শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির কবলে পড়া জেলাগুলির মধ্যে কোচবিহার অন্যতম। জল নামতে শুরু করলেও তোর্সা, মানসাই ও রায়ডাক-১ নদীর জলস্তরের উচ্চতা এখনও বিপদসীমার উপরে রয়েছে। তিনটি নদীতেই জারি রয়েছে হলুদ সংকেত। এই অবস্থায় এদিন সকালে দিনহাটা-১ ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গীতালদহে বাঁধ ভেঙে মানসাই নদীর জলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ১০টি গ্রাম। নদীর জলের তলায় রংপুর রোড। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ নিয়ে কোচবিহার সদর, দিনহাটা, মাথাভাঙা ও তুফানগঞ্জের ১৬০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বন্যা পরিস্থিতির কবলে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ২৭টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ২৭৫৭ জন। অনেকে এখনও জলমগ্ন এলাকায় আছেন। এদিকে, সোমবার ভোর থেকে কোচবিহারে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টির দাপট ও তিস্তা নদীর জলস্তরের উচ্চতা কিছুটা কমলেও জলপাইগুড়ি জেলার বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর, জলস্তর কিছুটা কমায় এদিন তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় জারি থাকা লাল সর্তকতা প্রত্যাহার করে হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়। দুপুরে দোমহনি এলাকায় তিস্তা নদীতে জলের উচ্চতা ছিল ৮৫.৭৩ মিটার। তবে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি সদর, নাগরাকাটা, ময়নাগুড়ির পাঁচটি এবং রাজগঞ্জ ব্লকের প্রায় ১২৯টি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই দুর্যোগের কবলে পড়েন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে জেলার মোট ৩১৫টি রিলিফ সেন্টার খোলা হয়েছে। সেগুলিতে ৫০-১০০ জন করে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে। জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিলি চলছে। আলিপুরদুয়ারে কালজানি নদীর জলস্তর বিপদসীমার নীচে নামায় হলুদ সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫, ৮, ৯ ও ২০ সহ কয়েকটি ওয়ার্ডে এখনও কিছুটা জল দাঁড়িয়ে আছে। শিলিগুড়িতে বৃষ্টির দাপট কমার পাশাপাশি মহানন্দা নদীর জলস্তরও কমেছে। শহর ও গ্রামের জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকেও জল নামছে। তবে ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি ফের অবনতি হতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করেছেন। -নিজস্ব চিত্র