শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
শনিবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এনজেপি থানার পুলিসের টিম পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে ৫০ কেজির বেশি গাঁজা উদ্ধার হয়। অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এটিএম লুটের তথ্য উঠে আসে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতরা হল গৌতম মালি, খোকন সরকার, দেবু দেব, ভজন দাস এবং রাজেন সরকার। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি ইসলামপুরে। বাকিরা ফাঁসিদেওয়া, শিলিগুড়ি, ভক্তিনগর প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দা।
লকডাউনের মধ্যে শিলিগুড়ি শহরে একরপর এক এটিএম লুটের চেষ্টার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। পুলিস ঘটনায় তদন্ত শুরু করলেও কিছুতেই কিনারা করতে পারছিল না। গাঁজা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্তদের ধরেই সেই রহস্যের কিনারা করল শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের তদন্তকারীরা।
শনিবার রাতে গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিস। সেই সময় একটি গাড়ি থেকে গাঁজা প্যাকেটগুলি উদ্ধার হয়। গাড়িতে থাকা পাঁচজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কাছ থেকে বেশকিছু অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছিল। এরপরই ধৃতদের জেরা করে তাঁরা জানতে পারেন শহরের বিভিন্ন জায়গায় গত একমাসে এটিএম ভাঙার সঙ্গে তারাই জড়িত।
শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের ডিসিপি (ইস্ট) বলেন, ২০১৯ সাল থেকে শিলিগুড়ি শহরে একের পর এক এটিএম ভাঙার ঘটনা ঘটেছে। শিলিগুড়ির আশিঘর, ডাবগ্রাম, শক্তিগড় সহ বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের প্রায় ১২টি এটিএম ভাঙার ঘটনার পাশাপাশি গত একমাসে শহরে যে এটিএমগুলি ভাঙা হয়েছে তারসঙ্গে এরা জড়িত বলে জেরায় স্বীকার করেছে। ধৃতদের মধ্যে একজন উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা। বাকিরা প্রত্যেকেই শিলিগুড়ি ও আশেপাশের। এলাকা সর্ম্পকে ওদের পরিচিতি হওয়ার সুবাদেই সিসিটিভি’র নজর এড়িয়ে এই ধরনের কাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিল। রেকর্ড ঘেটে দেখা গিয়েছে এর আগেও অভিযুক্তরা একাধিক অপকর্মমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল। অভিযুক্তদের জেরা করে এ বিষয়ে আরও তথ্যের সন্ধান চালানো হচ্ছে। লকডাউন পর্বে শিলিগুড়ি শহরে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বিবেকানন্দপল্লি, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের শক্তিগড় স্কুল মাঠের পাশের এটিএম একই কায়দায় ভেঙে বাইরে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তারা এটিএম ভাঙলেও কোনও ক্ষেত্রেই ভল্ট ভেঙে টাকা নিয়ে যেতে পারেনি। এটিএম লুটের চেষ্টার পাশাপাশি লকডাউন পর্বে একাধিক চুরির ঘটনা এই শহরে হয়েছে। এমনকী করোনায় মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পর ফাঁকা বাড়িতেও চুরির ঘটনাও হয়েছে। ডিসিপি বলেন, একাধিক অভিযোগ গত ক’মাসে সামনে এসেছে। বেশকিছু অপরাধী পাকড়াও হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।