শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
এদিন কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, নিরীহ গ্রামবাসীদের নামে ভূয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ধান কেনার বিপুল পরিমাণ টাকার বেআইনি লেনদেন করেছেন ইংলিশবাজারের যদুপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাজ্জাদ আলি। গ্রামবাসীদের নামে কয়েকটি বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই অ্যাকাউন্টগুলি নিয়ন্ত্রণ করছেন ওই প্রধানই। এমনকি গ্রাহকদের ফোন নম্বরও বদলে দেওয়া হচ্ছে। ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা ঢুকছে আবার তুলেও নেওয়া হচ্ছে। শহরের এক ব্যবসায়ী ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কিছু কর্মী এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেন প্রাক্তন মন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বেশ কিছু সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের টাকাও বেহাত হয়ে যাচ্ছে গ্রামবাসীদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ৫০০ টাকা করে গ্রামবাসীদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সেগুলিও বেহাত হয়ে গিয়েছে।
এদিন ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ সাংবাদিক বৈঠকের সময় প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে পার্টি অফিসে হাজির ছিলেন। তাঁরা জানান, বিষয়টি নিয়ে ইংলিশবাজার থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়ার বক্তব্য, পুলিস সব অভিযোগেরই তদন্ত করে। নির্দিষ্ট রীতি মেনেই এই অভিযোগেরও তদন্ত হবে।
ওই প্রধানের পাশে দাঁড়িয়ে ইংলিশবাজারের বিধায়ক বলেন, এক ব্যক্তি নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। এক হোটেল কর্মীকে ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে জোর করে বক্তব্য আদায় করার অভিযোগও কানে এসেছে। সংশ্লিষ্ট প্রধান সততার সঙ্গে কাজ করছেন। যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।
জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, দল প্রতিটি অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তবে রাতারাতি সব অভিযোগ তদন্ত করে মিটিয়ে ফেলা যায় না। নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই ওই অভিযোগেরও দলীয় পর্যায়ে তদন্ত করা হবে।
এদিকে প্রধানের বক্তব্য, আমি গ্রামবাসীদের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা পেতে সুবিধা হবে জেনেই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাহায্য করেছি। কিন্তু ওই অ্যাকাউন্টগুলির ব্যবহার ও ধান কেনাবেচার অর্থ নিয়ে অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে আমি সম্পূর্ণ অন্ধকারে। পুলিসে যখন অভিযোগ হয়েছে, তখন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। আমি যেকোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রধান বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে প্রধানের দায়িত্ব পান।