প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
রবিবার জলপাইগুড়ির সরস্বতীপুর চা বাগানে পৌঁছে তিনি ৭০০ মানুষের হাতে রান্না করা খাবারের প্যাকেট তুলে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত ওই সরস্বতীপুর বাগানটির মালিক জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কিষাণ কল্যাণী। বাগানের একাংশ শ্রমিকের দাবি, লকডাউনের কারণে আগামী দিনে তাঁরা মজুরি পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। ফলে তাঁরা উদ্বেগের মধ্যে আছেন। সঞ্জয়বাবুর এই উদ্যোগকে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত বাগান মালিকের কাছ থেকে তাঁরা কোনও সহায়তা পাননি বলেও দাবি করেছেন।
যদিও কিষাণ কল্যাণীর দাবি, লকডাউনের সময়ে সবকিছু দেখার জন্য ওই ব্লকে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। সঞ্জয়বাবু বলেন, এদিন সরস্বতীপুর বাগানের শ্রমিকদের আমরা মুরগির মাংস ও ভাত খাইয়েছি। তাঁদের হাত ধোয়ার জন্য সাবানও দিয়েছি। এটা আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে করেছি। এই পরিস্থিতিতে ওঁদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।
তৃণমূলের চা শ্রমিক ইউনিয়ন তরাই ডুয়ার্স প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সরস্বতী বাগানের সভাপতি রামু ওঁরাও বলেন, বাগান এখন বন্ধ আছে। আমরা কবে মজুরি পাব, কবে লকডাউন উঠবে সেসব কিছুই বুঝতে পারছি না। বাগান কর্তৃপক্ষও কোনও সাহায্য করেনি। কেউ দেখতেও আসেনি। তবে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হয়েছে।
বাগানের শ্রমিক লিবনি ওঁরাও, জোহান লাকড়া, মেদব লাকড়া বলেন, কবে মজুরি পাব জানি না। এখন কাজ বন্ধ আছে। ফলে এখনকার মজুরি পাব কিনা তাও জানি না। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কিষাণ কল্যাণী বলেন, জেলাজুড়ে ব্লকে ব্লকে আমরা নির্দিষ্টভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছি। তাঁরাই কাজ করছেন। আমিও প্রতিটি ব্লকে যাচ্ছি। আমি শুধু আমার বাগান নিয়ে নয়, সারা জেলায় কাজ করছি। ওখানে কেউ গেলো কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখব।
এদিন সরস্বতীপুর চা বাগানে গিয়ে দেখা যায় প্রায় হাজার খানেক মানুষ নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেই লাইনে পুরুষ, মহিলার পাশাপাশি শিশুরা রয়েছে। খাবার পৌঁছানর পর তাঁরা প্রার্থনা সঙ্গীত করেন। তারপর সঞ্জয়বাবু খাবারের প্যাকেট দেওয়া শুরু করলে সকলেই একে একে ওই প্যাকেট নিয়ে চলে জান। সকলের চোখেমুখেই উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট ছিল। শুধুমাত্র সরস্বতীপুর চা বাগান নয়, বন্ধ রায়পুর চা বাগান, ভাণ্ডাপুর চা বাগান, বোদাগঞ্জ, মালিভিটা, মান্তাদারির প্রত্যন্ত বনাঞ্চলেও খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন সঞ্জয়বাবু। লকডাউনের মাঝে হাতে খাবার পেয়ে খুশি চা বাগানের ওই মানুষগুলি।