কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
রেসকোর্স পাড়ার বাসিন্দা সুশান্ত সরকার বলেন, এক বছর ধরে আমাদের এলাকায় ধীরগতিতে পানীয় জল আসছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা বারবার পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছি। জল ধীরগতিতে আসায় প্রতিনিয়ত আমাদেরকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমীর লামা বলেন, পুরসভার দেওয়া পানীয় জল বাড়ির উপরে উঠে না। জলের লাইনে লিকেজ থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। পুরসভার কর্মীরা পানীয় জলের লাইন ঠিক করতে তৎপর হচ্ছে না। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের কাউন্সিলার প্রদীপ কুমার দে বলেন, বারবার বলা সত্ত্বেও পানীয় জলের সমস্যা সমাধান করছে না পুরসভা। দ্রুত পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয় সেজন্য পুরসভাকে তৎপর হতে বলেছি।
তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়্যারমান ইন কাউন্সিল সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, জলের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। পুরসভায় এসে বিষয়টি না জানালে আমরা পানীয় জল সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হতাম।
পুলিস লাইন সংলগ্ন রেসকোর্স পাড়া এলাকায় পানীয় জলের সমস্যায় এলাকার বাসিন্দারা তিতিবিরক্ত হয়ে আছেন। পানীয় জলের সংযোগ থাকলেও জলের গতি নেই বললেই চলে। সেজন্য জলের স্ট্যান্ডপোস্টের সামনে দীর্ঘ লাইন পড়ে। প্রায়ই জল নিতে এসে জলের লাইনে মহিলাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। ধীরগতিতে জল পড়াতেই সমস্যা হচ্ছে। বাড়িতে যাদের জলের লাইনের সংযোগ রয়েছে তাদের ট্যাঙ্কেও জল উঠছে না। জলের বাড়িতে সংযোগ নেওয়া সত্ত্বেও জল ঠিকমতো উপরে না ওঠায় অসুবিধা হচ্ছে বাড়ির মালিকদের। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে জল কিনে খাচ্ছে অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে বাসিন্দারা বারবার পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন। পুরকর্মীরা এলাকায় সরেজমিনে দেখে গেলেও সমাধানে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জলের লাইনে লিকেজ থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের পুরনো জলের পাইপগুলি পরিষ্কার করাও প্রয়োজন। পুর কর্মীরা সেগুলি সাফাই করে লিকেজ সারাচ্ছে না। তাই তারা সমস্যায় পড়ছে। পুরভোটের মুখে বিষয়টির সমাধানের জন্য পুরসভাকে তাগাদা দিয়েছে।