প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সন্ধ্যার পরেই দুষ্কৃতীরা এলাকায় টহল দিতে থাকে। লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকেই তাদের উৎপাত আরও বেড়েছে। এলাকায় আগেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার দুষ্কৃতীরা পরপর দোকান ঘরের তালা ভেঙে দেওয়ায় এলাকার ব্যবসায়ী মহল আতঙ্কিত। এদিন সকালে পুলিস ঘটনার তদন্ত আসে। এবিষয়ে ব্যবসায়ীরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। এবিষয়ে আসবাবপত্র ব্যবসায়ী শহিদুর রহমান বলেন, লকডাউনের কারণে আমরা ১০ দিন ধরে দোকান বন্ধ রেখেছি। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা রাতের বেলা দোকানে তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। যদিও দোকানে বড় বড় আসবাব থাকায় তারা সেসব নিয়ে পালাতে পারেনি। পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দোকানেও তারা হানা দিয়েছে। সেখানেও চুরি করতে পারেনি। এমনিতেই ব্যবসা নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় রয়েছি। তার উপর এই ঘটনা আমাদের চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিসকে সবকিছু জানিয়েছি। লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে।
চাঁচল থানার পুলিস জানিয়েছে, রাতে চন্দ্রপাড়া এলাকার চার-পাচটি দোকানে চুরির চেষ্টা হয়েছে। পুলিস বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, দুষ্কৃতীরা দোকানের তালা ভেঙেছিল। চুরি করতে পারেনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খোজ চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রপাড়া মোড়ে আসবাবপত্র, টর্চলাইট, কাপড়, ফলমূলের দোকান রয়েছে। শনিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতীরা একের পর এক দোকানের তালা ভেঙে দেয়। এলাকাটি জনবহুল। সেখানে আরও একাধিক দোকান বসে। তবে করোনা ভাইরাস নিয়ে তৈরি হওয়া লকডাউন পরিস্থিতির কারণে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে দোকান খোলেননি। ওই এলাকা এমনিতে জনবহুল হলেও এখন সেখান দিয়ে কেউ বিশেষ যাতায়াতও করছে না। ফলে রাস্তাঘাট ফাঁকাই রয়েছে। তাই দুষ্কৃতীরা সুযোগ বুঝে রাতে হানা দেয়। তবে একের পর এক দোকানে তালা ভেঙে দিলেও কোন জিনিস নিয়ে তারা পালায়নি কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।