প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
আগামী মাসে শিলিগুড়ি পুরসভার বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে। এরপরই পুরভোট হওয়ার কথা ছিল। এজন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই অবস্থায় ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে উদ্বোধনে ঝাঁপায় পুরসভা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ২৫ জানুয়ারি ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয়জল প্রকল্পের শিলান্যাস করে। ২৭ জানুয়ারি মহানন্দার ঘাট উন্নয়ন ও গ্রিনসিটি মিশন প্রকল্পের সূচনা করা হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি ২২ কোটি টাকায় ৮০টি রাস্তার কাজ, ৪ ফেব্রুয়ারি শ্মশানঘাটে বৈদ্যুতিক চুল্লির উন্নয়ন, নাট্যমঞ্চ তৈরি সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়।
পুরসভা সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় ২৩ মার্চ লকডাউন লাগু হতেই প্রকল্পগুলির কাজ থমকে যায়। কাজ ফের শুরু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য বলেন, করোনার থাবায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এখন মানুষকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করছি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কাজে ফের হাত দেওয়া হবে। তা না হলে খরচের পরিমাণ বাড়বে।
পূর্তদপ্তর ও এসজেডিএ’র বহু প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছে। বর্ধমান রোডে উড়ালপুল নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে পূর্তদপ্তরের উত্তরবঙ্গ ডিভিশন। প্রায় ৩৭টি পিলারের উপর দাঁড়িয়ে থাকবে এই সেতু। কিছু পিলার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এটা প্রায় ৪৪ কোটি টাকার প্রকল্প। পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, একবছর আগে কাজে হাত দেওয়া হয়। ৪৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নতুন বছরে সেতু চালু করার টার্গেট থাকলেও লকডাউন লাগু হওয়ায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টার্গেট পূরণ হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এবং পুরদপ্তরের টাকায় শহরে কিছু রাস্তা, ড্রেন, পাঁচিলের কাজে হাত দিয়েছে এসজেডিএ। মাসখানেক আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব প্রকল্পগুলির শিলান্যাস করেন। লকডাউনের জেরে ওসব কাজও থমকে আছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি। প্রসঙ্গত, করোনার জেরে রাজ্য সরকার সম্প্রতি ব্যয় হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।