শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শহরে করোনার সংক্রমণ রোধ করতে পুর প্রশাসন সর্বদলীয় বৈঠক করে গত বুধবার থেকে এক সপ্তাহের ব্যবসায়িক বন্ধ ঘোষণা করেছিল। মঙ্গলবার তার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পরে এলাকার পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আবারও সর্বদলীয় বৈঠক করেই সেই বন্ধের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা থাকলেও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা ছিলেন না। পুরসভার প্রশাসক তথা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলি বলেন, এদিন যে সর্বদলীয় বৈঠক হবে, তা নিয়ে আগের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সর্বসম্মতিতে এক সপ্তাহের ব্যবসায়িক বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু এদিনের বৈঠকে তৃণমূল ছাড়া অন্যান্য দলগুলি ছিল না। তাই আমরা আর একতরফা সিদ্ধান্ত নিইনি। বন্ধের সময়সীমাও আর বাড়াইনি। আপাতত শহরে ১৫টি বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। এই সংখ্য বাড়তে পারে।
তৃণমূল কংগ্রেসের শহর কমিটির সম্পাদক তনয় দে বলেন, শহরের স্বার্থে এদিনের মিটিং গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি উপস্থিত না হওয়ার ফলে এদিন প্রশাসন কোনও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে পারেনি। সিদ্ধান্তও নিতে পারেনি।
বিজেপির শহর কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট গৌতম দে ওরফে বাবু বলেন, কি করতে মিটিংয়ে যাব? এর আগে সর্বদলীয় মিটিংয়ে উপস্তিত ছিলাম। ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও অনেক দোকানপাট খোলা ছিল। প্রশাসনকে সেসব কথা জানালেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুর প্রশাসন এই বিষয়ে উদাসীন। ফলে মিটিংয়ে যাইনি। সিপিএমের ডালখোলা এরিয়া কমিটির সম্পাদক রাম বিশ্বাস বলেন, এদিনের মিটিংয়ে তো আমাদের ডাকা হয়নি। এদিন যে মিটিং হবে তা আমাদের জানা ছিল না।
কংগ্রেসের টাউন কমিটির সভাপতি আলতাফ হুসেন বলেন, এর আগের বৈঠকে মৌখিকভাবে প্রশাসক বলেছিল যে এদিন মিটিং হবে। কিন্তু পরে সরকারিভাবে কিছু জানান হয়নি। তাই এদিন উপস্থিত হতে পারিনি।
ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম সরকার বলেন, আমাদের সংগঠনের একজনের পরিবারের সদস্যের করোনা হয়েছে। তাই বাকিদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমরা আর মিটিংয়ে যাইনি। তবে পুর কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমরা সেটাই মেনে নেব। মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজেশ গুপ্তা বলেন, আমি এদিন ছিলাম। বলেছি, বন্ধ হলে সমস্ত কিছুই বন্ধ করতে হবে।
এদিকে ডালখোলা শহরের বাসিন্দারা বলেছেন, দিন দিন যেভাবে এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে এসময় কঠোর ভাবে বিধিনিষেধ পালন করা প্রয়োজন। এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মিটিংয়ে না যাওয়ায় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না। এভাবে তারা দায়িত্ব এড়িয়ে গেলেন।