শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
সোমবার কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ও ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতির করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। এর আগে কুমারগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক, তৃণমূলের যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি, শ্রমিক সংগঠনের নেতা, ব্লকের কয়েকজন নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি নীচুতলার বহু নেতা ও কর্মীর শরীরেও করোনা সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশ নানা কর্মসূচিতে যোগদান করেছিলেন। তারপরে তাঁদের সোয়াব পরীক্ষা করে করোনার হদিশ মেলে। এর আগে দেশজুড়ে যখন লকডাউন লাগু ছিল, তখন জেলায় প্রকাশ্যে সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিও স্থগিত ছিল। নেতারা সমস্ত কর্মসূচি থেকে নিজেদের বিরত রেখেছিলেন। কিন্তু আনলক পর্বে সেসব শিথিল হয়ে যায়। বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে একের পর এক কর্মসূচি নেওয়া হয়।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমরা হাতে গোনা কয়েকটি কর্মসূচি করেছি। সমস্ত নিয়ম মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আমরা সেগুলি পালন করেছি। সকল নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া আছে যে এখন রাজনীতি করার সময় না। বিপদে মানুষের পাশে থাকতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। আমার অফিস বন্ধ করে দিয়েছি। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছি।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরে বসে যাবতীয় কাজ করা হচ্ছে। ভার্চুয়াল সভার উপরে আমরা বেশি জোর দিয়েছি। আগে বেশ কিছু আন্দোলন করেছি। কিন্তু এখন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই নেতা-কর্মীরা কর্মসূচি পালন করছেন।
আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, এখনও আমাদের দলের কোনও নেতা কর্মী আক্রান্ত হননি। নীচুতলার কেউ আক্রান্ত হয়েছেন কি না, সেবিষয়ে জানা নেই। সবাইকে সচেতন থাকতে ও সাবধানে কাজ করতে বলেছি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সব রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে ’২১-র বিধানসভাকে পাখির চোখ করে কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূল ও বামের তরফে পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে পথে নেমে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে। তেমনি বিজেপি বিদ্যুতের বিল মকুবের মতো ইস্যুতে ময়দানে নেমেছে। আবার তারই মধ্যে একের পর রাজনৈতিক নেতা করোনায় আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। ফলে দলের বাকি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অনেকে কর্মসূচিতে যোগদান করতেই চাইছেন না। সব নেতা-কর্মীর সোয়াব পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তাই আরও কে কে আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানাও যায়নি। একের পর এক রাজনৈতিক নেতা আক্রান্ত হওয়ার পরে জেলাস্তরের পার্টি অফিসগুলিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।