শরীর-স্বাস্থ্যের হঠাৎ অবনতি। উচ্চশিক্ষায় বাধা। সৃষ্টিশীল কাজে উন্নতি। পারিবারিক কলহ এড়িয়ে চলুন। জ্ঞাতি বিরোধ সম্পত্তি ... বিশদ
এদিকে মন্দির বন্ধের এই সিদ্ধান্ত ভক্তদের কিছুটা নিরাশ করেছে। প্রতি শুক্রবার মন্দিরে পুজো দিতে ভক্তদের ঢল নামে। তাছাড়া অন্যান্য দিনও কমবেশি ভিড় থাকেই। আগামীতে কবে মন্দির খোলা হবে, আর ভক্তরা আবার পুজো দিতে পারবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেল। বোল্লা মন্দির কমিটির সদস্য দীপক কর্মকার বলেন, পুজো দেওয়ার জন্য মন্দিরে যাতে ভিড় না হয়, সেদিকে নজর দিয়ে একেবারে মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিয়ম পালন করতে কেবল পুরোহিত ভেতরে ঢুকবেন পুজো দিতে। আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য মন্দির বন্ধ থাকছে।
অন্যদিকে, বালুরঘাটের বুড়াকালী মন্দির কিন্তু এখনই বন্ধ করা হচ্ছে না। সেখানে দূরত্ব বজায় রেখে পুজো চালু থাকছে আপাতত। তবে মন্দির কমিটির তরফে পুজো দিতে আসা ভক্তদের জন্য নিয়ম কঠোর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বুড়াকালী মন্দির কমিটির সদস্য খোকন পাল বলেন, আমাদের মন্দির খোলা রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ভক্তরা পুজো দিচ্ছেন। শহরে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে আগামীতে নিয়ম আরও কঠোর করা হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাচীন মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম বোল্লা কালীর মন্দির। জেলার পাশাপাশি ভিন জেলা ও ভিন রাজ্য থেকেও ভক্তরা এখানে ভিড় করেন। প্রতি শুক্রবার মন্দিরে পুজো দিতে ভক্তদের ঢল নামে। লকডাউনের পর সম্প্রতি মন্দিরে পুজো দেওয়া চালু হয়। তবে মন্দিরের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকেই দূরত্ব বজায় রেখে পুজো দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছিল।
এবার জেলায় সংক্রমণ বাড়তেই এবার পুরোপুরি মন্দির বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকেই এই নিয়ম চালু করে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে চারদিক দড়ি ও বেঁড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
এদিন অনেকেই পুজো দিতে এসে নিরাশ হয়ে ফিরে যান। বালুরঘাটের বাসিন্দা রাকেশ মহন্ত বলেন, প্রায়ই বোল্লাতে পুজো দিতে যেতাম। কিছু দিন আগেও গিয়েছিলাম। তখনও ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকে পুজো দিয়েছি। এবার একেবারে পুজো বন্ধ করে দেওয়ায় কিছুটা খারাপই লাগছে।