কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
কোচবিহারের ছ’টি পুরসভায় এবার ভোট হচ্ছে। পুরভোটে বাম-কংগ্রেস জোট করে লড়াই করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মর্মে তারা বেশকয়েক দিন ধরেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছে। এর আগে একটি কনভেশনও তারা করেছে। কিন্তু সেখানেও নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতার বিষয়টি তারা চূড়ান্ত করতে পারেনি। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে যাতে রফা সূত্র বেরয় সেদিকে তাকিয়ে আছেন নিচুতলার কর্মীরা।
জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অনন্ত রায় বলেন, আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছি। সেই সমঝোতা ভালো হয়েছে। চারটি পুরসভায় আমাদের আসন সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। তুফানঞ্জ ও মাথাভাঙা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। খুব দ্রুত সেটিও চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
জোট সূত্রে জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জে বামেরা আটটি, কংগ্রেস দু’টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপি একটি করে আসনে লড়বে। মাথাভাঙায় সিপিএম আটটি, কংগ্রেস দু’টি, ফব ও সিপিআই একটি করে আসনে লড়বে বলে ঠিক হয়েছে। তবে এবিষয়ে এখনও চূড়ান্ত আসন রফা হয়নি বলে সিপিএম জানিয়েছে। এই পুরসভা দু’টি আসন রফা নিয়ে আরও আলোচনা করইে সমাধানে তারা আসতে চায়। অপরদিকে কোচবিহারে সিপিএম সাতটি, ফব ছ’টি, কংগ্রেস পাঁচটি ও সিপিআই ও আরএসপি একটি করে আসনে লড়বে। দিনহাটা পুরসভায় ফব আটটি, সিপিএম পাঁচটি, কংগ্রেস তিনটি আসনে লড়াবে। মেখলিগঞ্জে সিপিএম, কংগ্রেস ও ফব প্রত্যেকে তিনটি করে আসনে লড়বে। হলদিবাড়িতে কংগ্রেস পাঁচটি, সিপিএম চারটি ও ফব দু’টি করে আসনে লড়বে।
কোচবিহারের ছ’টি পুরসভায় বাম ও কংগ্রেস জোট করে লড়লে স্বাভাবিকভাবেই শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপি কিছুটা হলেও চাপের মধ্যে থাকবে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। সেকারণেই তারা আগে থেকেই জোটবদ্ধ হয়ে আসন রফার সূত্র খুঁজতে বার বার নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
দিন কয়েক আগেই কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চে জোটের কনভেশন হয়। সেখানে কংগ্রেস নেতা সুখবিলাস বর্মা উপস্থিত ছিলেন। এরপর রবিবার ও সোমবার জেলার বিভিন্ন জায়গায় দলীয় বৈঠকে যোগ দেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। কিন্তু বামেরা কবে সবক’টি পুরসভার আসন রফার চূড়ান্তরূপ দিতে সক্ষম হবে তানিয়ে এখনও ধন্দ রয়েই গিয়েছে। তবে সিপিএমের দাবি, নির্বাচন ঘোষণা হলেই তারা তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দেবে।