শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গে নিযুক্ত ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, মৃতদের অধিকাংশের মধ্যেই ছিল অন্যান্য রোগের উপসর্গ। কাজেই শুধুমাত্র করোনায় মৃতের সংখ্যা অনেক কম। তা হলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না জানতে ব্লকে ব্লকে র্যান্ডাম টেস্ট শুরু হয়েছে। এবার অ্যান্টিবডি টেস্টও করা হবে।
প্রায় তিনমাস আগে উত্তরবঙ্গে থাবা বসায় কোভিড-১৯। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে কালিম্পংয়ের এক মহিলা আক্রান্ত হন। ২৯ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। সেটাই ছিল উত্তরবঙ্গে প্রথম মৃত্যু। ৫ এপ্রিল শিলিগুড়ি শহরে করোনার ছোবলে এক রেলকর্মীর মৃত্যু হয়। এরপর মে মাসে কোনও রোগীর মৃত্যু হয়নি। জুন মাস থেকে ফের শিলিগুড়িতে মৃত্যু শুরু হয়েছে। মৃত্যু মিছিলে এখনও দাড়ি পড়েনি। প্রতিদিনই কোভিড হাসপাতালে এক-দু’জন করে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। রবিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। যারমধ্যে শিলিগুড়ি শহরের ৩২ জন। বাকি পাঁচজন গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা।
এরবাইরে মালদহে করোনায় সংক্রামিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হলেও মৃতের সংখ্যা অনেক কম। এখানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দু’জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার অবস্থা অনেকটাই ভালো। সংশ্লিষ্ট দুই জেলায় কোনও মৃত্যু নেই।
যদিও দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বক্তব্য, ওই রোগীদের অধিকাংশের মধ্যে অন্যান্য রোগের উপসর্গ ছিল। কেউ সুগারে আবার কেউ হৃদরোগে কিংবা কিডনির রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁদের বয়সও ৫০’র ঊর্ধ্বে। কাজেই ওই রোগীদের সকলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তা বলা যাচ্ছে না। শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৩ জন বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার পর্যন্ত শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০৮ জন। শিলিগুড়ি শহরেই সংখ্যাটি ৫০০’র কাছাকাছি।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহল শিলিগুড়ি মহকুমায় সার্বিকভাবে লকডাউন করার দাবি তুলেছে। সোমবারও এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি জানিয়েছে ইস্টান এবিসি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য বলেন, ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় লকডাউন লাগু করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, জুন মাসে আইসিএমআরের নির্দেশে বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলায় কোভিড নিয়ে সেরোসার্ভে বা অ্যান্টিবডি টেস্ট হয়েছিল। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট জেলার শহর ও ব্লক মিলিয়ে ১০টি জায়গা থেকে ৪০০ জনের রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। যারমধ্যে মাত্র চারটি পজিটিভ কেস মেলে। ওএসডি বলেন, করোনার গতিপ্রকৃতি বুঝতে এবার উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হবে। -ফাইল চিত্র