে ধাওয়া করলে বাইক আরোহী যুবক রাস্তায় বাইক ফেলে দিয়ে জলদাপাড়া জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে।
পরে পুলিস দু’বস্তা আলু উদ্ধার করে। যদিও আলুর বস্তা ফিরে পাওয়ায় শঙ্করবাবু এ নিয়ে পুলিসর কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। ফালাকাটা থানার আইসি দেবদত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোনও অভিযোগ হয়নি। তবে উদ্ধার হওয়া বাইকের নম্বর ধরে দুষ্কৃতীদের সন্ধানে নামা হয়েছে।