উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
দোকান খোলা নিয়ে উল্টে প্রশাসনের উপরই দায় চাপিয়ে দিয়েছেন শহরের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, লকডাউনের নিয়মকানুন নিয়ে ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে তাঁদের মধ্যে। কোথায় কোন দোকান খোলা থাকবে, কতক্ষণ খোলা থাকবে, সেসবের কোনও স্পষ্ট উল্লেখ করা নেই। সেই কারণেই এদিন সমস্যা হয়েছে। পাশাপাশি লকডাউন ভঙ্গ নিয়ে পুলিস ও প্রশাসনের নজরদারির অভাবের অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য ঘোষিত লকডাউন নিয়ে পুলিস ও প্রশাসন যতটা সক্রিয় থাকে, জেলা প্রশাসনের লকডাউন নিয়ে তারা ততটাও নজরদারি চালায় না। তার সুযোগ নিয়েই লকডাউন ভঙ্গ করছেন অনেকে।
লকডাউন নিয়ে প্রচার না হওয়ার অভিযোগ অবশ্য মানতে চায়নি পুর কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, আমরা পুরসভার তরফ থেকে লাগাতার এই বাড়তি লকডাউন মেনে চলার জন্য মানুষের কাছে আবেদন করে এসেছি। লাগাতার প্রচার চালানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও বহু দোকানপাট এদিন খুলে দেওয়া হয়েছিল। যা একদমই মেনে নেওয়া যায় না। মানুষের মধ্যে সচেতনতা না এলে কোনওভাবেই প্রশাসন, পুরসভা বা পুলিশ চাপ সৃষ্টি করে তা তৈরি করতে পারে না। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই মানুষকে সচেতন হয়ে সরকারি নির্দেশিকা পালন করতে হবে।
রায়গঞ্জের চেম্বার অফ কমার্স-এর তরফ থেকে শঙ্কর কুণ্ডু বলেন, রাজ্যজুড়ে যে দিনগুলিতে লকডাউন জারি করা হয়েছে, সেব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশিকা আমাদের হাতে রয়েছে। তবে এই বাড়তি লকডাউনের দিনগুলিতে কোন কোন দোকান নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর আওতায় পড়ছে, কোন পড়ছে না, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আমাদের নেই। তাই ব্যবসায়ীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সেজন্য এধরনের সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করছি।
রায়গঞ্জ শহরে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আড়াইশো ছুঁতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে আরও দু’দিন লকডাউনের কথা মঙ্গলবার সন্ধায় ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।