শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
হরিরামপুর সদর এলাকায় করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না, সেব্যাপারে নিশ্চিত হতে পদক্ষেপ নেয় স্বাস্থ্যদপ্তর। সদর এলাকার ব্যবসায়ীদের সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাঠানো রিপোর্টে হরিরামপুরের পাঁচ জন ব্যবসায়ীর দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ওই জনবহুল এলাকার চার জন ওষুধের দোকানদার ও একজন চা বিক্রেতা সংক্রামিত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই ওষুধের দোকানগুলিতে নিয়মিত ডাক্তারবাবুরা রোগী দেখেছেন। চৌপথী এলাকার ওই চা বিক্রেতার দোকানে অনেক এলাকাবাসী চা খেয়েছেন। এখন সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এদিন হরিরামপুর ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর আক্রান্ত পাঁচ জন ব্যবসায়ীকে গোকর্ণের সেফ হোমে পাঠিয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না, সেবিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর মুখ খোলেনি। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, হরিরামপুর সদর এলাকায় একশো মিটারের মধ্যে পাঁচজন ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। পাঁচজনেরই বাড়ি হরিরামপুরের মধ্যে। এবিষয়ে আমি স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আমরা হরিরামপুরকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করছি। সেইসঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী ওই এলাকায় লকডাউন করা হবে সংক্রমণ আটকাতে। সোমবার বিকেল ৫টা থেকে লকডাউন লাগু হয়েছে হরিরামপুর সদর এলাকায়।
হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তি এদিন সকালেও দোকান খুলে ব্যবসা করেছিলেন। আমরা খবর পাওয়ার পর সেই দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। এরপরে এভাবে আইন ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক আলম বলেন, হরিরামপুর সদরে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না, তার জন্য আমরা জনবহুল এলাকার ব্যবসায়ীদের সোয়াব পরীক্ষা করিয়েছি। প্রথম ধাপে চার জন ওষুধের দোকানদার ও একজন চা বিক্রেতার দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এরপরে সব্জি বিক্রেতা, মাছ ও মাংসের দোকানদারদের রিপোর্ট আসবে। এছাড়া নতুন করে ওই এলাকার মুদি ব্যবসায়ী, পানের দোকানদার, মোবাইলের ব্যবসায়ী, মিষ্টির দোকানদার ও ফলের দোকানদার সহ মোট ৩৪ জনের সোয়াব নেওয়া হয়েছে এদিন। তবে গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয় এখনই কিছু বলা যাবে না। হরিরামপুর ব্লকে প্রায় ১৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ব্লকে ফিরেছেন। এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা জানার জন্য এধরণের টেস্ট করছি আমরা। আক্রান্তদের দোকান স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজ করে দেওয়া হয়েছে। হরিরামপুরের বাসিন্দা শান্তনু দাস বলেন, আমরা আতঙ্কে রয়েছি। ওই ওষুধের দোকানগুলিতে ও চায়ের দোকানে চোখে পড়ার মতো ভিড় হতো। আর কোন কোন ব্যবসায়ীর মধ্যে করোনা ছড়িয়েছে, তা দ্রুত জানাক স্বাস্থ্য দপ্তর।