শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
এবিষয়ে হিলি ব্লকের বিডিও সোমেন বিশ্বাস বলেন, হিলির বাস স্ট্যান্ডটির সংস্কারের নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগেই। ইতিমধ্যেই সেই সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের দিকে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা দিয়ে বাস স্ট্যান্ড চত্বরে বিশ্রামাগার নির্মাণ সহ একাধিক সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি বাসস্ট্যান্ডের সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হবে। ওই স্ট্যান্ডের উপর ভারত ও বাংলাদেশের অনেক মানুষ নির্ভর করেন। তাঁরা উপকৃত হবেন। হিলি ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, বাসস্ট্যান্ডের পরিচর্যা ও সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন কর্মী নিয়োগ করা হবে। জানা গিয়েছে, হিলির এই বাস টার্মিনাসটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিল। অথচ এর অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। ভারতের নাগরিকরা হিলির এই বাসস্ট্যান্ডে নেমে চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশের নাগরিকরাও চেকপোস্ট পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করে এই বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকেই গাড়িতে চেপে জেলার শহরগুলিতে যান। তাঁরা ছাড়াও প্রতিদিন হিলির প্রচুর নিত্যযাত্রী সহ ছাত্রছাত্রীরা ওই স্ট্যান্ড ব্যবহার করেন।
যাত্রীদের অভিযোগ, ওই বাসস্ট্যাণ্ডে চারিদিকে আবর্জনায় ভর্তি। বসার জায়গাও অপরিষ্কার। রাত হলেই গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এছাড়াও বাসস্ট্যান্ডের রক্ষণাবেক্ষণের কোনও কর্মী নেই।
এক নিত্যযাত্রী সুশীল দাস বলেন, এখন লকডাউনের জন্য যাতায়াত কমেছে। কিন্তু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আমাদের প্রতিদিনই হিলি বাস স্ট্যান্ড থেকে বালুরঘাটে যাতায়াত হয়। আগে স্ট্যাণ্ডে ঢুকতেই গা ঘিন ঘিন করত। যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকত। দুর্গন্ধ ছড়াত। সমস্যায় পড়তে হতো দু’দেশেরই বহু মানুষকে। হিলির এত গুরুত্বপূর্ণ এই স্টান্ডটির সংস্কার করা হলে, আমাদের অনেক সুবিধা হবে।
স্থানীয় এক হোটেল কর্মী গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, এই বাস স্ট্যান্ড যে যেমন খুশি ব্যবহার করে। বাস স্ট্যান্ডটি দেখভালের জন্য কোনও কর্মী নেই। এবিষয়ে কারও হেলদোলও নেই। বাংলাদেশ অথবা বাইরে থেকে যাঁরা এই এলাকায় আসেন, তাঁরা স্ট্যান্ডের শৌচাগার ব্যবহারও করতে পারেন না। বাধ্য হয়ে আমাদের হোটেলে এসে শৌচকর্ম সারেন। এখন সংস্কারের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে নিশ্চয় সাধারণ মানুষের উপকার হবে।
হিলির এক ছাত্রী দৃষ্টি গোস্বামী বলেন, চারিদিকে আবর্জনা ও প্লাস্টিক পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঠিকমত সাফাই হোত না। বেহাল শৌচাগারের জন্য মহিলাদের সমস্যা হতো। আশা করি সব সমস্যার সমাধান হবে।