উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকারই লাগোয়া মানিকচক, মথুরাপুর, নুরপুর, চৌকি মিরদাদপুরের মতো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে এর মধ্যে একাধিক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারই মধ্যে সংক্রমণ রুখতে কড়া নিয়মকানুন মেনে নাজিরপুরের বাসিন্দাদের এই সাফল্য প্রশংসা কুড়িয়েছে। এলাকার প্রতিটি গ্রামের মোড়ে লোক মোতায়েন করা হয়েছে। কার্যত পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা। যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করানো হচ্ছে ও স্যানিটাইজড করা হচ্ছে। ঠিকমতো এই কাজ হচ্ছে কি না, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। যদি কেউ ভিন রাজ্য থেকে আসে, তাহলে তাঁকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকলে তাঁদের জন্য পঞ্চায়েত থেকে সবরকম থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এখন অবশ্য বাইরের রাজ্য থেকে কেউ গ্রামে ফিরছেন না। লকডাউন শুরু হওয়ার প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁদের অধিকাংশই গ্রামে ফিরেছেন। লকডাউনে কাজ হারিয়ে যাঁরা গ্রামে ফিরেছেন, তাঁদের উপার্জনের ব্যবস্থা করছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। যাঁদের জব কার্ড রয়েছে, তাঁদের ১০০ দিনের কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে। যাঁদের জব কার্ড নেই, তাঁদের জন্য দ্রুত কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির পম্পা সরকার বলেন, লকডাউননের শুরু থেকে আমরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সব ধরনের পরিষেবা দিয়ে আসছি। ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে গ্রামের প্রতিটি মোড়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে। যাতে নাম নথিভুক্ত না করিয়ে কেউ গ্রামে ঢুকতে না পারে।
নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মনোজ বসাক বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খুব ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে আমাদের সবসময় সচেতন করে হচ্ছে। আমরা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি, সেই প্রচারও চলছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ও আশাকর্মীরা যৌথভাবে দারুণ কাজ করছেন।
নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মরত আশাকর্মীরা জানান, আমরা সবসময় সচেতনতামূলক প্রচার করে চলছি। যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন, তাঁদের আমরা মাঝেমাঝে একটু করে গরম জল খাওয়ার কথা বলছি। সব সময় স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে।