শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
মিনতি বর্মন, পারুবালা পাল, ধীরেন বর্মন বলেন, রাতে নদীর বাঁধের উপর দিয়ে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে জলের তোড়ে বাঁধের ২০ ফুট ভেঙে গিয়েছে। এখনও সেখান দিয়ে হু হু করে জল ঢুকছে। বাঁধ সংস্কারের কোনও উদ্যোগেই প্রশাসন নেয়নি। আমরা জলে বন্দি হয়ে থাকালেও কেউ এসে আমাদের খোঁজ নেয়নি।
গিতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিথিকা বর্মন রায় বলেন, বাঁধের একটু জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। প্রায় ৫০০০ মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। আমরা তাঁদের রেসকিউ সেন্টারে আসার কথা বললেও তাঁরা আসতে রাজি হচ্ছেন না। ব্লক প্রসাশনকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমাদের স্পিড বোট তৈরি আছে।
যদিও পরে ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় তৃণমূলী বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিতাইয়ের বিডিও অমিতকুমার মণ্ডল, দিনহাটার এসডিপিও মানবেন্দ্র দাস সহ অন্যান্যরা। বিধায়ক বলেন, আপাতত বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতির চেষ্টা করা হচ্ছে। সেচ দপ্তরের জেলা আধিকারিকরাও এসেছিলেন। তাঁরাও দেখে গিয়েছেন। বর্ষার পর এখানে বাঁধ তৈরি করা হবে।
নদীর জলে প্লাবিত হয়েছে গিতালদহ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতর উত্তর ও দক্ষিণ ভোরাম পয়েস্তি, দরিবশ, জারিধরলা, ভারবান্ধা গ্রাম। গিতালদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দোল গোবিন্দ গ্রামও প্লাবিত হয়েছে। পেটলা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজাখোঁড়া, পাঁচকুনা, শৈলমারির নদী তীরবর্তী বাত্রিগছ এলাকায় মানসাই নদীর জলঢুকে যায়। শনিবার রাতে সিতাই ব্লকের ব্রহ্মত্তরচাত্রা গ্রাম পঞ্চায়ত এলাকায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে গ্রামে নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় সিঙ্গিমারি, সাগরদিঘি ও নতুনবস প্লাবিত হয়েছে।
যদিও এখনও জলবন্দি বাসিন্দাদের রেসকিউ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়নি। রাতের দিকে আবার নদীর জল বাড়তে শুরু করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গ্রামে নদীর জল ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমন ধানের চাষ। ধানের বীজতলা জলের নীচে চলে গিয়েছে। পুকুরগুলি ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এলাকার মৎস্য চাষিরাও।
মৎস্য চাষি আজিজ আলি বলেন, চারবিঘার পুকুরে মাছ ছেড়েছিলাম। কিন্তু নদীর জল ঢুকে সব মাছ বের হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে হঠাৎ করে জল বাড়তে শুরু করে মানসাই নদীতে। রাতেই বাঁধের নিচু জায়গাগুলি দিয়ে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে জল ঢুকতে শুরু করে। পশ্চিম ভোরাম পয়েস্তিতে বিএসএফ চৌকির কাছে প্রায় ২৫ ফুট মাটির বাঁধ ভেঙে যায়। গ্রামগুলি জলে ডুবে গেলেও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের কেউ তা দেখতে আসেনি বলে অভিযোগ। ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামতিরও কোনও উদ্যোগ প্রশাসন নেয়নি।