শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
কোচবিহার উত্তর বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিধায়ক না থাকায় সেখানকার ব্লক সভাপতির নাম দলের জেলা নেতৃত্ব দলের রাজ্য সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দিনে ঠিক করবে। দলের অন্দরে কোন্দলের জেরেই এখনও পর্যন্ত ওই সব বিধায়করা তাঁদের এলাকার ব্লক সভাপতিদের নাম জমা দিতে পারেননি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও ওই বিধায়করা এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁরা দ্রুত নামগুলি জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।
দলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, জেলায় আমাদের মোট ২২টি সাংগঠনিক ব্লক রয়েছে। সেই ব্লকগুলিতে ব্লক সভাপতি মনোনীত করা হবে। তারজন্য স্থানীয় বিধায়কদের কাছে নাম চাওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ বিধায়কই সেই নাম জমা দিয়েছেন। কিন্তু মেখলিগঞ্জ, দিনহাটা ও কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এখনও কোনও নাম জমা পড়েনি। ওই বিধায়কদের দ্রুত নাম জমা দিতে বলা হয়েছে। আমি আরও দু’দিন দেখব। তারমধ্যে নাম জমা না পড়লে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কথা বলব। এ বিষয়ে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, দলের পক্ষ থেকে বেশকিছু কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। সেগুলি পালন করছি। সেগুলি শেষ হলেই নাম জমা করব। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় রয়েছে। এ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আমি ব্লক সভাপতিদের নাম জমা দেব। মেখলিগঞ্জের বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান বলেন, সবকিছু ঠিক হয়ে আছে। আজ-কালের মধ্যেই সাংগঠনিক ব্লক সভাপতিদের নাম জমা করব। কোচবিহার জেলায় এরআগে তৃণমূল বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি তৈরি করেছে। সেই কমিটি তৈরি সময়ও নাম জমা করা নিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেখা গিয়েছিল। পরবর্তী সেগুলি ঘোষণা করা হয়। এরপর দলের পক্ষ থেকে জেলায় সাংগঠনিক ব্লক সভাপতির নাম ঠিক করা হচ্ছে। জেলায় মোট ২২টি সাংগঠনিক ব্লক রয়েছে। দলের এই সাংগঠনিক বিষয়টি শুরু হওয়ার পর জেলার অধিকাংশ বিধায়ক তাঁদের এলাকার সাংগঠনিক ব্লক সভাপতিদের নাম জেলা সভাপতির কাছে জমা করে দিয়েছেন। কিন্তু ওই তিন বিধানসভা কেন্দ্রের চারটি করে মোট ন’টি সাংগঠনিক ব্লক সভাপতিদের নাম এখনও জমা পড়েনি। কোচবিহারে তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল কোনও নতুন ঘটনা নয়। মাঝেমধ্যেই তা প্রকাশ্যে চলে আসছে। দিনহাটায় তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল জেলাজুড়েই চর্চা চলছে। অন্যত্রও গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে গোষ্ঠী কোন্দল এড়িয়ে সবদিক বজায় রেখে ব্লক সভাপতিদের নাম জমা করতে গিয়েই এই বিলম্ব হচ্ছে।